চীনে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া-সদৃশ নতুন ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি আশঙ্কা বাড়ছে। ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনে নিউমোনিয়া সদৃশ নতুন এ ভাইরাসে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। আক্রান্ত ব্যক্তি চীনা নাগরিক বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে নিহত ব্যক্তি পূর্বাঞ্চলীয় শহর উহানের হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গত ডিসেম্বরে উহান শহরে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায় বলে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমটির গতকাল অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউমোনিয়া সদৃশ এ ভাইরাসটি করোনা ভাইরাস গোত্রের বলে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সাধারণ সর্দি কাশি থেকে শুরু করে প্রাণঘাতি সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমও (সার্স) এ গোত্রের ভাইরাসে হয়ে থাকে। নতুন এ ভাইরাসটিতে চীনের উহানের একটি মাছবাজার সংশ্লিষ্ট কয়েক ডজন ব্যক্তি আক্রান্ত হন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। তবে অনিশ্চিত বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নিউমোনিয়া সদৃশ নতুন এ ভাইরাসে নিহত সর্বশেষ ব্যক্তি চীনা নাগরিক। তার বয়স ৬৯। চীনে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষ নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ডিসেম্বরে একজন আর গত বৃহস্পতিবার আরও একজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা বলছে : নতুন এ ভাইরাসটি করোনাভাইরাস (সিওভি) গোত্রের বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। গত ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত এক নির্দেশনা ও বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের এক ব্যক্তির দেহে অজানা এ করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর ডব্লিউএইচও থাইল্যান্ড ও চীনের সঙ্গে কাজ শুরু করছে।ওই ব্যক্তি চীনের উহান থেকে ফেরার পর থাই কর্মকর্তারা তাকে ৮ জানুয়ারি শনাক্ত করেন। ভাইরাসটি অন্য দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে বলে সংস্থাটি সচেতন থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাওয়া এবং রোগ সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিমাঞ্চলের প্যাসিফিক আঞ্চলিক কর্মকর্তা তাকেশি কাসাই জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে’কে বলেন, জাপানে যে নতুন ধাঁচের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে তা দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৩৭টি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্ব দেয়া এ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আরও বলেন, এক মানুষ থেকে আর এক মানুষের কাছে কিভাবে এ ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। চীনের চান্দ্র নববর্ষ উদযাপনের সময় ভ্রমণকারীদের কাছে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।
নতুন এ ভাইরাসটি কী : করোনাভাইরাস (সিওভি) হল একটি বৃহৎ গ্রোত্র যে ভাইরাস সংক্রমণে ঠাণ্ডা, কাশি বা জ্বরের ভাইরাস যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সি (এমআরএস-সিওভি) এবং তীব্র শ্বসনতন্ত্র সিন্ড্রোম (এসএআরএস-সিওভি) এর মতো আরও মারাত্মক রোগের ভাইরাসও এই গোত্রের অন্তর্গত। সাধারণত, অচেনা নতুন কোন ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এ গ্রুপের সঙ্গে মিলে গেলে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসে নামকরণ করা হয়। চীনের উহান শহরে রহস্যময় এ ভাইরাস পাওয়ার কারণে, প্রাথমিকভাবে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘উহান ভাইরাস’। তবে চলতি সপ্তাহে ভাইরাসটির জীবনরহস্য (জিনোম সিকুয়েন্স) উম্মোচনের পর এর ডিএনএ করোনভাইরাসের গোত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে থাইল্যা- (২০১৯-সিওভি) নামকরণ করে।
রোগের লক্ষণ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ ভাইরাসগুলো জুনোটিক, যা মূলত প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে সঞ্চারিত হয়। আর এ ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে যা থেকে নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর রোগে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এক মানবদেহ থেকে অপর এক মানবদেহের মধ্যে সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ার কোন ঘটনা জানা না গেলেও সীমিত হারে এ ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে পরিবারের লোকজনের মধ্যে।
গবেষকদের অভিমত : ভাইরাসটি নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণা শুরু করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট লিন্ফা ওয়াং বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এটি সাধারণত জুনোটিক ভাইরাস, যা প্রাণীর দেহ থেকে মানবদেহে সহজে চলে আসে। সচরাচর শীতের মাসগুলোতে এ ভাইরাস সংক্রমণশীল হয়ে ওঠে। ২০০২-০৩ সালে এসএআরএস বা সার্স ভাইরাসে চীনে অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল বলে তিনি স্মরণ করেন। এদিকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন বিজ্ঞানী অ্যাডওয়ার্ড হোমস বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’কে বলেন, প্রাথমিকভাবে সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাং ইওং-ঝেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক ভাইরাসের পাঁচ ধরনের ডিএনএ সিকুয়েন্স পেয়েছে। যা ইতোমধ্যে ডেটাবেইজে শেয়ার করা হয়েছে। যদি এটি মহামারি আকারে রূপ নেয়, তাহলে এ সিকুয়েন্স নতুন গবেষণার খোরাক যোগাবে।
তবে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক এবং চীন সরকার এ ভাইরাস মূল্যায়ন কমিটির প্রধান জু জিয়ানগু বলেছেন, প্রথম দিকে রোগীদের শরীরে যে লক্ষণগুলো পাওয়া গিয়েছিল তার মধ্যে ছিল শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর যা থেকে আমরা নিউমোনিয়া বলে ধারণা করছি। তবে তিনি আশা করেন, আগামী সপ্তাহে এটি ছড়িয়ে না পড়লে হয়ত এ ভাইরাসের সংক্রমণ কমবে।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
