অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টির পরও কাটছে না দাবানলের হুমকি

ভারি বৃষ্টিপাতের পরেও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের ভয়াবহতা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না দেশটির কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে এখনই এ ধ্বংসাত্মক দাবানল নিভে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিবিসি।

ব্রিটিশ এ সংবাদ মাধ্যম তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া দাবানলে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ কোটি প্রাণীরও মৃত্যু হয়েছে। অসংখ্য গাছ পুড়েছে, হাজার হাজার বনভূমি উজাড় হয়েছে, ভস্মীভূত হয়েছে কয়েক হাজার বাড়িঘর। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য উপকূলীয় কুলনুরা এলাকায় ১৫৬ লাখ হেক্টর আয়তনের গাছপালা পুড়ে গেছে। তবে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় দাবানলের তীব্রতা কমতে থাকে। মেলবোর্ন এবং ক্যানবেরায় ঝড় চলছে। ভেঙে গেছে বাড়িঘর ও গাড়ির কাচ। সোমবার পর্যন্ত সিডনি ও ব্রিজবেনে আরও ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, দাবানলে তাপমাত্রার তীব্রতার কারণে মারাত্মক খরা দেখা দিয়েছে, ত্বরান্বিত করেছে জলবায়ু পরিবর্তন। সোমবার দেশটির অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়ার প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রু বলেন, সাম্প্রতিক এ বৃষ্টি দাবানলের কারণে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য খুবই শান্তি নিয়ে এসেছে। তবে এ ঝড় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিধসের কারণে অনেক পথও বন্ধ হয়ে গেছে। দেশটির দমকল বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এখনও ১৫ লাখ হেক্টর এলাকাজুড়ে আগুন বিরাজ করছে। ধোঁয়ার কারণে মেলবোর্নসহ নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোর বাতাস বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা জানান, আগুন মৌসুম শেষ হতে এখনও বেশ সময় বাকি। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার দাবানল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের ড. রিচার্ড জানান, আগুনের মৌসুম শেষ হতে এখনও অনেক সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই মৌসুমে দাবানল বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টির পরও কাটছে না দাবানলের হুমকি

সংবাদ ডেস্ক |

image

ভারি বৃষ্টিপাতের পরেও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের ভয়াবহতা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না দেশটির কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে এখনই এ ধ্বংসাত্মক দাবানল নিভে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিবিসি।

ব্রিটিশ এ সংবাদ মাধ্যম তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া দাবানলে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ কোটি প্রাণীরও মৃত্যু হয়েছে। অসংখ্য গাছ পুড়েছে, হাজার হাজার বনভূমি উজাড় হয়েছে, ভস্মীভূত হয়েছে কয়েক হাজার বাড়িঘর। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য উপকূলীয় কুলনুরা এলাকায় ১৫৬ লাখ হেক্টর আয়তনের গাছপালা পুড়ে গেছে। তবে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় দাবানলের তীব্রতা কমতে থাকে। মেলবোর্ন এবং ক্যানবেরায় ঝড় চলছে। ভেঙে গেছে বাড়িঘর ও গাড়ির কাচ। সোমবার পর্যন্ত সিডনি ও ব্রিজবেনে আরও ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, দাবানলে তাপমাত্রার তীব্রতার কারণে মারাত্মক খরা দেখা দিয়েছে, ত্বরান্বিত করেছে জলবায়ু পরিবর্তন। সোমবার দেশটির অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়ার প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রু বলেন, সাম্প্রতিক এ বৃষ্টি দাবানলের কারণে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য খুবই শান্তি নিয়ে এসেছে। তবে এ ঝড় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিধসের কারণে অনেক পথও বন্ধ হয়ে গেছে। দেশটির দমকল বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এখনও ১৫ লাখ হেক্টর এলাকাজুড়ে আগুন বিরাজ করছে। ধোঁয়ার কারণে মেলবোর্নসহ নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোর বাতাস বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা জানান, আগুন মৌসুম শেষ হতে এখনও বেশ সময় বাকি। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার দাবানল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের ড. রিচার্ড জানান, আগুনের মৌসুম শেষ হতে এখনও অনেক সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই মৌসুমে দাবানল বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।