বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান ’বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর আজ ১৭তম দিন। বিকেল ৪টায় ফরিদপুর, নোয়াখালী ও শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে আজকের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘শিবের গাজন’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ উৎসবে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত.একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।
গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৬তম দিনে পরিবেশিত হয়-বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, সিলেট, বরিশাল ও নাটোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এর পরে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত উচ্চাঙ্গ সংগীত, একক আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পী এসএম মহসিন, সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, গোলাম সারোয়ার এবং মীর বরকতের পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ’কন্ঠশীলন’।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনার শুরুতে সিলেট জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, পার্থ প্রতিম দাস এর নৃত্য পরিচালনায় ‘আবার আসিব ফিরে’ নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে শিল্পী মিথিলা চৌধুরী শৈলী, জ্যোতি সোম নুপুর, উপাসনা চৌধুরী মেধা, প্রিয়া চন্দ, সুপ্রিয়া সরকার, জাওয়াতা আফনান রোজা, অনন্যা মনির লামিয়া, সারাফ ওয়ামিয়া রহমান, নিঝুম রায় সুইটি এবং ডেইজী ঘোষ। পূর্ণিমা দত্ত রায় এবং প্রতীক এন্দ এর পরিচালনায় শাহ আবদুল করিমের গান ‘ কোন মেস্তরি নাও বানাইলো’ এবং রাধারমণ দত্তের গান ‘জলে যাইওনা গো’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী বিপ্লব দেবনাথ, সজীব কান্তি দাস, সিমন সায়ন চৌধুরী, সুমাইয়া ইসলাম শোভা, তাসনোভা জহির মেঘলা, তন্নী রায়, শ্রাবন্তী ধর, অনুপমা বণিক, প্রিতম সূত্রধর এবং অয়ন পাল অপু। যন্ত্রে আঞ্চলিক লোকগানের সুর তোলেন শিল্পী প্রতীক চন্দ, নৃপেন্দ্র দেব, কৃতি সুন্দর দাস এবং প্রণয় দাস। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আকরামুল ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী পংকজ দেব।
বরিশাল জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’ এবং বরিশালের আঞ্চলিক গান ‘বরিশালে আইয়ো বন্ধু আইয়ো মোগো বাড়ি’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মৈত্রী ঘরাই, রিমি সাব্বীর, রফিকুল ইসলাম, কাজী মামুন, জহুরুল হাসান, তরিকুল ইসলাম, কমল ঘোষ, রিয়া বর্মণ, সুপ্রভা সরদার, দেবপ্রিয় কু- এবং নিক্কন বিশ্বাস। এস আই শফিক এর নৃত্য পরিচালনায় ‘ধান নদী খাল, এই তিন মিলে বরিশাল’ এবং ’পলাশী থেকে অগ্রযাত্রা’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী শফিক সুজন, গোপাল, অনামিকা, অনন্যা, তুলি, রূপকথা, ফারজানা, ঐশি ও ফারাবি। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী জহুরুল হাসান সোহেল এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মৈত্রী ঘরাই। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী নিক্কন চৌধুরী।
নাটোর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘নাটোর আমাদের ঐতিহাসিক স্মৃতির প্রিয় আবাসভূমি’ এবং ’আমৃত্যু সংগ্রামী চেতনার ব্যক্তিত্ব’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মাসমিয়া রহমান উপমা, পদ্ম ইয়াসমিন, রুকাইয়া জাহান, অন্বেষা কর্মকার, পিয়ালী ধর, সজল রায়, ইশতিয়াক মাহমুদ, রানী দে, সাদমান সাকিব এবং শাহরিয়ার হোসেন সীমান্ত। ‘পুবের আকাশে সূর্যের হাসি’ এবং ’মানবো না বন্ধনে, মানবো না শৃঙ্খলে’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী সৌরভ, মাহফুজ, শান্ত ইন্না, বৃষ্টি, পপি, নিতু, পূজা, তৌওফা এবং মৌ। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মো. ফরিদুল ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মো. আবদুল আওয়াল। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মো. আবদুল আওয়াল, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম মিলন এবং শ্রী বাবুল দাস।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান ’বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর আজ ১৭তম দিন। বিকেল ৪টায় ফরিদপুর, নোয়াখালী ও শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে আজকের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘শিবের গাজন’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ উৎসবে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত.একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।
গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৬তম দিনে পরিবেশিত হয়-বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, সিলেট, বরিশাল ও নাটোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এর পরে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত উচ্চাঙ্গ সংগীত, একক আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পী এসএম মহসিন, সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, গোলাম সারোয়ার এবং মীর বরকতের পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ’কন্ঠশীলন’।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনার শুরুতে সিলেট জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, পার্থ প্রতিম দাস এর নৃত্য পরিচালনায় ‘আবার আসিব ফিরে’ নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে শিল্পী মিথিলা চৌধুরী শৈলী, জ্যোতি সোম নুপুর, উপাসনা চৌধুরী মেধা, প্রিয়া চন্দ, সুপ্রিয়া সরকার, জাওয়াতা আফনান রোজা, অনন্যা মনির লামিয়া, সারাফ ওয়ামিয়া রহমান, নিঝুম রায় সুইটি এবং ডেইজী ঘোষ। পূর্ণিমা দত্ত রায় এবং প্রতীক এন্দ এর পরিচালনায় শাহ আবদুল করিমের গান ‘ কোন মেস্তরি নাও বানাইলো’ এবং রাধারমণ দত্তের গান ‘জলে যাইওনা গো’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী বিপ্লব দেবনাথ, সজীব কান্তি দাস, সিমন সায়ন চৌধুরী, সুমাইয়া ইসলাম শোভা, তাসনোভা জহির মেঘলা, তন্নী রায়, শ্রাবন্তী ধর, অনুপমা বণিক, প্রিতম সূত্রধর এবং অয়ন পাল অপু। যন্ত্রে আঞ্চলিক লোকগানের সুর তোলেন শিল্পী প্রতীক চন্দ, নৃপেন্দ্র দেব, কৃতি সুন্দর দাস এবং প্রণয় দাস। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আকরামুল ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী পংকজ দেব।
বরিশাল জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’ এবং বরিশালের আঞ্চলিক গান ‘বরিশালে আইয়ো বন্ধু আইয়ো মোগো বাড়ি’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মৈত্রী ঘরাই, রিমি সাব্বীর, রফিকুল ইসলাম, কাজী মামুন, জহুরুল হাসান, তরিকুল ইসলাম, কমল ঘোষ, রিয়া বর্মণ, সুপ্রভা সরদার, দেবপ্রিয় কু- এবং নিক্কন বিশ্বাস। এস আই শফিক এর নৃত্য পরিচালনায় ‘ধান নদী খাল, এই তিন মিলে বরিশাল’ এবং ’পলাশী থেকে অগ্রযাত্রা’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী শফিক সুজন, গোপাল, অনামিকা, অনন্যা, তুলি, রূপকথা, ফারজানা, ঐশি ও ফারাবি। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী জহুরুল হাসান সোহেল এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মৈত্রী ঘরাই। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী নিক্কন চৌধুরী।
নাটোর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘নাটোর আমাদের ঐতিহাসিক স্মৃতির প্রিয় আবাসভূমি’ এবং ’আমৃত্যু সংগ্রামী চেতনার ব্যক্তিত্ব’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মাসমিয়া রহমান উপমা, পদ্ম ইয়াসমিন, রুকাইয়া জাহান, অন্বেষা কর্মকার, পিয়ালী ধর, সজল রায়, ইশতিয়াক মাহমুদ, রানী দে, সাদমান সাকিব এবং শাহরিয়ার হোসেন সীমান্ত। ‘পুবের আকাশে সূর্যের হাসি’ এবং ’মানবো না বন্ধনে, মানবো না শৃঙ্খলে’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী সৌরভ, মাহফুজ, শান্ত ইন্না, বৃষ্টি, পপি, নিতু, পূজা, তৌওফা এবং মৌ। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মো. ফরিদুল ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মো. আবদুল আওয়াল। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মো. আবদুল আওয়াল, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম মিলন এবং শ্রী বাবুল দাস।