গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

প্রাদেশিক সরকারের কার্যের প্রশংসা

তেজগাঁওয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা

এপিপির সংবাদে প্রকাশ প্রাদেশিক শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী জনাব শেখ মুজিবুর রহমান গতকল্য তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের দফতর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত শিল্প ও কৃষি উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচি কার্যকরি করার উপরই পূর্ব পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ উন্নতি নির্ভর করে। তিনি স্বাধীনতা লাভের পর বিগত দশ বৎসর পর্যন্ত প্রদেশের অনগ্রসরতার জন্য দুঃখ করিয়া বলেন পূর্ববর্তী সরকারের অবহেলার দরুনই দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হইয়াছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইহা অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার যে অশেষ শক্তি ও সনদ থাকা সত্ত্বেও প্রদেশের কোনও প্রকার অগ্রগতি সম্ভব হয় নাই। বর্তমান সরকার দেশের দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়িয়া তোলার উদ্দেশ্যে প্রদেশের সকল প্রকার শক্তি ও সম্পদকেই উন্নয়নের কাজে লাগাইবার জন্য বদ্ধপরিকর। প্রদেশের শিল্প উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান বৎসরের মধ্যেই সরকার প্রদেশের প্রায় ৫০টি নতুন ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প স্থাপন করিবেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, খাদ্য আমদানি, টেস্ট রিলিফ, অধিক খাদ্য উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন, সার্টিফিকেট প্রথা রহিত করা এবং বনদী মুক্তি প্রভৃতি কার্য সরকার ইতিমধ্যে সম্পন্ন করিয়াছেন। নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও সরকারি দফতরসমূহ হইতে দুর্নীতি দূর করিয়া প্রভৃতি কার্য সম্পাদন করিয়া বর্তমান সরকার ওয়াদা রক্ষার কাজে অগ্রসর হইয়াছেন বলিয়া তিনি জানান।

দৈনিক সংবাদ : ২১ জুলাই ১৯৫৭

শেখ মুজিবের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার

পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল হইতে প্রতিদিন শত শত আওয়ামী লীগ কর্মী উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে পদত্যাগের সংবাদ প্রত্যহ সংবাদপত্রসমূহে প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও প্রাদেশিক শিল্প সচিব জনাব শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল (শনিবার) সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে দাবী করেন যে আওয়ামী লীগ পূর্বাপেক্ষা দিন দিন আরও শক্তিশালী হইতেছে। উক্ত বিবৃতিতে জনাব শেখ মুজিবুর বলিয়াছেন যে, তিনি বা তাহারা বর্তমানে কোন প্রকার অস্বস্তিকর পরিবেশে কালাতিপাত করিতেছেন না। মওলানা ভাসানীর সহিত সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, উহা তাঁহার একান্ত সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার।

দৈনিক সংবাদ : ২২ জুলাই ১৯৫৭

প্রতিশ্রুতি পূরণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা

শ্রমমন্ত্রীর সাফাইয়ের উত্তরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও সদস্যের পাল্টা অভিযোগ সম্প্রতি শ্রম বিভাগের মন্ত্রী জনাব মুজিবুর রহমান এক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেন তাহার প্রতিবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সংগঠনী কমিটির সদস্য জনাব মফিজুর ইসলাম নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রদান করিয়াছেন।

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব শেখ মুজিবুর রহমান তাহার সাম্প্রতিক সাংবাদিক সম্মেলনে অনেকগুলি বেসামাল উক্তি করিয়াছেন। মানুষের স্মৃতিশক্তি নাকি খুব দুর্বল। সম্ভবত এই কারণেই জনাব মজিবুর রহমান পুর্বাপর ঠিক রাখিয়া এবং সমস্ত ব্যাপার নিজের দায়িত্ব নির্ণয় করিয়া কথা বলিতে পারেন নাই।

জনাব রহমান বলিয়াছেন, ২১ দফার মাত্র কয়েকটি ওয়াদা পূরণই বাকি আছে। এবং সেগুলো শাসনতন্ত্রের সংশোধন ব্যতীত পূরণ করা সম্ভব নয়। শাসনতন্ত্রের সংশোধন সম্বলিত তাহার যুক্তি মানিয়া লইলেও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের পার্থক্য বিলোপ করিয়া শিক্ষা ব্যবস্থার আশু সংস্কার সাধন ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়কে সরকারি কর্তৃত্বের আওতামুক্ত করিয়া পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানরূপে পরিণত করিতে শাসন সংস্কারের প্রয়োজন হইত না। মাথাভারী শাসন ব্যবস্থার অবসান করিয়া উচ্চপদস্থ ও নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারিদের বেতনের হারের সামঞ্জস্য বিধান ও শাসন বিভাগ হইতে বিচার বিভাগকে স্বতন্ত্রকরণ এবং অনুরূপ আরও কতিপয় শাসনতন্ত্রের সংস্কার সাধন একান্ত অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে।

জনাব রহমানের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে যে, প্রায় ৬ মাস পূর্বে প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী জনাব আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাক আওয়ামী লীগের কার্যকরী সমিতির সভায় অবিলম্বে ঢাকায় ঘোড়দৌড় খেলা বন্ধের জন্য এক নির্দেশ জারি করা হয়। কিন্তু সেই তথাকথিত খেলা আজও বহাল তবিয়তে চলিতেছে। এক্ষণে জনাব রহমানকে জিজ্ঞাস্য তাহাও কি শাসনতান্ত্রিক সংকটের জন্য?

