লক্ষ্মীপুর-ভোলা পথে ফেরি সংকট : দুর্ভোগ

নাব্যতা সঙ্কট, ডুবো চর ও পাতানো জালের কারণে ব্যাহত হচ্ছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে ফেরি চলাচল। নদীর জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করেই এখন এই নৌপথে চলাচল করছে ফেরি। তবুও পারাপারের সময় মেঘনা নদীর ডুবোচরে আটকা পড়তে হয়। এতে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এই নৌপথে চলাচলকারীরা।

এদিকে ফেরি কৃষাণি ও ফেরি কলমিলতা বিকল হওয়ার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটায় গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাটে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী বাস, ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন এ পথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকরা। লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাট সার্ভিস ২০০৮ সালে চালু করে সরকার। এরপর থেকেই লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে দিয়ে যাতায়াত করছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। বর্তমানে এই নৌপথে কনকচাঁপা, কলমিলতা, কুসুমকলি ও কৃষাণি নামের চারটি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কৃষাণি ও কলমিলতা নামের দুটি ফেরি বিকল হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ রুট ব্যবহারকারীরা। এছাড়া মজু চৌধুরীহাট ঘাটের প্রায় এক কিলোমিটার অদূরে মেঘনা নদীর সংযোগস্থল রহমতখালী চ্যানেল, বুড়ির খাল ও মেঘনা নদীর মতিহাট পয়েন্টে নাব্যতা সঙ্কট, ডুবোচর ও পাতানো জালের কারণে প্রতিনিয়তই এ নৌপথে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এতে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে ফেরি চলাচল করছে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে। এতে করে সময় নষ্ট হওয়ায় পাশাপশি প্রতিদিন ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এই নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের।ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কয়েকজন ট্রাকের চালক জানান, গত ছয়দিন ধরে দুটি ফেরি বিকল থাকায় সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া ডুবোচরের কারণে ফেরি পারাপারে এখন সময় লাগে আট থেকে দশ ঘণ্টা।

এতে করে ফেরি না পেয়ে পারাপারের জন্য দিনের পর দিন তাদের আটকা পড়ে থাকতে হয় মজু চৌধুরীহাট ঘাটে। এতে নষ্ট হচ্ছে ট্রাকে থাকা কাঁচামাল ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী। বিআইডব্লিউটিসি লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাটের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, নদীর নাব্যতা সঙ্কট, পাতানো জাল ও ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। তবে কৃষাণি ও কলমিলতা নামের দুটি ফেরি বিকল হওয়ার কারণে পারাপারে কিছুটা বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এগুলো মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে।

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

লক্ষ্মীপুর-ভোলা পথে ফেরি সংকট : দুর্ভোগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, লক্ষ্মীপুর

নাব্যতা সঙ্কট, ডুবো চর ও পাতানো জালের কারণে ব্যাহত হচ্ছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে ফেরি চলাচল। নদীর জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করেই এখন এই নৌপথে চলাচল করছে ফেরি। তবুও পারাপারের সময় মেঘনা নদীর ডুবোচরে আটকা পড়তে হয়। এতে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এই নৌপথে চলাচলকারীরা।

এদিকে ফেরি কৃষাণি ও ফেরি কলমিলতা বিকল হওয়ার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটায় গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাটে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী বাস, ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন এ পথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকরা। লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাট সার্ভিস ২০০৮ সালে চালু করে সরকার। এরপর থেকেই লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে দিয়ে যাতায়াত করছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। বর্তমানে এই নৌপথে কনকচাঁপা, কলমিলতা, কুসুমকলি ও কৃষাণি নামের চারটি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কৃষাণি ও কলমিলতা নামের দুটি ফেরি বিকল হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ রুট ব্যবহারকারীরা। এছাড়া মজু চৌধুরীহাট ঘাটের প্রায় এক কিলোমিটার অদূরে মেঘনা নদীর সংযোগস্থল রহমতখালী চ্যানেল, বুড়ির খাল ও মেঘনা নদীর মতিহাট পয়েন্টে নাব্যতা সঙ্কট, ডুবোচর ও পাতানো জালের কারণে প্রতিনিয়তই এ নৌপথে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এতে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে ফেরি চলাচল করছে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে। এতে করে সময় নষ্ট হওয়ায় পাশাপশি প্রতিদিন ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এই নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের।ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কয়েকজন ট্রাকের চালক জানান, গত ছয়দিন ধরে দুটি ফেরি বিকল থাকায় সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাছাড়া ডুবোচরের কারণে ফেরি পারাপারে এখন সময় লাগে আট থেকে দশ ঘণ্টা।

এতে করে ফেরি না পেয়ে পারাপারের জন্য দিনের পর দিন তাদের আটকা পড়ে থাকতে হয় মজু চৌধুরীহাট ঘাটে। এতে নষ্ট হচ্ছে ট্রাকে থাকা কাঁচামাল ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী। বিআইডব্লিউটিসি লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাটের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, নদীর নাব্যতা সঙ্কট, পাতানো জাল ও ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। তবে কৃষাণি ও কলমিলতা নামের দুটি ফেরি বিকল হওয়ার কারণে পারাপারে কিছুটা বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এগুলো মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে।