স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচন ও সরস্বতী পূজা একই দিন হলেও বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব তাদের। এতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে এমন কোন কারণ নেই। আমরা মনে করি সবাই সবার গুরুত্বটা বোঝেন। নির্বাচন কমিশন যা বলবেন আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেই দিকে নজর রেখেই কাজ করবে। একই দিনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং সরস্বতী পূজার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসির), তাই এখানে কিছুই করার নেই। গতকাল রাজধানীর মধুবাগে শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০ বছর পূর্তি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবদুস সাত্তার, প্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি সুফি সুলতান আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমাদের জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেক দায়িত্ববান। কাজেই কোন কিছুতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনো শঙ্কা নেই। নির্বাচন কমিশন আমাদের যে নির্দেশনা দিচ্ছে আমরা সেটাই করছি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা যখন ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি, তারপর দেশের স্বাক্ষরতার হার একদম কমে যায়। ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এখন দেশের স্বাক্ষরতার হার ৭৩ ভাগে পৌঁছেছে। এখন অভিভাবকরা বুঝতে শিখেছেন শিক্ষার বিকল্প নেই। ‘জোর গলায় বলতে পারি, দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে মানুষ তার সস্তানদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করছেন না। কারণ প্রধানমন্ত্রী বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সব স্কুলে ইমারতসহ সবক্ষেত্রে সুন্দর ও উন্নত করা হয়েছে। এ কারণে আমরা সব স্তরে শিক্ষার সুফল পাচ্ছি। নির্বাচনে যেসব ওয়াদা আমরা করেছিলাম একের পর এক তাতে সফল হচ্ছি। এই কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। শুধু শিক্ষার হার না, সবকিছুতে আমরা সফল থেকে সফলতর হচ্ছি। যা বলে শেষ করা যাবে না।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচন ও সরস্বতী পূজা একই দিন হলেও বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব তাদের। এতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে এমন কোন কারণ নেই। আমরা মনে করি সবাই সবার গুরুত্বটা বোঝেন। নির্বাচন কমিশন যা বলবেন আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেই দিকে নজর রেখেই কাজ করবে। একই দিনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং সরস্বতী পূজার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসির), তাই এখানে কিছুই করার নেই। গতকাল রাজধানীর মধুবাগে শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০ বছর পূর্তি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবদুস সাত্তার, প্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি সুফি সুলতান আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমাদের জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেক দায়িত্ববান। কাজেই কোন কিছুতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনো শঙ্কা নেই। নির্বাচন কমিশন আমাদের যে নির্দেশনা দিচ্ছে আমরা সেটাই করছি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা যখন ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি, তারপর দেশের স্বাক্ষরতার হার একদম কমে যায়। ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এখন দেশের স্বাক্ষরতার হার ৭৩ ভাগে পৌঁছেছে। এখন অভিভাবকরা বুঝতে শিখেছেন শিক্ষার বিকল্প নেই। ‘জোর গলায় বলতে পারি, দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে মানুষ তার সস্তানদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করছেন না। কারণ প্রধানমন্ত্রী বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সব স্কুলে ইমারতসহ সবক্ষেত্রে সুন্দর ও উন্নত করা হয়েছে। এ কারণে আমরা সব স্তরে শিক্ষার সুফল পাচ্ছি। নির্বাচনে যেসব ওয়াদা আমরা করেছিলাম একের পর এক তাতে সফল হচ্ছি। এই কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। শুধু শিক্ষার হার না, সবকিছুতে আমরা সফল থেকে সফলতর হচ্ছি। যা বলে শেষ করা যাবে না।