আওয়ামী লীগের পদত্যাগকারী সদস্যদের সম্পর্কে জনাব রহমান-এর মন্তব্য সত্যই বেদনাদায়ক। আমি নিজেও ৯২-ক ধারা শাসনের অব্যবহিত পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করি। যদি অসৎ উদ্দেশ্য লইয়া যোগদান করিয়াছিলামই তবে আমার বিবৃতি পত্রিকায় প্রকাশের পর জনাব রহমান উচ্ছসিত ভাষায় আমাকে অভিনন্দন জানাইয়া যে তারবার্তা ও পত্র প্রেরণ করিয়াছিলেন তাহার সবটাই কি শঠতাপূর্ণ? আমাদের দেশের নির্যাতিত খাটি দেশপ্রেমিকগণ আওয়ামী লীগে যোগদানে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু রাজনীতির পক্ষে যে কতটুকু সহায়ক হইবে তাহা কি তখন তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বীকার করেন নাই? আসল কথা হইল তদানীন্তন ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জনাব ফজলুল হক পরিচালিত যুক্তফ্রন্টের সাঁড়াশী আক্রমণের মুখে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখিবার জন্য নির্যাতিত খাঁটি কর্মীদের প্রয়োজন ছিল এবং তাহাদের প্রচেষ্টাতেই আওয়ামী লীগ ১৯৫৫ সালে সর্বপ্রথম জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত হয় ও প্রতি ইউনিয়নে তাহার শাখা গড়িয়া ওঠে। কিন্তু ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর। জনাব রহমান অতীতের সব প্রতিশ্রুতিই ভুলিয়াছেন।

দৈনিক সংবাদ : ৪ আগস্ট ১৯৫৭

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০ , ৬ মাঘ ১৪২৬, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

প্রাদেশিক সরকারের কার্যের প্রশংসা

তেজগাঁওয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা

এপিপির সংবাদে প্রকাশ প্রাদেশিক শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী জনাব শেখ মুজিবুর রহমান গতকল্য তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের দফতর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত শিল্প ও কৃষি উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচি কার্যকরি করার উপরই পূর্ব পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ উন্নতি নির্ভর করে। তিনি স্বাধীনতা লাভের পর বিগত দশ বৎসর পর্যন্ত প্রদেশের অনগ্রসরতার জন্য দুঃখ করিয়া বলেন পূর্ববর্তী সরকারের অবহেলার দরুনই দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হইয়াছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইহা অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার যে অশেষ শক্তি ও সনদ থাকা সত্ত্বেও প্রদেশের কোনও প্রকার অগ্রগতি সম্ভব হয় নাই। বর্তমান সরকার দেশের দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়িয়া তোলার উদ্দেশ্যে প্রদেশের সকল প্রকার শক্তি ও সম্পদকেই উন্নয়নের কাজে লাগাইবার জন্য বদ্ধপরিকর। প্রদেশের শিল্প উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান বৎসরের মধ্যেই সরকার প্রদেশের প্রায় ৫০টি নতুন ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প স্থাপন করিবেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, খাদ্য আমদানি, টেস্ট রিলিফ, অধিক খাদ্য উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন, সার্টিফিকেট প্রথা রহিত করা এবং বনদী মুক্তি প্রভৃতি কার্য সরকার ইতিমধ্যে সম্পন্ন করিয়াছেন। নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও সরকারি দফতরসমূহ হইতে দুর্নীতি দূর করিয়া প্রভৃতি কার্য সম্পাদন করিয়া বর্তমান সরকার ওয়াদা রক্ষার কাজে অগ্রসর হইয়াছেন বলিয়া তিনি জানান।

দৈনিক সংবাদ : ২১ জুলাই ১৯৫৭

শেখ মুজিবের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার

পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল হইতে প্রতিদিন শত শত আওয়ামী লীগ কর্মী উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে পদত্যাগের সংবাদ প্রত্যহ সংবাদপত্রসমূহে প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও প্রাদেশিক শিল্প সচিব জনাব শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল (শনিবার) সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে দাবী করেন যে আওয়ামী লীগ পূর্বাপেক্ষা দিন দিন আরও শক্তিশালী হইতেছে। উক্ত বিবৃতিতে জনাব শেখ মুজিবুর বলিয়াছেন যে, তিনি বা তাহারা বর্তমানে কোন প্রকার অস্বস্তিকর পরিবেশে কালাতিপাত করিতেছেন না। মওলানা ভাসানীর সহিত সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, উহা তাঁহার একান্ত সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার।

