বিএনপি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করবে না কাদের

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটা পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাম্পেইন করবে, কিন্তু আমি ক্যাম্পেইন করতে পারছি না, ভোট চাওয়ার কোন ক্যাম্পেইনেও অংশ নিতে পারছি না। আমি আমাদের নির্বাচনী অফিসগুলোতে পর্যন্ত যাইনি। আমারতো একটু কষ্ট আছে। আমি নিয়ম মেনে চলছি। নির্বাচনে সব দলের জন্য কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে? আমার নিজেরই অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল আজকে প্রচারণা চালাচ্ছেন, আমি আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল তা পারছি না। তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোথায় হলো। এটা প্রশ্নটা আমার। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নালিশ নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। যেকোন ব্যাপারে অভিযোগ ও নালিশ করা তাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে। সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করবে না। কারণ বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে অভিযোগ আর নালিশের। বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল হচ্ছে বিএনপি। তারা রাজপথে আন্দোলন করে বিরোধীদল হিসেবে সফলতা পায়নি। নির্বাচনেও তারা পরাজিত হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে। তারা ভোট কারচুপির কথা ভোট গণনা পর্যন্ত বলতে থাকবে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। চট্টগ্রাম, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জিতেই গেছে। তারপরও দেখা গেছে তাদের প্রার্থী রাস্তায় বসে গেছে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে। ধানের শীষের গণজোয়ার এটা দিবাস্বপ্নের মতো, এর কোন বাস্তবতা নেই। ১ ফেব্রুয়ারির বোঝা যাবে গণজোয়ার কোন দিকে। গণজোয়ার ধানের শীষের পক্ষে না নৌকার পক্ষে, সেটা সেদিন প্রমাণ হবে। দিবাস্বপ্ন দেখেতো লাভ নেই। তারা দিবাস্বপ্ন দেখতে পারেন এরকম দিবাস্বপ্ন ও গণজোয়ারের কথা জাতীয় নির্বাচনের আগেও তারা বলেছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

কেবিনেট বৈঠকে প্রথম আলো ইস্যুতে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সড়কমন্ত্রী বলেন, এটা আদালতের বিষয়। আমরা এই ইস্যুতে কিছু বলতে চাই না। এটা আদালতের বিষয়, আদালত যদি জামিন দেন, দিবেন। জামিন দেয়ার এখতিয়ার আদালতের। বিচার বিভাগ স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ, তাদের যে ক্ষমতা রয়েছে সেখানে আমাদের সরকার বা দলের কিছু বলার নেই। এটা আদালতের বিষয়। গ্রেফতারি পারোয়ানা আদালত থেকে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। যা হবে আদালতে হবে। জামিন দিলেও আদালত দেবে, মুক্তি দিলেও আদালত দেবে। সরকারের এখানে ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন ব্যাপার নেই। আমরা কেন এখানে জড়াতে যাব। এটাতো সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের কোন কিছু নেই। একটা ঘটনা ঘটেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তারা আবার জামিন নিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।

নির্বাচনের আরপিও সংশোধন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। এখন নির্বাচনটা হয়ে যাক। এখন এ নির্বাচনে এটার পরির্বতনের দাবি তুলছি না। সংসদের কথাটা বলতে গেলে বিভিন্ন কথা আসে, পৃথিবীর কোন উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা ক্যাম্পেইন করতে পারে না, এ রকম বিধান নেই। আমাদের এখানে এটা কেন হলে তাতো জানি না। তারা এটা কেনইবা রাখছেন তাও জানি না।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সিটি নির্বাচন নিয়ে

বিএনপি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করবে না কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটা পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাম্পেইন করবে, কিন্তু আমি ক্যাম্পেইন করতে পারছি না, ভোট চাওয়ার কোন ক্যাম্পেইনেও অংশ নিতে পারছি না। আমি আমাদের নির্বাচনী অফিসগুলোতে পর্যন্ত যাইনি। আমারতো একটু কষ্ট আছে। আমি নিয়ম মেনে চলছি। নির্বাচনে সব দলের জন্য কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে? আমার নিজেরই অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল আজকে প্রচারণা চালাচ্ছেন, আমি আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল তা পারছি না। তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোথায় হলো। এটা প্রশ্নটা আমার। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নালিশ নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। যেকোন ব্যাপারে অভিযোগ ও নালিশ করা তাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে। সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করবে না। কারণ বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে অভিযোগ আর নালিশের। বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল হচ্ছে বিএনপি। তারা রাজপথে আন্দোলন করে বিরোধীদল হিসেবে সফলতা পায়নি। নির্বাচনেও তারা পরাজিত হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে। তারা ভোট কারচুপির কথা ভোট গণনা পর্যন্ত বলতে থাকবে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। চট্টগ্রাম, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জিতেই গেছে। তারপরও দেখা গেছে তাদের প্রার্থী রাস্তায় বসে গেছে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে। ধানের শীষের গণজোয়ার এটা দিবাস্বপ্নের মতো, এর কোন বাস্তবতা নেই। ১ ফেব্রুয়ারির বোঝা যাবে গণজোয়ার কোন দিকে। গণজোয়ার ধানের শীষের পক্ষে না নৌকার পক্ষে, সেটা সেদিন প্রমাণ হবে। দিবাস্বপ্ন দেখেতো লাভ নেই। তারা দিবাস্বপ্ন দেখতে পারেন এরকম দিবাস্বপ্ন ও গণজোয়ারের কথা জাতীয় নির্বাচনের আগেও তারা বলেছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

কেবিনেট বৈঠকে প্রথম আলো ইস্যুতে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সড়কমন্ত্রী বলেন, এটা আদালতের বিষয়। আমরা এই ইস্যুতে কিছু বলতে চাই না। এটা আদালতের বিষয়, আদালত যদি জামিন দেন, দিবেন। জামিন দেয়ার এখতিয়ার আদালতের। বিচার বিভাগ স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ, তাদের যে ক্ষমতা রয়েছে সেখানে আমাদের সরকার বা দলের কিছু বলার নেই। এটা আদালতের বিষয়। গ্রেফতারি পারোয়ানা আদালত থেকে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। যা হবে আদালতে হবে। জামিন দিলেও আদালত দেবে, মুক্তি দিলেও আদালত দেবে। সরকারের এখানে ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন ব্যাপার নেই। আমরা কেন এখানে জড়াতে যাব। এটাতো সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের কোন কিছু নেই। একটা ঘটনা ঘটেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তারা আবার জামিন নিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।

নির্বাচনের আরপিও সংশোধন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। এখন নির্বাচনটা হয়ে যাক। এখন এ নির্বাচনে এটার পরির্বতনের দাবি তুলছি না। সংসদের কথাটা বলতে গেলে বিভিন্ন কথা আসে, পৃথিবীর কোন উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা ক্যাম্পেইন করতে পারে না, এ রকম বিধান নেই। আমাদের এখানে এটা কেন হলে তাতো জানি না। তারা এটা কেনইবা রাখছেন তাও জানি না।