বড় মূলধনী কোম্পানির ওপর ভর করে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে

কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর

গত সপ্তাহে বড় ধরনের ধসের পর দেশের পুঁজিবাজার বড় উত্থানে রয়েছে। আগের দিন ২৩২ পয়েন্ট বৃদ্ধির ধারাবাহিকাতায় গতকালও দেশের উভয় বাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৯১ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার উত্থানে পার করল টানা চতুর্থ দিন। তবে গতকাল কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট আর আতঙ্কে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে ধস নেমেছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়েছে। এর ফলে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে এসেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে ওঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচকের উত্থানে এদিন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে ডিএসই। বাজার মূলধন আগের দিনের তুলনায় ৪ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা বেড়ে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১১৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাজার মূলধনের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪১১ কোটি ৩৬ লাখ। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসএস স্টিলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ হোলসিম। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, খুলনা পাওয়ার, এবিএন টেলিকম এবং ন্যাশনল ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বড় মূলধনী কোম্পানির ওপর ভর করে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে

কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

গত সপ্তাহে বড় ধরনের ধসের পর দেশের পুঁজিবাজার বড় উত্থানে রয়েছে। আগের দিন ২৩২ পয়েন্ট বৃদ্ধির ধারাবাহিকাতায় গতকালও দেশের উভয় বাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৯১ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার উত্থানে পার করল টানা চতুর্থ দিন। তবে গতকাল কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট আর আতঙ্কে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে ধস নেমেছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়েছে। এর ফলে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে এসেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে ওঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচকের উত্থানে এদিন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে ডিএসই। বাজার মূলধন আগের দিনের তুলনায় ৪ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা বেড়ে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১১৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাজার মূলধনের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪১১ কোটি ৩৬ লাখ। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসএস স্টিলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ হোলসিম। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, খুলনা পাওয়ার, এবিএন টেলিকম এবং ন্যাশনল ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।