বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম । গতকাল বেলা ১১টায় তিনি মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মামলার যাতাকলে পড়ে তিনি কলেজমুখি হতে পারেননি বহু বছর। টানা ১৪ বছর পরে উচ্চ আদালত মামলার রায় দিয়েছেন। বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের একক বেঞ্চ গত বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাগেরহাট নিম্ন- আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। যা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের পক্ষে রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে শরণখোলার মাতৃভাষা কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি যোগদান করেন। ২০০৭ সালে নানা অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিটি। এক পর্যায়ে কমিটির পক্ষ হয়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের দুটিসহ ৪টি মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি। যশোর বোর্ডের অধীনে থাকায় তৎকালীন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নজরুল ইসলামকে অধ্যক্ষ পদে বহালের নির্দেশ দেয়। কমিটির পক্ষ হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি এ নির্দেশের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালে বাগেরহাট সাব জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। যা নজরুল ইসলামের পক্ষে যায়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করেন বাদী জাহাঙ্গীর মুন্সি। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট ও ঢাকায় আদালতের বারান্দায় কেটে গেছে তার ১৪টি বছর। সংসার চলে এখন স্বজনদের সহযোগিতায়। চাকরির বয়স আছে আর মাত্র ১ বছর।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম । গতকাল বেলা ১১টায় তিনি মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মামলার যাতাকলে পড়ে তিনি কলেজমুখি হতে পারেননি বহু বছর। টানা ১৪ বছর পরে উচ্চ আদালত মামলার রায় দিয়েছেন। বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের একক বেঞ্চ গত বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাগেরহাট নিম্ন- আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। যা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের পক্ষে রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে শরণখোলার মাতৃভাষা কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি যোগদান করেন। ২০০৭ সালে নানা অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিটি। এক পর্যায়ে কমিটির পক্ষ হয়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের দুটিসহ ৪টি মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি। যশোর বোর্ডের অধীনে থাকায় তৎকালীন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নজরুল ইসলামকে অধ্যক্ষ পদে বহালের নির্দেশ দেয়। কমিটির পক্ষ হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি এ নির্দেশের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালে বাগেরহাট সাব জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। যা নজরুল ইসলামের পক্ষে যায়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করেন বাদী জাহাঙ্গীর মুন্সি। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট ও ঢাকায় আদালতের বারান্দায় কেটে গেছে তার ১৪টি বছর। সংসার চলে এখন স্বজনদের সহযোগিতায়। চাকরির বয়স আছে আর মাত্র ১ বছর।