চলতি মাসেই হতে পারে মার্কিন-তালেবান চুক্তি : এএফপি

আফগানিস্তানের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কিন সরকারের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি সই করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এজন্য তালেবান মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার চিন্তাও করছে। তালেবান সূত্রের বরাতে সম্প্রতি এমন তথ্য জানা গেছে। এএফপি।

সংবাদ মাধ্যমটি তালেবানের বরাতে এ তথ্য জানিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, এ সম্পর্কে তালেবানের প্রধান মুখপাত্র সোহাইল শাহিনের একটি বিবৃতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে শান্তি চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে ওই তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার জন্য আমরা মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।’ তিনি জানান, ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তির বিষয়ে তালেবান আশাবাদী। পাকিস্তানও জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সহিংসতা কমাতে সম্মত হয়েছে তালেবান।

ওয়াশিংটনের বৈদেশিক নীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা। যদিও যুদ্ধে জেতার সম্ভাবনা নেই, তবু আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় নেয়া সহজ হবে না। কারণ, দীর্ঘ ১৭ বছরের যুদ্ধ দেশটিকে আরও বিভক্ত করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয় ও বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ায় তালেবান বিদ্রোহীরা এখন নিশ্চিতভাবেই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

চলতি মাসেই হতে পারে মার্কিন-তালেবান চুক্তি : এএফপি

সংবাদ ডেস্ক |

আফগানিস্তানের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কিন সরকারের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি সই করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এজন্য তালেবান মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার চিন্তাও করছে। তালেবান সূত্রের বরাতে সম্প্রতি এমন তথ্য জানা গেছে। এএফপি।

সংবাদ মাধ্যমটি তালেবানের বরাতে এ তথ্য জানিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, এ সম্পর্কে তালেবানের প্রধান মুখপাত্র সোহাইল শাহিনের একটি বিবৃতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে শান্তি চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে ওই তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার জন্য আমরা মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।’ তিনি জানান, ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তির বিষয়ে তালেবান আশাবাদী। পাকিস্তানও জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সহিংসতা কমাতে সম্মত হয়েছে তালেবান।

ওয়াশিংটনের বৈদেশিক নীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা। যদিও যুদ্ধে জেতার সম্ভাবনা নেই, তবু আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় নেয়া সহজ হবে না। কারণ, দীর্ঘ ১৭ বছরের যুদ্ধ দেশটিকে আরও বিভক্ত করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয় ও বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ায় তালেবান বিদ্রোহীরা এখন নিশ্চিতভাবেই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।