বিধি ভঙ্গই যেন নিয়ম

নির্বিকার ইসি

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। তাই স্বভাবতই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে প্রচারণায় প্রতিদিনই আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে। বিধি-ভঙ্গই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধি মানাতে মাঠে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র সংশ্লিষ্টরা তেমন কোন কাজই করছেন না। প্রতিদিনই বিধি ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসি কার্যত নির্বিকার। দায়িত্ববানদের দায়িত্বহীনতার কারণে ইউও নোট দিয়েছেন খোদ ইসির কমিশনার।

গতকাল প্রচারণা ১১তম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। ১ ফেব্রুয়ারির এই নির্বাচন নিয়ে নগরবাসী এখন আলোচনা সমালোচনায় ব্যস্ত। রাজধানীর বাসিন্দাদের আলোচনার মূল কেন্দ্রে রয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস, ইশরাক হোসেন, আতিকুল ইসলাম ও তাবিথ আউয়াল। নৌকা ও ধানের শীষের এই প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রচারণার সময়। তারা সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

মাহবুব তালুকদার : ঢাকা সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একের পর এক অভিযোগের মুখে রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাহী হাকিমরা মাঠে আছেন বললেও তাদের কাজ দেখতে পাচ্ছেন না খোদ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এক আনঅফিসিয়াল (ইউও) নোটে তিনি বলেন, আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে নির্বাহী হাকিমদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০ জানুয়ারি সংবাদপত্রে দেয়া বিজ্ঞাপনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়রের পক্ষে তার সাফল্যের প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই প্রচারণার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। হলফনামা যাচাইয়ের কোন উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে হলফনামা প্রদানের বিধান প্রশ্নের সম্মুখীন, যাতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে। মাহবুব তালুকদার তার ইউও নোট প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, শাহাদত হোসেন চৌধুরীর পাশাপাশি দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।

তাপস : দক্ষিণে নৌকার মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করা বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল। নির্বাচনী প্রচার যত দিন চলবে, তত দিন এটা হতে থাকবে। নিছক অভিযোগ করতে হয় বলেই তারা করছে। ঢাকার উন্নয়নের জন্য নয়, নগরবাসীকে সেবা দিতে নয়, ঢাকাবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য নয়, উন্নত ও আধুনিক ঢাকা গড়তে নয়, বরং তারা বারবার বলছে এটি তাদের আন্দোলনের একটি অংশ। এই নির্বাচনকে তারা তাদের নেত্রীকে মুক্ত করার আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখছে। ঢাকাবাসী এটা গ্রহণ করবে না। একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকাবাসী তাদের সেবক নির্বাচিত করবে। আমি দু-এক দিনের মধ্যেই বিস্তারিত ইশতেহার প্রকাশ করবো। গতকাল তাপস খিলগাঁও রেলগেটের পাশে জোড় পুকুর মাঠ থেকে একাদশ দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি। প্রচারণার সময় মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, যুব লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরকারদলীয় প্রার্থী আমার বয়স নিয়ে সমালোচনা করে। আমি তরুণ সমাজকে বলব, আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন। আমাকে ভোট দেবেন। আমরা দেখিয়ে দেব তরুণরাও পারে। ‘এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও ঢাকা শহরের পরিবর্তন করতে পারেনি। তাই এখন একটি পরিবর্তন দরকার। আপনারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন আমি এই ঢাকা শহরকে সুন্দর একটি বাসযোগ্য শহরে পরিণত করার পাশাপাশি আমাদের দলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে তা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রাণপণ কাজ করে যাব। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে থেকে একাদশতম দিনের প্রচারণা শুরু করেন ইশরাক। প্রচারণার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুল : উত্তরে নৌকার মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হলে ঢাকা ওয়াসাসহ সব সেবা সংস্থাকে সমন্বয় এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আনব। মানুষের প্রত্যাশা সব সেবা সংস্থার কাজ তড়িৎগতিতে হোক, ভোগান্তি কম হোক। আমরা নির্বাচিত হলে সবার আগে সব সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করব। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে যেমন জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চাই, তেমনি ওয়াসাসহ সব সেবা সংস্থাকেও জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে। আপনাদের ভোটে যদি নির্বাচিত হই তাহলে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করব। কথা দিতে চাই, যদি নির্বাচিত হই একটি অত্যাধুনিক বাজার, শিশুদের জন্য খেলার মাঠ, একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করে দেব ইনশাআল্লাহ্। গতকাল খিলক্ষেত রেলগেট, লেকসিটি, কনকর্ড, কুড়িল, যমুনা ফিউচার পার্ক, ভাটারা, ডুমনি, তলনা, প্যাতিরা, আশকোনা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ : উত্তরে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে, আমরা দেখছি জনমত আমাদের পক্ষে রয়েছে, সাধারণ জনগণের পক্ষে রয়েছে। আমরা মনে করি, এ রকম পরিস্থিতি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকলে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আগামীতে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব, ইনশাআল্লাহ। আমরা দুর্নীতি, দুঃশাসন, ডেঙ্গু ও দূষণ থেকে যেমন মুক্তি চাই, তেমনি আমরা চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। গতকাল মিরপুরে বাইতুল মোশাররফ জামে মসজিদের সামনে নির্বাচনী প্রচারণার ১১তম দিনের শুরু করেন তাবিথ। প্রচারণার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আর ১০ দিন