চীনে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া-সদৃশ নতুন ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি আশঙ্কা বাড়ছে। ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনে নিউমোনিয়া সদৃশ নতুন এ ভাইরাসে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। আক্রান্ত ব্যক্তি চীনা নাগরিক বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে নিহত ব্যক্তি পূর্বাঞ্চলীয় শহর উহানের হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গত ডিসেম্বরে উহান শহরে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায় বলে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমটির গতকাল অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউমোনিয়া সদৃশ এ ভাইরাসটি করোনা ভাইরাস গোত্রের বলে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সাধারণ সর্দি কাশি থেকে শুরু করে প্রাণঘাতি সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমও (সার্স) এ গোত্রের ভাইরাসে হয়ে থাকে। নতুন এ ভাইরাসটিতে চীনের উহানের একটি মাছবাজার সংশ্লিষ্ট কয়েক ডজন ব্যক্তি আক্রান্ত হন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। তবে অনিশ্চিত বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নিউমোনিয়া সদৃশ নতুন এ ভাইরাসে নিহত সর্বশেষ ব্যক্তি চীনা নাগরিক। তার বয়স ৬৯। চীনে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষ নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ডিসেম্বরে একজন আর গত বৃহস্পতিবার আরও একজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা বলছে : নতুন এ ভাইরাসটি করোনাভাইরাস (সিওভি) গোত্রের বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। গত ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত এক নির্দেশনা ও বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের এক ব্যক্তির দেহে অজানা এ করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর ডব্লিউএইচও থাইল্যান্ড ও চীনের সঙ্গে কাজ শুরু করছে।ওই ব্যক্তি চীনের উহান থেকে ফেরার পর থাই কর্মকর্তারা তাকে ৮ জানুয়ারি শনাক্ত করেন। ভাইরাসটি অন্য দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে বলে সংস্থাটি সচেতন থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাওয়া এবং রোগ সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিমাঞ্চলের প্যাসিফিক আঞ্চলিক কর্মকর্তা তাকেশি কাসাই জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে’কে বলেন, জাপানে যে নতুন ধাঁচের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে তা দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৩৭টি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্ব দেয়া এ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আরও বলেন, এক মানুষ থেকে আর এক মানুষের কাছে কিভাবে এ ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। চীনের চান্দ্র নববর্ষ উদযাপনের সময় ভ্রমণকারীদের কাছে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।
নতুন এ ভাইরাসটি কী : করোনাভাইরাস (সিওভি) হল একটি বৃহৎ গ্রোত্র যে ভাইরাস সংক্রমণে ঠাণ্ডা, কাশি বা জ্বরের ভাইরাস যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সি (এমআরএস-সিওভি) এবং তীব্র শ্বসনতন্ত্র সিন্ড্রোম (এসএআরএস-সিওভি) এর মতো আরও মারাত্মক রোগের ভাইরাসও এই গোত্রের অন্তর্গত। সাধারণত, অচেনা নতুন কোন ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এ গ্রুপের সঙ্গে মিলে গেলে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসে নামকরণ করা হয়। চীনের উহান শহরে রহস্যময় এ ভাইরাস পাওয়ার কারণে, প্রাথমিকভাবে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘উহান ভাইরাস’। তবে চলতি সপ্তাহে ভাইরাসটির জীবনরহস্য (জিনোম সিকুয়েন্স) উম্মোচনের পর এর ডিএনএ করোনভাইরাসের গোত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে থাইল্যা- (২০১৯-সিওভি) নামকরণ করে।
রোগের লক্ষণ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ ভাইরাসগুলো জুনোটিক, যা মূলত প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে সঞ্চারিত হয়। আর এ ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে যা থেকে নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর রোগে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এক মানবদেহ থেকে অপর এক মানবদেহের মধ্যে সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ার কোন ঘটনা জানা না গেলেও সীমিত হারে এ ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে পরিবারের লোকজনের মধ্যে।
গবেষকদের অভিমত : ভাইরাসটি নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণা শুরু করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট লিন্ফা ওয়াং বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এটি সাধারণত জুনোটিক ভাইরাস, যা প্রাণীর দেহ থেকে মানবদেহে সহজে চলে আসে। সচরাচর শীতের মাসগুলোতে এ ভাইরাস সংক্রমণশীল হয়ে ওঠে। ২০০২-০৩ সালে এসএআরএস বা সার্স ভাইরাসে চীনে অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল বলে তিনি স্মরণ করেন। এদিকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন বিজ্ঞানী অ্যাডওয়ার্ড হোমস বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’কে বলেন, প্রাথমিকভাবে সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাং ইওং-ঝেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক ভাইরাসের পাঁচ ধরনের ডিএনএ সিকুয়েন্স পেয়েছে। যা ইতোমধ্যে ডেটাবেইজে শেয়ার করা হয়েছে। যদি এটি মহামারি আকারে রূপ নেয়, তাহলে এ সিকুয়েন্স নতুন গবেষণার খোরাক যোগাবে।
তবে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক এবং চীন সরকার এ ভাইরাস মূল্যায়ন কমিটির প্রধান জু জিয়ানগু বলেছেন, প্রথম দিকে রোগীদের শরীরে যে লক্ষণগুলো পাওয়া গিয়েছিল তার মধ্যে ছিল শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর যা থেকে আমরা নিউমোনিয়া বলে ধারণা করছি। তবে তিনি আশা করেন, আগামী সপ্তাহে এটি ছড়িয়ে না পড়লে হয়ত এ ভাইরাসের সংক্রমণ কমবে।