প্রচারণায় সরগরম অলিগলি

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১২ দিন বাকি। তাই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা; দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে এখন সর্বত্রই আলোচনা চলছে প্রার্থীদের নিয়ে। আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও করছেন নগরবাসী। এছাড়া ভোটের দিন-তারিখ নিয়েও কথা বলছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। সব মিলিয়ে রাজধানীতে এখন একটাই আলোচনার বিষয়, তা হলো সিটি নির্বাচন।

দক্ষিণে ৬০, ৬১, ৬২, ৪৮

ও ৪৯ ওয়ার্ডে তাপস

বাংলাবাজার, সদরঘাট,

ইসলামপুর ও বংশালে

ইশরাক

উত্তরে ইব্রাহিমপুর,

শেওড়াপাড়া, জামতলা,

রোকেয়া সরণি, মণিপুর,

সেনপাড়ায় আতিকুল

খিলগাঁও তালতলায় তাবিথ

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়েছেন আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি বাকি ৯ মেয়র প্রার্থীও প্রচারণা চালিয়েছেন। মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রচারণায় সরগরম রাজধানীর অলিগলি। সকাল থেকেই সাউন্ড বক্স ও মাইকিং’এ প্রচারণা শুরু করেন তারা। নির্ধারিত সময়ের পরেও চলে এই প্রচারণা। প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারাও নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন; ভোট প্রার্থনা করছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও সরস্বতী পূজার কারণে ভোট দুইদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন ভোট হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ভোট এর বাকি ১২ দিন।

তাপস : প্রচারণার ৯ম দিনটি রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক থেকে শুরু করেন দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এদিন তিনি দক্ষিণ সিটির ৬০, ৬১, ৬২, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নের যে রূপরেখা প্রদান করেছি তা ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে আমরা যেখানেই যাচ্ছি অভূতপূর্ব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। আমাদের প্রাণের ঢাকাকে আমরা সবাই ভালোবাসি। আগামী ৩০ জানুয়ারি উন্নত ঢাকা গড়তে আমিসহ রাজধানীবাসী আওয়ামী লীগ মনোনীত কমিশনারদের তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে আশা করি। ইনশাল্লাহ আমরা নির্বাচিত হতে পারলে আগামী পাঁচ বছর ঢাকাবাসী সব নাগরিক সুবিধা পাবেন। সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনার আওতায় আমরা সততা, নিষ্ঠা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে রাজধানীবাসীর সেবা করে যাব। ২০৪১ সাল নাগাদ ঢাকাকে আমরা উন্নত ঢাকায় পরিণত করব। উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী হবে ঢাকা।

ইশরাক : দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন। তিনি পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সদরঘাট, ইসলামপুর ও বংশাল এলাকায় প্রচার চালান। এ সময় তিনি বলেন, আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ ঢাকাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেব। ক্লিন ঢাকা গড়ে তুলতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত ১৩ বছরে ঢাকা ধ্বংস করা হয়েছে। বাস অনুপযোগী এই শহরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলাই হবে আমার প্রধান কাজ। গতকাল কদমতলী, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী এলাকার বেহাল অবস্থা দেখেছি। এই চিত্র শুধু যাত্রাবাড়ী, কদমতলী অথবা শ্যামপুরেরই নয়। এটা পুরো ঢাকারই চিত্র। এর কারণ, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা অনির্বাচিত। ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতা থাকে। প্রচারণার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালামসহ অন্য নেতারা ছিলেন ইশরাকের সঙ্গে।

আতিকুল : উত্তরে নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম গতকাল কচুক্ষেত বাজার থেকে নির্বাচনী প্রচার করেন। এদিন তিনি ইব্রাহিমপুর, পূর্ব শেওড়াপাড়া, জামতলা, রোকেয়া সরণি, পশ্চিম শেওড়াপাড়া, ওয়াসা রোড, দক্ষিণ মনিপুর, সেনপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচিত হলে ‘স্মার্ট ঢাকা সিটি’ গড়ে তোলা হবে। এর অংশ হিসেবে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে নগরবাসী এলাকার সব সমস্যার সমাধান পাবেন। তারা তাদের সমস্যার কথা সরাসরি জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিন, অর্থাৎ, তিন মাসের মধ্যে এখানে যাত্রীছাউনি করা হবে। এ ছাড়া ইব্রাহিমপুর থেকে বাঙলা কলেজ পর্যন্ত ১০০ ফিট রাস্তার কাজ করা হবে। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা খানম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ : উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গতকাল খিলগাঁও তালতলা এলাকায় প্রচারনা চালান। এ সময় তিনি বলেন, দেশে মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। এখন জনগণ ভোট দিতে পা?রে না। এবার বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোটার?দের সাহস দেবে, ভোটকেন্দ্রে যেতে এবং ভোটারেরা যা?তে সুশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সে সহযোগিতা করবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই। তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও আমরা দেখতে চাই- শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কী করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই চার প্রার্থী ছাড়াও এবার নির্বাচনে দক্ষিণে প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার-উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা (ডাব) ও গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন (মাছ) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। উত্তরে কমিউনিস্ট পার্টির ডা. সাজেদুল হক রুবেল (কাস্তে), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহিন খান (বাঘ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদ (হাতপাখা) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুল হক দুলাল (আম) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আর ১২ দিন