বিধি ভঙ্গই যেন নিয়ম

নির্বিকার ইসি

ফয়েজ আহমেদ তুষার ও ইমদাদুল হাসান রাতুল

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। তাই স্বভাবতই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে প্রচারণায় প্রতিদিনই আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে। বিধি-ভঙ্গই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধি মানাতে মাঠে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র সংশ্লিষ্টরা তেমন কোন কাজই করছেন না। প্রতিদিনই বিধি ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসি কার্যত নির্বিকার। দায়িত্ববানদের দায়িত্বহীনতার কারণে ইউও নোট দিয়েছেন খোদ ইসির কমিশনার।

গতকাল প্রচারণা ১১তম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। ১ ফেব্রুয়ারির এই নির্বাচন নিয়ে নগরবাসী এখন আলোচনা সমালোচনায় ব্যস্ত। রাজধানীর বাসিন্দাদের আলোচনার মূল কেন্দ্রে রয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস, ইশরাক হোসেন, আতিকুল ইসলাম ও তাবিথ আউয়াল। নৌকা ও ধানের শীষের এই প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রচারণার সময়। তারা সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

মাহবুব তালুকদার : ঢাকা সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের একের পর এক অভিযোগের মুখে রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাহী হাকিমরা মাঠে আছেন বললেও তাদের কাজ দেখতে পাচ্ছেন না খোদ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এক আনঅফিসিয়াল (ইউও) নোটে তিনি বলেন, আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে নির্বাহী হাকিমদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০ জানুয়ারি সংবাদপত্রে দেয়া বিজ্ঞাপনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়রের পক্ষে তার সাফল্যের প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই প্রচারণার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। হলফনামা যাচাইয়ের কোন উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে হলফনামা প্রদানের বিধান প্রশ্নের সম্মুখীন, যাতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে। মাহবুব তালুকদার তার ইউও নোট প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, শাহাদত হোসেন চৌধুরীর পাশাপাশি দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।

তাপস : দক্ষিণে নৌকার মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করা বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল। নির্বাচনী প্রচার যত দিন চলবে, তত দিন এটা হতে থাকবে। নিছক অভিযোগ করতে হয় বলেই তারা করছে। ঢাকার উন্নয়নের জন্য নয়, নগরবাসীকে সেবা দিতে নয়, ঢাকাবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য নয়, উন্নত ও আধুনিক ঢাকা গড়তে নয়, বরং তারা বারবার বলছে এটি তাদের আন্দোলনের একটি অংশ। এই নির্বাচনকে তারা তাদের নেত্রীকে মুক্ত করার আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখছে। ঢাকাবাসী এটা গ্রহণ করবে না। একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকাবাসী তাদের সেবক নির্বাচিত করবে। আমি দু-এক দিনের মধ্যেই বিস্তারিত ইশতেহার প্রকাশ করবো। গতকাল তাপস খিলগাঁও রেলগেটের পাশে জোড় পুকুর মাঠ থেকে একাদশ দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি। প্রচারণার সময় মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, যুব লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরকারদলীয় প্রার্থী আমার বয়স নিয়ে সমালোচনা করে। আমি তরুণ সমাজকে বলব, আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন। আমাকে ভোট দেবেন। আমরা দেখিয়ে দেব তরুণরাও পারে। ‘এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও ঢাকা শহরের পরিবর্তন করতে পারেনি। তাই এখন একটি পরিবর্তন দরকার। আপনারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন আমি এই ঢাকা শহরকে সুন্দর একটি বাসযোগ্য শহরে পরিণত করার পাশাপাশি আমাদের দলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে তা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রাণপণ কাজ করে যাব। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে থেকে একাদশতম দিনের প্রচারণা শুরু করেন ইশরাক। প্রচারণার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুল : উত্তরে নৌকার মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হলে ঢাকা ওয়াসাসহ সব সেবা সংস্থাকে সমন্বয় এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আনব। মানুষের প্রত্যাশা সব সেবা সংস্থার কাজ তড়িৎগতিতে হোক, ভোগান্তি কম হোক। আমরা নির্বাচিত হলে সবার আগে সব সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করব। নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে যেমন জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে চাই, তেমনি ওয়াসাসহ সব সেবা সংস্থাকেও জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে। আপনাদের ভোটে যদি নির্বাচিত হই তাহলে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করব। কথা দিতে চাই, যদি নির্বাচিত হই একটি অত্যাধুনিক বাজার, শিশুদের জন্য খেলার মাঠ, একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করে দেব ইনশাআল্লাহ্। গতকাল খিলক্ষেত রেলগেট, লেকসিটি, কনকর্ড, কুড়িল, যমুনা ফিউচার পার্ক, ভাটারা, ডুমনি, তলনা, প্যাতিরা, আশকোনা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ : উত্তরে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে, আমরা দেখছি জনমত আমাদের পক্ষে রয়েছে, সাধারণ জনগণের পক্ষে রয়েছে। আমরা মনে করি, এ রকম পরিস্থিতি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকলে, ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আগামীতে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব, ইনশাআল্লাহ। আমরা দুর্নীতি, দুঃশাসন, ডেঙ্গু ও দূষণ থেকে যেমন মুক্তি চাই, তেমনি আমরা চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। গতকাল মিরপুরে বাইতুল মোশাররফ জামে মসজিদের সামনে নির্বাচনী প্রচারণার ১১তম দিনের শুরু করেন তাবিথ। প্রচারণার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।