বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা লেখেন, কথা বলেন বা যারা শুভ চিন্তা ও সত্যকে সামনে নিয়ে আসতে চান তাদেরকেও এখন একইভাবে পর্যুদস্ত করা হচ্ছে, নিপীড়ন করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকে দুঃখ হয় যখন দেখি যে, আমাদের গুণী মানুষ যারা রয়েছেন তাদের শুধু কথা বলার কারণে কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও তারা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন না।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন হ এহছানুল হক মিলন, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে রাষ্ট্র আমরা তৈরি করেছি সেই রাষ্ট্রের মানুষের কোন অধিকার নেই, সাধারণ মানুষ একেবারেই সাধারণ হয়ে গেছে। যে চিন্তা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি ১৯৭১ সালে, সেই চিন্তা-চেতনা, সেই ধারণাগুলো সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজকে যারা শাসকগোষ্ঠী, তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেব। তার অপরাধ কী? অপরাধ যে মাঝে মাঝে তিনি কিছু লিখতেন, তার পত্রিকায় কিছু সত্য কথা বেরুতো। এজন্য একটি হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত করা হয়েছে, তাকে প্রধান আসামি করে প্রথম আলোর নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে মাহমুদুর রহমান সাহেবের (দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক) পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তাকে দীর্ঘকাল কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। যেই ভিন্নমত পোষণ করতে চায়, ভিন্ন কথা বলতে চায়, এখন তাকে নিশ্চিহ্ন করা, নির্মূল করা অথবা স্তব্ধ করে দেয়ার কাজ চলছে। এর মধ্যে উঠে দাঁড়াতে হবে, এর মধ্যেই তো কথা বলতে হবে।
আকবর আলী খান বলেন, বাংলাদেশে আদর্শ শিক্ষক বলতে যা বোঝায় তালুকদার মনিরুজ্জামান ছিলেন তা। গবেষণা কর্মে তিনি সবসময় সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের পেছনে দৌড়াননি, তিনি প্রক্টর হতে চাননি। তিনি হয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক। এই অধ্যাপনাই ছিল তার নেশা, তার পেশা এবং আমি মনে করি যে, বাংলাদেশের শিক্ষকরা যদি তালুকদার মনিরুজ্জামানকে অনুসরণ করে তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও অনেক উন্নতি সম্ভব।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা লেখেন, কথা বলেন বা যারা শুভ চিন্তা ও সত্যকে সামনে নিয়ে আসতে চান তাদেরকেও এখন একইভাবে পর্যুদস্ত করা হচ্ছে, নিপীড়ন করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকে দুঃখ হয় যখন দেখি যে, আমাদের গুণী মানুষ যারা রয়েছেন তাদের শুধু কথা বলার কারণে কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও তারা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন না।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন হ এহছানুল হক মিলন, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে রাষ্ট্র আমরা তৈরি করেছি সেই রাষ্ট্রের মানুষের কোন অধিকার নেই, সাধারণ মানুষ একেবারেই সাধারণ হয়ে গেছে। যে চিন্তা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি ১৯৭১ সালে, সেই চিন্তা-চেতনা, সেই ধারণাগুলো সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজকে যারা শাসকগোষ্ঠী, তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেব। তার অপরাধ কী? অপরাধ যে মাঝে মাঝে তিনি কিছু লিখতেন, তার পত্রিকায় কিছু সত্য কথা বেরুতো। এজন্য একটি হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত করা হয়েছে, তাকে প্রধান আসামি করে প্রথম আলোর নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে মাহমুদুর রহমান সাহেবের (দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক) পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তাকে দীর্ঘকাল কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। যেই ভিন্নমত পোষণ করতে চায়, ভিন্ন কথা বলতে চায়, এখন তাকে নিশ্চিহ্ন করা, নির্মূল করা অথবা স্তব্ধ করে দেয়ার কাজ চলছে। এর মধ্যে উঠে দাঁড়াতে হবে, এর মধ্যেই তো কথা বলতে হবে।
আকবর আলী খান বলেন, বাংলাদেশে আদর্শ শিক্ষক বলতে যা বোঝায় তালুকদার মনিরুজ্জামান ছিলেন তা। গবেষণা কর্মে তিনি সবসময় সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের পেছনে দৌড়াননি, তিনি প্রক্টর হতে চাননি। তিনি হয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক। এই অধ্যাপনাই ছিল তার নেশা, তার পেশা এবং আমি মনে করি যে, বাংলাদেশের শিক্ষকরা যদি তালুকদার মনিরুজ্জামানকে অনুসরণ করে তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও অনেক উন্নতি সম্ভব।