প্রচারণায় সরগরম অলিগলি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১২ দিন বাকি। তাই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা; দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে এখন সর্বত্রই আলোচনা চলছে প্রার্থীদের নিয়ে। আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও করছেন নগরবাসী। এছাড়া ভোটের দিন-তারিখ নিয়েও কথা বলছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। সব মিলিয়ে রাজধানীতে এখন একটাই আলোচনার বিষয়, তা হলো সিটি নির্বাচন।

দক্ষিণে ৬০, ৬১, ৬২, ৪৮

ও ৪৯ ওয়ার্ডে তাপস

বাংলাবাজার, সদরঘাট,

ইসলামপুর ও বংশালে

ইশরাক

উত্তরে ইব্রাহিমপুর,

শেওড়াপাড়া, জামতলা,

রোকেয়া সরণি, মণিপুর,

সেনপাড়ায় আতিকুল

খিলগাঁও তালতলায় তাবিথ

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়েছেন আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি বাকি ৯ মেয়র প্রার্থীও প্রচারণা চালিয়েছেন। মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রচারণায় সরগরম রাজধানীর অলিগলি। সকাল থেকেই সাউন্ড বক্স ও মাইকিং’এ প্রচারণা শুরু করেন তারা। নির্ধারিত সময়ের পরেও চলে এই প্রচারণা। প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারাও নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন; ভোট প্রার্থনা করছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও সরস্বতী পূজার কারণে ভোট দুইদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন ভোট হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ভোট এর বাকি ১২ দিন।

তাপস : প্রচারণার ৯ম দিনটি রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক থেকে শুরু করেন দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এদিন তিনি দক্ষিণ সিটির ৬০, ৬১, ৬২, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নের যে রূপরেখা প্রদান করেছি তা ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে আমরা যেখানেই যাচ্ছি অভূতপূর্ব ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। আমাদের প্রাণের ঢাকাকে আমরা সবাই ভালোবাসি। আগামী ৩০ জানুয়ারি উন্নত ঢাকা গড়তে আমিসহ রাজধানীবাসী আওয়ামী লীগ মনোনীত কমিশনারদের তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে আশা করি। ইনশাল্লাহ আমরা নির্বাচিত হতে পারলে আগামী পাঁচ বছর ঢাকাবাসী সব নাগরিক সুবিধা পাবেন। সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনার আওতায় আমরা সততা, নিষ্ঠা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে রাজধানীবাসীর সেবা করে যাব। ২০৪১ সাল নাগাদ ঢাকাকে আমরা উন্নত ঢাকায় পরিণত করব। উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী হবে ঢাকা।

ইশরাক : দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন। তিনি পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সদরঘাট, ইসলামপুর ও বংশাল এলাকায় প্রচার চালান। এ সময় তিনি বলেন, আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ ঢাকাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেব। ক্লিন ঢাকা গড়ে তুলতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত ১৩ বছরে ঢাকা ধ্বংস করা হয়েছে। বাস অনুপযোগী এই শহরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলাই হবে আমার প্রধান কাজ। গতকাল কদমতলী, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী এলাকার বেহাল অবস্থা দেখেছি। এই চিত্র শুধু যাত্রাবাড়ী, কদমতলী অথবা শ্যামপুরেরই নয়। এটা পুরো ঢাকারই চিত্র। এর কারণ, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা অনির্বাচিত। ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতা থাকে। প্রচারণার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালামসহ অন্য নেতারা ছিলেন ইশরাকের সঙ্গে।

আতিকুল : উত্তরে নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম গতকাল কচুক্ষেত বাজার থেকে নির্বাচনী প্রচার করেন। এদিন তিনি ইব্রাহিমপুর, পূর্ব শেওড়াপাড়া, জামতলা, রোকেয়া সরণি, পশ্চিম শেওড়াপাড়া, ওয়াসা রোড, দক্ষিণ মনিপুর, সেনপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচিত হলে ‘স্মার্ট ঢাকা সিটি’ গড়ে তোলা হবে। এর অংশ হিসেবে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে নগরবাসী এলাকার সব সমস্যার সমাধান পাবেন। তারা তাদের সমস্যার কথা সরাসরি জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিন, অর্থাৎ, তিন মাসের মধ্যে এখানে যাত্রীছাউনি করা হবে। এ ছাড়া ইব্রাহিমপুর থেকে বাঙলা কলেজ পর্যন্ত ১০০ ফিট রাস্তার কাজ করা হবে। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা খানম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ : উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গতকাল খিলগাঁও তালতলা এলাকায় প্রচারনা চালান। এ সময় তিনি বলেন, দেশে মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। এখন জনগণ ভোট দিতে পা?রে না। এবার বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোটার?দের সাহস দেবে, ভোটকেন্দ্রে যেতে এবং ভোটারেরা যা?তে সুশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সে সহযোগিতা করবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই। তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও আমরা দেখতে চাই- শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কী করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই চার প্রার্থী ছাড়াও এবার নির্বাচনে দক্ষিণে প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার-উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা (ডাব) ও গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন (মাছ) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। উত্তরে কমিউনিস্ট পার্টির ডা. সাজেদুল হক রুবেল (কাস্তে), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহিন খান (বাঘ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদ (হাতপাখা) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুল হক দুলাল (আম) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।