দৈনিক সংবাদ : ২২ জুলাই ১৯৫৭

প্রতিশ্রুতি পূরণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা

শ্রমমন্ত্রীর সাফাইয়ের উত্তরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও সদস্যের পাল্টা অভিযোগ সম্প্রতি শ্রম বিভাগের মন্ত্রী জনাব মুজিবুর রহমান এক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেন তাহার প্রতিবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সংগঠনী কমিটির সদস্য জনাব মফিজুর ইসলাম নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রদান করিয়াছেন।

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব শেখ মুজিবুর রহমান তাহার সাম্প্রতিক সাংবাদিক সম্মেলনে অনেকগুলি বেসামাল উক্তি করিয়াছেন। মানুষের স্মৃতিশক্তি নাকি খুব দুর্বল। সম্ভবত এই কারণেই জনাব মজিবুর রহমান পুর্বাপর ঠিক রাখিয়া এবং সমস্ত ব্যাপার নিজের দায়িত্ব নির্ণয় করিয়া কথা বলিতে পারেন নাই।

জনাব রহমান বলিয়াছেন, ২১ দফার মাত্র কয়েকটি ওয়াদা পূরণই বাকি আছে। এবং সেগুলো শাসনতন্ত্রের সংশোধন ব্যতীত পূরণ করা সম্ভব নয়। শাসনতন্ত্রের সংশোধন সম্বলিত তাহার যুক্তি মানিয়া লইলেও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের পার্থক্য বিলোপ করিয়া শিক্ষা ব্যবস্থার আশু সংস্কার সাধন ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়কে সরকারি কর্তৃত্বের আওতামুক্ত করিয়া পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানরূপে পরিণত করিতে শাসন সংস্কারের প্রয়োজন হইত না। মাথাভারী শাসন ব্যবস্থার অবসান করিয়া উচ্চপদস্থ ও নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারিদের বেতনের হারের সামঞ্জস্য বিধান ও শাসন বিভাগ হইতে বিচার বিভাগকে স্বতন্ত্রকরণ এবং অনুরূপ আরও কতিপয় শাসনতন্ত্রের সংস্কার সাধন একান্ত অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে।

জনাব রহমানের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে যে, প্রায় ৬ মাস পূর্বে প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী জনাব আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাক আওয়ামী লীগের কার্যকরী সমিতির সভায় অবিলম্বে ঢাকায় ঘোড়দৌড় খেলা বন্ধের জন্য এক নির্দেশ জারি করা হয়। কিন্তু সেই তথাকথিত খেলা আজও বহাল তবিয়তে চলিতেছে। এক্ষণে জনাব রহমানকে জিজ্ঞাস্য তাহাও কি শাসনতান্ত্রিক সংকটের জন্য?

আওয়ামী লীগের পদত্যাগকারী সদস্যদের সম্পর্কে জনাব রহমান-এর মন্তব্য সত্যই বেদনাদায়ক। আমি নিজেও ৯২-ক ধারা শাসনের অব্যবহিত পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করি। যদি অসৎ উদ্দেশ্য লইয়া যোগদান করিয়াছিলামই তবে আমার বিবৃতি পত্রিকায় প্রকাশের পর জনাব রহমান উচ্ছসিত ভাষায় আমাকে অভিনন্দন জানাইয়া যে তারবার্তা ও পত্র প্রেরণ করিয়াছিলেন তাহার সবটাই কি শঠতাপূর্ণ? আমাদের দেশের নির্যাতিত খাটি দেশপ্রেমিকগণ আওয়ামী লীগে যোগদানে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু রাজনীতির পক্ষে যে কতটুকু সহায়ক হইবে তাহা কি তখন তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বীকার করেন নাই? আসল কথা হইল তদানীন্তন ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জনাব ফজলুল হক পরিচালিত যুক্তফ্রন্টের সাঁড়াশী আক্রমণের মুখে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখিবার জন্য নির্যাতিত খাঁটি কর্মীদের প্রয়োজন ছিল এবং তাহাদের প্রচেষ্টাতেই আওয়ামী লীগ ১৯৫৫ সালে সর্বপ্রথম জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত হয় ও প্রতি ইউনিয়নে তাহার শাখা গড়িয়া ওঠে। কিন্তু ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর। জনাব রহমান অতীতের সব প্রতিশ্রুতিই ভুলিয়াছেন।

দৈনিক সংবাদ : ৪ আগস্ট ১৯৫৭