সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

লেবাননে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

আহত ২ শতাধিক

লেবাননের রাজনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে মাসজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত শনিবার দেশটির রাজধানী বৈরুতের শহীদ স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়, বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে দাঙ্গা পুলিশ। এতে উভয় পক্ষের কম পক্ষে ২২০ জন আহত হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা বৈরুতের শহীদ চত্বরে সমবেত হওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জবাবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ব্যবহার করে ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। রাতভর এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২২০ জন আহত হয়। এরমধ্যে ৮০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেডক্রস। এদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, সংঘর্ষে জড়িত থাকায় পুলিশ বেশ ক’জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে।

গত বছর ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নতুন কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল লেবানন সরকার। এর পরপরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটির জনগণ। ক্রমেই এ বিক্ষোভ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলে ২৯ অক্টোবর পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি। তার পদত্যাগের পরেও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যহত থাকে। আর এ সপ্তাহে তা আরও জোরালো হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুরনো রাজনীতিবিদদের বাদ দিতে হবে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে।

এমন দাবিতে গত শানিবার রাজধানীর বৈরুতের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভকারীরা শহীদ স্কয়ার অভিমুখে রওনা দেয়। পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরেও বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে বলে জানায় দেশটির পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ‘পার্লামেন্টের প্রবেশ মুখে সহিংস বিক্ষোভকারী ও দাঙ্গা পুলিশের সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে, দাতব্য সংস্থা রেডক্রস জানিয়েছে, সংঘর্ষে আহত ৬৫ জনেরও বেশি মানুষকে কাছের হাসপাতালে নেয়া হয়। আর ঘটনাস্থলে চিকিৎসা নেয় প্রায় একশ’ মানুষ। এদিকে বিশ্বব্যাংক হুঁশিয়ারি করে বলেছে, লেবাননের রাজনৈতিক সমস্যার শিগগির সমাধান না হলে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেকে উঠে আসবে।

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

লেবাননে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

আহত ২ শতাধিক

সংবাদ ডেস্ক |

image

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহীদ স্কয়ারে গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ -ইপিএ

লেবাননের রাজনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে মাসজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত শনিবার দেশটির রাজধানী বৈরুতের শহীদ স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়, বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে দাঙ্গা পুলিশ। এতে উভয় পক্ষের কম পক্ষে ২২০ জন আহত হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা বৈরুতের শহীদ চত্বরে সমবেত হওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জবাবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ব্যবহার করে ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। রাতভর এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২২০ জন আহত হয়। এরমধ্যে ৮০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেডক্রস। এদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, সংঘর্ষে জড়িত থাকায় পুলিশ বেশ ক’জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে।

গত বছর ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নতুন কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল লেবানন সরকার। এর পরপরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটির জনগণ। ক্রমেই এ বিক্ষোভ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলে ২৯ অক্টোবর পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি। তার পদত্যাগের পরেও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যহত থাকে। আর এ সপ্তাহে তা আরও জোরালো হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুরনো রাজনীতিবিদদের বাদ দিতে হবে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে।

এমন দাবিতে গত শানিবার রাজধানীর বৈরুতের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভকারীরা শহীদ স্কয়ার অভিমুখে রওনা দেয়। পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরেও বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে বলে জানায় দেশটির পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ‘পার্লামেন্টের প্রবেশ মুখে সহিংস বিক্ষোভকারী ও দাঙ্গা পুলিশের সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে, দাতব্য সংস্থা রেডক্রস জানিয়েছে, সংঘর্ষে আহত ৬৫ জনেরও বেশি মানুষকে কাছের হাসপাতালে নেয়া হয়। আর ঘটনাস্থলে চিকিৎসা নেয় প্রায় একশ’ মানুষ। এদিকে বিশ্বব্যাংক হুঁশিয়ারি করে বলেছে, লেবাননের রাজনৈতিক সমস্যার শিগগির সমাধান না হলে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেকে উঠে আসবে।