পল্টনে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা মামলার রায় আজ

আজ ২০ জানুয়ারি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সমাবেশে বোমা হামলার ১৯তম বার্ষিকী আজ। রাজধানীর পল্টন ময়দানে ২০০১ সালে বোমা হামলার ওই ঘটনার মামলায় আজ রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। আমরা মামলার ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা রায়ে ১২ আসামির মৃত্যুদ- আশা করছি।

গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ বিচারক রবিউল আলম রায় ঘোষণার জন্য ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, হুজির সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম। আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সাত আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশ চলাকালে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত ও আহত হন অনেকেই। নিহতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার হিমাংশু, খুলনার রূপসা উপজেলার আবদুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস। এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলার তদন্ত শুরু হয়। ওই হামলার ঘটনায় মামলা হওয়ার ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ জন আসামি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত।

কর্মসূচি : সিপিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সম্মুখে শহীদ স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পল্টনে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা মামলার রায় আজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আজ ২০ জানুয়ারি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সমাবেশে বোমা হামলার ১৯তম বার্ষিকী আজ। রাজধানীর পল্টন ময়দানে ২০০১ সালে বোমা হামলার ওই ঘটনার মামলায় আজ রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। আমরা মামলার ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা রায়ে ১২ আসামির মৃত্যুদ- আশা করছি।

গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ বিচারক রবিউল আলম রায় ঘোষণার জন্য ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, হুজির সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম। আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সাত আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশ চলাকালে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত ও আহত হন অনেকেই। নিহতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার হিমাংশু, খুলনার রূপসা উপজেলার আবদুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস। এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলার তদন্ত শুরু হয়। ওই হামলার ঘটনায় মামলা হওয়ার ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ জন আসামি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত।

কর্মসূচি : সিপিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সম্মুখে শহীদ স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।