১৬০ দিন পর মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের পাঁচ নেতা

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় আটক নেতাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ১৬০ দিন কারাবন্দী থাকার পর গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর থেকে দুটি রাজনৈতিক দলের পাঁচ নেতাকে মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা আলতাফ কালু, শওকত গনাই ও সালমান সাগর এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নিজামুদ্দিন ভাট ও মুখতার বাধকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে এখনও কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি বন্দী রয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা রদের সময় থেকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে আটক করা হয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য নেতাদের। ধীরে ধীরে সরকারি এসব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ কৌশলেরই অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক পাঁচ বিধায়ককে মুক্তি দেয়া হয়। তবে এখনও বন্দী রয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি সাবেক মন্ত্রী ও বিধায়ক। সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ আর মেহবুবা মুফতিকে কবে নাগাদ মুক্তি দেয়া হবে তা স্পষ্ট করেনি ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বৃহস্পতিবার হরি নিবাস থেকে ওমর আব্দুল্লাহকে শ্রীনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ১৫ জানুয়ারি কাশ্মীরে আংশিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। তবে এখনও অনেক বড় অংশে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাশ্মীরবাসীরা। সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর টু জি সার্ভিস দেয়ার জন্য অপারেটর কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেখানে জারিকৃত বিধিনিষেধ শিথিলের অংশ হিসেবে রাজনীতিবীদদের মুক্তি ও ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

১৬০ দিন পর মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের পাঁচ নেতা

সংবাদ ডেস্ক |

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় আটক নেতাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ১৬০ দিন কারাবন্দী থাকার পর গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর থেকে দুটি রাজনৈতিক দলের পাঁচ নেতাকে মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা আলতাফ কালু, শওকত গনাই ও সালমান সাগর এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নিজামুদ্দিন ভাট ও মুখতার বাধকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে এখনও কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি বন্দী রয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা রদের সময় থেকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে আটক করা হয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য নেতাদের। ধীরে ধীরে সরকারি এসব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ কৌশলেরই অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক পাঁচ বিধায়ককে মুক্তি দেয়া হয়। তবে এখনও বন্দী রয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি সাবেক মন্ত্রী ও বিধায়ক। সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ আর মেহবুবা মুফতিকে কবে নাগাদ মুক্তি দেয়া হবে তা স্পষ্ট করেনি ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বৃহস্পতিবার হরি নিবাস থেকে ওমর আব্দুল্লাহকে শ্রীনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ১৫ জানুয়ারি কাশ্মীরে আংশিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। তবে এখনও অনেক বড় অংশে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাশ্মীরবাসীরা। সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর টু জি সার্ভিস দেয়ার জন্য অপারেটর কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেখানে জারিকৃত বিধিনিষেধ শিথিলের অংশ হিসেবে রাজনীতিবীদদের মুক্তি ও ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।