বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র জীবন, কর্ম ও মৃত্যু বিষয়ক কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় এর এই নাটকের কাহিনী বয়ানে সরাসরি ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট ব্যবহার না করে ইতিহাসের চরিত্র সব ও ঘটনার বর্তমান ব্যাখ্যামূলক প্রতিভঙ্গী রচিত হয়েছে। খুনিদের দাঁড় করানো হয়েছে রঙ্গমঞ্চের কাঠগড়ায়।
জন্মলগ্ন থেকেই মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক নানারকম সাম্প্রতিক সংকটকে উপজীব্য করে নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে নিয়ে আসছে। সংগ্রামী নারী আসমানী থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের বিস্তৃত ক্যানভাস, কবি,গীতিকার, শ্রমজীবী নারী, তাঁত শিল্পের কারিগর, প্রান্তিকজন, লিঙ্গ প্রতিবন্ধী, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের মতো বিষয়ও নানামাত্রিক চরিত্রে ওঠে এসেছে মহাকালের নাট্য আয়োজনে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান রচিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক রহমান লিয়নের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৪০তম প্রযোজনা। এ প্রসঙ্গে নাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ নাটকে সত্য বলার জন্য সেই সব খুনিদের ধূসর অতীত থেকে তাড়িয়ে আনা হয়েছে বর্তমানের রঙ্গমঞ্চে। ক্ষমতা লোভী রাজনৈতিক সামরিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের সব সুতা একটি একটি করে খুলে নিগূঢ় সত্য উন্মোচনের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে নাটকটি। কোন প্রকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি সিদ্ধির জন্য নয়- ইতিহাস পাঠের জটিল আর্বত থেকে নিরপেক্ষ সত্য রচনা করবার চেষ্টা করেছি।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন-কবির আহামেদ, ফারুক আহমেদ সেন্টু, মো. শাহনেওয়াজ, মনিরুল আলম কাজল, পলি বিশ্বাস, সামিউল জীবন, রাজিব হোসেন, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, তারেকেশ্বর তারোক, আহাদুজ্জামান কলিন্স, সুমাইয়া তাইয়ুম নিশা, আরাফাত আশরাফ, স্বপ্নিল, আজহার, পিয়াসী জাহান, কাজী তারিফ, তাজুল রনি, রেদোয়ান, সিয়াম রাব্বি, জুনায়েদ, নূর আকতার মায়া, রাফি, চৈতী সাথী, রিফাত হোসেন জুয়েল, ইকবাল চৌধুরী, মীর নাহিদ আহসান ও মীর জাহিদ হাসান।
১৯৮৩ সাল থেকে নিয়মিত নাট্যচর্চারত সংগঠন হিসাবে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে মহাকাল। এখন পর্যন্ত দলটি ৪০টি নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে এনেছে এবং ইতোমধ্যে নাটকগুলোর ১০২৩টি প্রদর্শনী সম্পন্ন করেছে। এছাড়া ২টি নাট্য প্রযোজনার শতাধিক এবং ১টি নাট্য প্রযোজনার দেড় শতাধিক মঞ্চায়ন সম্পন্ন করেছে।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র জীবন, কর্ম ও মৃত্যু বিষয়ক কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় এর এই নাটকের কাহিনী বয়ানে সরাসরি ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট ব্যবহার না করে ইতিহাসের চরিত্র সব ও ঘটনার বর্তমান ব্যাখ্যামূলক প্রতিভঙ্গী রচিত হয়েছে। খুনিদের দাঁড় করানো হয়েছে রঙ্গমঞ্চের কাঠগড়ায়।
জন্মলগ্ন থেকেই মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক নানারকম সাম্প্রতিক সংকটকে উপজীব্য করে নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে নিয়ে আসছে। সংগ্রামী নারী আসমানী থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের বিস্তৃত ক্যানভাস, কবি,গীতিকার, শ্রমজীবী নারী, তাঁত শিল্পের কারিগর, প্রান্তিকজন, লিঙ্গ প্রতিবন্ধী, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের মতো বিষয়ও নানামাত্রিক চরিত্রে ওঠে এসেছে মহাকালের নাট্য আয়োজনে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান রচিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক রহমান লিয়নের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৪০তম প্রযোজনা। এ প্রসঙ্গে নাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ নাটকে সত্য বলার জন্য সেই সব খুনিদের ধূসর অতীত থেকে তাড়িয়ে আনা হয়েছে বর্তমানের রঙ্গমঞ্চে। ক্ষমতা লোভী রাজনৈতিক সামরিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের সব সুতা একটি একটি করে খুলে নিগূঢ় সত্য উন্মোচনের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে নাটকটি। কোন প্রকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি সিদ্ধির জন্য নয়- ইতিহাস পাঠের জটিল আর্বত থেকে নিরপেক্ষ সত্য রচনা করবার চেষ্টা করেছি।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন-কবির আহামেদ, ফারুক আহমেদ সেন্টু, মো. শাহনেওয়াজ, মনিরুল আলম কাজল, পলি বিশ্বাস, সামিউল জীবন, রাজিব হোসেন, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, তারেকেশ্বর তারোক, আহাদুজ্জামান কলিন্স, সুমাইয়া তাইয়ুম নিশা, আরাফাত আশরাফ, স্বপ্নিল, আজহার, পিয়াসী জাহান, কাজী তারিফ, তাজুল রনি, রেদোয়ান, সিয়াম রাব্বি, জুনায়েদ, নূর আকতার মায়া, রাফি, চৈতী সাথী, রিফাত হোসেন জুয়েল, ইকবাল চৌধুরী, মীর নাহিদ আহসান ও মীর জাহিদ হাসান।
১৯৮৩ সাল থেকে নিয়মিত নাট্যচর্চারত সংগঠন হিসাবে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে মহাকাল। এখন পর্যন্ত দলটি ৪০টি নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে এনেছে এবং ইতোমধ্যে নাটকগুলোর ১০২৩টি প্রদর্শনী সম্পন্ন করেছে। এছাড়া ২টি নাট্য প্রযোজনার শতাধিক এবং ১টি নাট্য প্রযোজনার দেড় শতাধিক মঞ্চায়ন সম্পন্ন করেছে।