সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা শফিকুলের ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সাবেক কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকার। ঘুষ-অনিয়মসহ নানাভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এসব অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে দুদক। এছাড়া তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হচ্ছে।

দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৫৪৮ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যট কমিশনারেট মো. শফিকুল ইসলামের ও তার স্ত্রী মিসেস মাহবুবা ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অভিযুক্তরা দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন, আড়াল বা ছদ্মাবৃত্ত করার লক্ষ্যে স্থানান্তর/রূপান্তর/হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তাদের বিরুদ্ধে কমিশন মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিলেটের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সাবেক কমিশনার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুর-ই আলমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তা কর্তৃক তার সম্পদের হিসাব চাওয়া হলে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। পরে দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে তিনি সম্পদের তথ্য গোপনের পাশাপাশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। মূলত দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অবৈধ কাজের সুবিধার বিনিময়ে তিনি ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়া দফতর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে তিনি কমিশনও নিয়েছেন। এসব অবৈধ কাজের বিনিময়ে তিনি অবৈধ অর্থ আয় করে সেই অর্থে সম্পদ গড়েছেন। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিল করে মামলা দায়েরের অনুমোদন চাওয়া হলে অনুমোদন দেয়া হয়। যেকোন দিন মামলা দায়ের করা হবে।

আরও খবর
ছাত্রলীগের দুঃসময়ে মান্নান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় শেষ বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অপকৌশল : ফখরুল
ভাড়া পায় অ্যালামনাই-ব্যাংক খেলাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ আসামির জামিন বাতিল
সমৃদ্ধির জন্য শিক্ষিত জনগণ বেশি কার্যকর : কৃষিমন্ত্রী
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুলতান মেলায় আন্তর্জাতিক আর্টক্যাম্প শুরু
শরিয়তপুর ফেনী ও নওগাঁ জেলার পরিবেশনা আজ
এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ
আদালতে ৩৬ লাখ মামলা বিচারাধীন
সব জেলায় চক্ষু সেবা কেন্দ্র হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই কার্গোডুবি

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা শফিকুলের ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সাবেক কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকার। ঘুষ-অনিয়মসহ নানাভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এসব অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে দুদক। এছাড়া তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হচ্ছে।

দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৫৪৮ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যট কমিশনারেট মো. শফিকুল ইসলামের ও তার স্ত্রী মিসেস মাহবুবা ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অভিযুক্তরা দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন, আড়াল বা ছদ্মাবৃত্ত করার লক্ষ্যে স্থানান্তর/রূপান্তর/হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তাদের বিরুদ্ধে কমিশন মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিলেটের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সাবেক কমিশনার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুর-ই আলমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তা কর্তৃক তার সম্পদের হিসাব চাওয়া হলে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। পরে দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে তিনি সম্পদের তথ্য গোপনের পাশাপাশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। মূলত দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অবৈধ কাজের সুবিধার বিনিময়ে তিনি ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়া দফতর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে তিনি কমিশনও নিয়েছেন। এসব অবৈধ কাজের বিনিময়ে তিনি অবৈধ অর্থ আয় করে সেই অর্থে সম্পদ গড়েছেন। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিল করে মামলা দায়েরের অনুমোদন চাওয়া হলে অনুমোদন দেয়া হয়। যেকোন দিন মামলা দায়ের করা হবে।