জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সেই ফাঁদের একটি হচ্ছে ইভিএম। তাই ইভিএমকে বুড়িগঙ্গায় নয়তো বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে ফ্রন্ট। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সানোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা আছে। বলা হয়েছে, ভোটের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে। কিন্তু ইভিএমে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না। ভোটারদের কাছে কোন প্রমাণ থাকে না। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লংঘন। তাই ইভিএমকে বুড়িগঙ্গায় নয়, বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও চিরস্থায়ী করার নিত্যনতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি, ভয়ভীতি, সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনবিমুখ করা হয়েছে। নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সেই ফাঁদের একটি হচ্ছে ইভিএম।
তিনি আরও বলেন, যে কোন যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে এ কথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি ও তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায়। এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত।
এক প্রশ্নের জবাবে রব বলেন, আন্দোলনে বর্জন হতে পারে, বর্জনের পরে আর কিছু থাকে না, বর্জনের পরে তো আর কিছু নাই। আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। যদি শেষ পর্যন্ত আর কোন পথ না থাকে তখন সর্বশেষ পথ সেটা অবলম্বন করব কি না সেটা এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, বর্তমান বাংলাদেশে যে নির্বাচন কমিশন, যে কমিশনকে জনগণ মনে করে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করছে, সরকারের পক্ষে কাজ করছে। সেই নির্বাচন কমিশনের যিনি কমান্ড করবেন এমন ব্যক্তির মাধ্যমে পেপার ট্রেইল ছাড়া ইভিএম চালু করা বাংলাদেশে আমরা গ্রহণ করি না।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সেই ফাঁদের একটি হচ্ছে ইভিএম। তাই ইভিএমকে বুড়িগঙ্গায় নয়তো বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে ফ্রন্ট। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সানোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা আছে। বলা হয়েছে, ভোটের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে। কিন্তু ইভিএমে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না। ভোটারদের কাছে কোন প্রমাণ থাকে না। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লংঘন। তাই ইভিএমকে বুড়িগঙ্গায় নয়, বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও চিরস্থায়ী করার নিত্যনতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি, ভয়ভীতি, সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনবিমুখ করা হয়েছে। নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সেই ফাঁদের একটি হচ্ছে ইভিএম।
তিনি আরও বলেন, যে কোন যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে এ কথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি ও তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায়। এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত।
এক প্রশ্নের জবাবে রব বলেন, আন্দোলনে বর্জন হতে পারে, বর্জনের পরে আর কিছু থাকে না, বর্জনের পরে তো আর কিছু নাই। আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। যদি শেষ পর্যন্ত আর কোন পথ না থাকে তখন সর্বশেষ পথ সেটা অবলম্বন করব কি না সেটা এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, বর্তমান বাংলাদেশে যে নির্বাচন কমিশন, যে কমিশনকে জনগণ মনে করে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করছে, সরকারের পক্ষে কাজ করছে। সেই নির্বাচন কমিশনের যিনি কমান্ড করবেন এমন ব্যক্তির মাধ্যমে পেপার ট্রেইল ছাড়া ইভিএম চালু করা বাংলাদেশে আমরা গ্রহণ করি না।