নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনী ন্যস্ত হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি আছে। আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাই প্রস্তুত। সবকিছু নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে, তাদের নির্দেশনায় অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা আশা করি। ভোটগ্রহণের দিন ১ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেল, ট্যাক্সি ক্যাব, ট্রাক ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা মহানগরে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল করবে বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় বিভিন্ন স্থানে কাউন্সিলর প্রার্থীসহ হয়রানিমূলক গ্রেফতারের অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে ধরা করা হচ্ছে না। যারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, যাদের বিদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে, তাদের ছাড়া পুলিশ কাউকেই ধরছে না। আশা করছি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী যেখানে যা প্রয়োজন, আমাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে যা দেবে আমরা তৈরি আছি। আমাদের সুপারিশগুলো নির্বাচন কমিশনকে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র এখনও কোনটাই মনে হচ্ছে না। যদি থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে লিস্ট আসবে, সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’ বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু ব্যবস্থা রয়েছে। আনসার, পুলিশ, র্যাব যা প্রয়োজন হয় প্রস্তুত আছে। যদি প্রয়োজন হয় বিজিবিও প্রস্তত থাকবে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র পরিবহন, বহন ও প্রদর্শন করা যাবে না। স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ টহল, গোয়েন্দা টিমসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার ও র্যাব প্রস্তুত থাকবে এবং দায়িত্ব পালন করে যাবে। ভোটকেন্দ্রসহ এর পাশাপাশি এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সরস্বতী পূজার কারণে ইতোমধ্যে নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানায়।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনী ন্যস্ত হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি আছে। আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাই প্রস্তুত। সবকিছু নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে, তাদের নির্দেশনায় অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা আশা করি। ভোটগ্রহণের দিন ১ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেল, ট্যাক্সি ক্যাব, ট্রাক ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা মহানগরে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল করবে বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় বিভিন্ন স্থানে কাউন্সিলর প্রার্থীসহ হয়রানিমূলক গ্রেফতারের অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে ধরা করা হচ্ছে না। যারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, যাদের বিদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে, তাদের ছাড়া পুলিশ কাউকেই ধরছে না। আশা করছি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী যেখানে যা প্রয়োজন, আমাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে যা দেবে আমরা তৈরি আছি। আমাদের সুপারিশগুলো নির্বাচন কমিশনকে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র এখনও কোনটাই মনে হচ্ছে না। যদি থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে লিস্ট আসবে, সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’ বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু ব্যবস্থা রয়েছে। আনসার, পুলিশ, র্যাব যা প্রয়োজন হয় প্রস্তুত আছে। যদি প্রয়োজন হয় বিজিবিও প্রস্তত থাকবে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র পরিবহন, বহন ও প্রদর্শন করা যাবে না। স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ টহল, গোয়েন্দা টিমসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার ও র্যাব প্রস্তুত থাকবে এবং দায়িত্ব পালন করে যাবে। ভোটকেন্দ্রসহ এর পাশাপাশি এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সরস্বতী পূজার কারণে ইতোমধ্যে নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানায়।