অস্ট্রেলিয়ায় ৫ মাস ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলের মধ্যে এবার দেশটির সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে স্বস্তি এনে দিয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। কয়েক মাস ধরে যার দেখা ছিল না, সেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টির এমন রূপ দেখে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সিডনিবাসী। এদিকে, ভিক্টোরিয়া এবং কুইনসল্যান্ডেও দাবানলের আগুন নিভিয়ে দিয়ে ঝরেছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এসব এলকায় আজ (রোববার) ৩০ থেকে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার প্রথমে ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি পড়তে থাকলেও পরে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। ওই দিন প্রায় ৪ ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও গোটা অস্ট্রেলিয়ার দাবানল থামাতে এ বৃষ্টি যথেষ্ট নয়। কারণ, দেশটির দক্ষিণের অনেক অঞ্চলে এখনও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তারপরও আপাতত কয়েকটি জায়গায় ভারি বর্ষণের কারণে প্রাণঘাতী আগুন নিভে গেছে। তাই অপ্রত্যাশিত এ বৃষ্টির দৃশ্যে ভরে গেছে স্যোশাল মিডিয়া। স্থানীয়রা উচ্ছ্বাস নিয়ে একের পর এক শেয়ার করেছে ছবি, ভিডিও। সিডনির উত্তরে স্বেচ্ছাসেবী দমকল ব্রিগেডের এক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রে হোয়াইটের কথায়, ‘এ বৃষ্টি এক স্বস্তি, এর বদৌলতে এখানে এ মুহূর্তে সব আগুনই নিয়ন্ত্রণে চলে এলো।’
তবে, খুশি-আনন্দের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে মানুষকে কিছু সমস্যাও পোহাতে হয়েছে। সিডনিতে বৃষ্টির কারণে বিঘিœত হয়েছে ট্রেন চলাচল, সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম। কোন কোন স্থানে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। পানিতে ছাই এবং অবর্জনা ভেসে গিয়ে জলাধারে পড়ায় অনেক এলাকাতেই পানি সরবরাহ নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সিডনির ৮০ শতাংশ পানি সরবরাহকারী জলাধার ‘ওয়ারাগাম্বা’তে চেষ্টা চলছে পানি দূষণমুক্ত করার।
রুরাল ফায়ার ফাইটিং সার্ভিসের মুখপাত্র জন্টি ব্রুস বলেছেন, ‘বৃষ্টিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলো সবচেয়ে লাভবান হয়েছে। সেখানে দাবানলের অনেক আগুনই নির্বাপিত হয়েছে। আবহাওয়া ও দমকল বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বৃষ্টিকে দাবানল নির্বাপিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন। ভিক্টোরিয়াতে এখনও কয়েক জায়গায় আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য কর্মকর্তারা। নিউ সাউথ ওয়েলসের বরফময় পর্বতের কাছের এলাকাগুলোতেও জ্বলছে আগুন। সেখানে বৃষ্টির প্রভাব তত পড়েনি। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে কয়েকটি উপকূলীয় শহরেও।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
অস্ট্রেলিয়ায় ৫ মাস ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলের মধ্যে এবার দেশটির সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে স্বস্তি এনে দিয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। কয়েক মাস ধরে যার দেখা ছিল না, সেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টির এমন রূপ দেখে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সিডনিবাসী। এদিকে, ভিক্টোরিয়া এবং কুইনসল্যান্ডেও দাবানলের আগুন নিভিয়ে দিয়ে ঝরেছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এসব এলকায় আজ (রোববার) ৩০ থেকে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার প্রথমে ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি পড়তে থাকলেও পরে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। ওই দিন প্রায় ৪ ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও গোটা অস্ট্রেলিয়ার দাবানল থামাতে এ বৃষ্টি যথেষ্ট নয়। কারণ, দেশটির দক্ষিণের অনেক অঞ্চলে এখনও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তারপরও আপাতত কয়েকটি জায়গায় ভারি বর্ষণের কারণে প্রাণঘাতী আগুন নিভে গেছে। তাই অপ্রত্যাশিত এ বৃষ্টির দৃশ্যে ভরে গেছে স্যোশাল মিডিয়া। স্থানীয়রা উচ্ছ্বাস নিয়ে একের পর এক শেয়ার করেছে ছবি, ভিডিও। সিডনির উত্তরে স্বেচ্ছাসেবী দমকল ব্রিগেডের এক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রে হোয়াইটের কথায়, ‘এ বৃষ্টি এক স্বস্তি, এর বদৌলতে এখানে এ মুহূর্তে সব আগুনই নিয়ন্ত্রণে চলে এলো।’
তবে, খুশি-আনন্দের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে মানুষকে কিছু সমস্যাও পোহাতে হয়েছে। সিডনিতে বৃষ্টির কারণে বিঘিœত হয়েছে ট্রেন চলাচল, সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম। কোন কোন স্থানে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। পানিতে ছাই এবং অবর্জনা ভেসে গিয়ে জলাধারে পড়ায় অনেক এলাকাতেই পানি সরবরাহ নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সিডনির ৮০ শতাংশ পানি সরবরাহকারী জলাধার ‘ওয়ারাগাম্বা’তে চেষ্টা চলছে পানি দূষণমুক্ত করার।
রুরাল ফায়ার ফাইটিং সার্ভিসের মুখপাত্র জন্টি ব্রুস বলেছেন, ‘বৃষ্টিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলো সবচেয়ে লাভবান হয়েছে। সেখানে দাবানলের অনেক আগুনই নির্বাপিত হয়েছে। আবহাওয়া ও দমকল বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বৃষ্টিকে দাবানল নির্বাপিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন। ভিক্টোরিয়াতে এখনও কয়েক জায়গায় আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য কর্মকর্তারা। নিউ সাউথ ওয়েলসের বরফময় পর্বতের কাছের এলাকাগুলোতেও জ্বলছে আগুন। সেখানে বৃষ্টির প্রভাব তত পড়েনি। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে কয়েকটি উপকূলীয় শহরেও।