ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল গুয়াতেমালা

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছেন আলেজান্দ্রো গিয়ামাতি। ইতোমধ্যে কারাকাস থেকে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জবাবে ভেনিজুয়েলার পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ বলেছেন, গিয়ামাতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। তাই তার সরকারের পরিণতিও হবে হাস্যকর।

নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে গত বছরের (২০১৯ সাল) শুরুতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। ভেনিজুয়েলার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। এতে সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে কথিত ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের দাবি করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ একে একে বেশ কিছু দেশ ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের কথা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার গুয়েতেমালার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আলেজান্দ্রো গিয়ামতেই। এর পরই তিনি বলেন, ‘ভেনিজুয়েলায় অবস্থিত আমাদের শেষ নাগরকিকেও দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছি আমি। তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক নই আমরা।

জবাবে ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ এক টুইট বার্তায় বলেন, গিয়ামাতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে নতজানু হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তার সরকার আবার একটি হাস্যরসে পরিণত হবে। আমরা এখনও দেশটির সাধারণ মানুষের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল গুয়াতেমালা

সংবাদ ডেস্ক |

image

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছেন আলেজান্দ্রো গিয়ামাতি। ইতোমধ্যে কারাকাস থেকে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জবাবে ভেনিজুয়েলার পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ বলেছেন, গিয়ামাতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। তাই তার সরকারের পরিণতিও হবে হাস্যকর।

নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে গত বছরের (২০১৯ সাল) শুরুতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। ভেনিজুয়েলার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। এতে সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে কথিত ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের দাবি করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ একে একে বেশ কিছু দেশ ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের কথা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার গুয়েতেমালার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আলেজান্দ্রো গিয়ামতেই। এর পরই তিনি বলেন, ‘ভেনিজুয়েলায় অবস্থিত আমাদের শেষ নাগরকিকেও দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছি আমি। তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক নই আমরা।

জবাবে ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগেজ এক টুইট বার্তায় বলেন, গিয়ামাতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে নতজানু হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তার সরকার আবার একটি হাস্যরসে পরিণত হবে। আমরা এখনও দেশটির সাধারণ মানুষের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।