মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক চা শ্রমিক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানের শ্রমিক কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুটে যায় এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলো নির্মল (৩০), নির্মলের স্ত্রী জলি (২৬), নির্মলের শাশুড়ি লক্ষী (৪৫) এবং প্রতিবেশী বাসন্তি (৩৭) ও বাসন্তির মেয়ে শিউলি। এদের মধ্যে নির্মল বাদে অন্যরা সবাই পাল্লাতল চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বলে বাগান সূত্রে জানা গেছে। এরমধ্যে নির্মল অন্যদের হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ তদন্ত কাজ করছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
চা বাগানের একজন কর্মকর্তা জানান, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। বছরখানিক আগে জলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে নির্মল শ্বশুরালয়ের শ্রমিক কলোনিতে বসবাস করে আসছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল অন্য চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানিয়েছেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পাল্লাতল চা বাগানে যাই। সেখানে গিয়ে শুনেছি একজন স্বামী পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। তখন বাড়ির অন্য লোকজন তাকে বাধা দেয়। তখন সে তাদেরকেও আঘাত করে। এভাবে ৪ জনকে হত্যা করে সে নিজেও ওই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
জেলা বার্তা পরিবেশক, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক চা শ্রমিক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানের শ্রমিক কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুটে যায় এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলো নির্মল (৩০), নির্মলের স্ত্রী জলি (২৬), নির্মলের শাশুড়ি লক্ষী (৪৫) এবং প্রতিবেশী বাসন্তি (৩৭) ও বাসন্তির মেয়ে শিউলি। এদের মধ্যে নির্মল বাদে অন্যরা সবাই পাল্লাতল চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বলে বাগান সূত্রে জানা গেছে। এরমধ্যে নির্মল অন্যদের হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ তদন্ত কাজ করছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
চা বাগানের একজন কর্মকর্তা জানান, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। বছরখানিক আগে জলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে নির্মল শ্বশুরালয়ের শ্রমিক কলোনিতে বসবাস করে আসছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল অন্য চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানিয়েছেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পাল্লাতল চা বাগানে যাই। সেখানে গিয়ে শুনেছি একজন স্বামী পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। তখন বাড়ির অন্য লোকজন তাকে বাধা দেয়। তখন সে তাদেরকেও আঘাত করে। এভাবে ৪ জনকে হত্যা করে সে নিজেও ওই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছে।