তারিখ পরিবর্তন না করলে ভোট বর্জন করবে হিন্দু মহাজোট

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না হলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। গতকাল ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় জোট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে। এ সময় মহাজোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাস চন্দ্র ম-ল, সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায়, সহসভাপতি ডিসি রায়, রণজিত মৃধা, যুগ্ম মহাসচিব সমীর সরকার, অখিল ম-ল, ফণি ভূষণ হালদারস উপস্থিত ছিলেন।

পলাশ কান্তি বলেন, আমরা ৩০ জানুয়ারির ঢাকা সিটির ভোট বর্জন করছি। কোন হিন্দু ভাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। কোন প্রচারে অংশ নেবেন না। আমরা ৩০ তারিখ সকাল ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘটপূজা করে রাজপথে অঞ্জলি নেব এবং কালো পতাকা মিছিল করব। যারা একটি গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চায়, তারা সাংবিধানিক কোন পদে থাকতে পারে না। এই কমিশনের প্রতি আমাদের আর আস্থা নেই। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা সব রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের অনুরোধ করছি আমাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য। একটি বৃহৎ সম্প্রদায়কে ভোট দান থেকে বিরত রাখতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য ভালো না, তারা মুজিববর্ষের বাংলাদেশকে বিতর্কিত করতে চায়।

শ্যামল কুমার রায় বলেন, ১০ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৫ দিন প্রচারের সময় তো আছে। এ সময় পার হওয়ার পর ২৪ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ যে কোন দিন নির্বাচন করা যায়। সুতরাং নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা যেতে পারে, কিন্তু পূজার তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। মেয়র প্রার্থী সবাই তারিখ পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছেন। সেতুমন্ত্রীও বলেছেন। এখন যেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের ব্যাপার। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এতো হার্ডলাইনে কেন? নির্বাচনের তারিখ কী আসমানি বিধান নাকি যে ওই তারিখেই হতে হবে। অবশ্যই পরিবর্তন করা যাবে। অতীতের নির্বাচন কমিশনের মতো এই নির্বাচন কমিশনের ভেতরেও গলদ রয়েছে নাকি? যে দলের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছেন সেই দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এরা কারা? দেশের স্বাধীনতার পেছনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবদানকে যারা খাটো করে, সে সমস্ত চিন্তা- চেতনাকারীরাই এই ধরনের তারিখ দিতে পারে।

আরও খবর
বৃহত্তর জুমার নামাজ আদায়
কমছে পিয়াজের দাম
বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শে শিশুদের উজ্জীবিত করতে হবে স্পিকার
বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
নির্বাচন-পূজা বিষয়টি ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উদযাপনে পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্মৃতির আয়নায় বিউটি বোর্ডিং
সাহিত্য ও সংস্কৃতির দুই বাংলার ১৬ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হবে
নাটক নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী পালাগান আজ
বগুড়ায় জমজমাট পিঠা উৎসব
এশিয়ান টিভির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন
চিকিৎসা সেবার নামে চলছে চরম অনিয়ম
গণমাধ্যমে লিখেছিল ভেবেছি অতিরঞ্জিত নিহতের স্বামী
কক্সবাজার শহরের সড়কে পচা দুর্গন্ধ পানি

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সিটি নির্বাচন

তারিখ পরিবর্তন না করলে ভোট বর্জন করবে হিন্দু মহাজোট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না হলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। গতকাল ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় জোট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে। এ সময় মহাজোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাস চন্দ্র ম-ল, সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায়, সহসভাপতি ডিসি রায়, রণজিত মৃধা, যুগ্ম মহাসচিব সমীর সরকার, অখিল ম-ল, ফণি ভূষণ হালদারস উপস্থিত ছিলেন।

পলাশ কান্তি বলেন, আমরা ৩০ জানুয়ারির ঢাকা সিটির ভোট বর্জন করছি। কোন হিন্দু ভাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। কোন প্রচারে অংশ নেবেন না। আমরা ৩০ তারিখ সকাল ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘটপূজা করে রাজপথে অঞ্জলি নেব এবং কালো পতাকা মিছিল করব। যারা একটি গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চায়, তারা সাংবিধানিক কোন পদে থাকতে পারে না। এই কমিশনের প্রতি আমাদের আর আস্থা নেই। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা সব রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের অনুরোধ করছি আমাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য। একটি বৃহৎ সম্প্রদায়কে ভোট দান থেকে বিরত রাখতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য ভালো না, তারা মুজিববর্ষের বাংলাদেশকে বিতর্কিত করতে চায়।

শ্যামল কুমার রায় বলেন, ১০ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৫ দিন প্রচারের সময় তো আছে। এ সময় পার হওয়ার পর ২৪ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ যে কোন দিন নির্বাচন করা যায়। সুতরাং নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা যেতে পারে, কিন্তু পূজার তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। মেয়র প্রার্থী সবাই তারিখ পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছেন। সেতুমন্ত্রীও বলেছেন। এখন যেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের ব্যাপার। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এতো হার্ডলাইনে কেন? নির্বাচনের তারিখ কী আসমানি বিধান নাকি যে ওই তারিখেই হতে হবে। অবশ্যই পরিবর্তন করা যাবে। অতীতের নির্বাচন কমিশনের মতো এই নির্বাচন কমিশনের ভেতরেও গলদ রয়েছে নাকি? যে দলের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছেন সেই দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এরা কারা? দেশের স্বাধীনতার পেছনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবদানকে যারা খাটো করে, সে সমস্ত চিন্তা- চেতনাকারীরাই এই ধরনের তারিখ দিতে পারে।