সড়ক পরিবহন বিল সংসদে উত্থাপন

বিদ্যমান সড়ক পরিবহন অধ্যাদেশ ১৯৬১ রহিত করে এ সংক্রান্ত বিধানকে আরও যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব এনে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন বিল, ২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি উত্থাপন করেন। বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত সড়ক পরিবহন প্রস্তাবিত আইনের অধীন বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে উত্থাপনের পর্যায়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিলটির ওপর আপত্তি করলে, কন্ঠ ভোটে তা নাকচ হয়ে যায়। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

বিলে, এর প্রধান কর্যালয় ঢাকায় স্থাপন এবং প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে বা বিদেশে এর অধঃস্তন অফিস বা ইউনিট, প্রশিক্ষণ ইউনিট বা কেন্দ্র, মেরামত কারখানা বা ডিপো স্থাপন করার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে করপোরেশন পরিচালনার জন্য ২৩ সদসস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে করপোরেশনের কার্যাবলি, পরিচালনা পর্ষদের সভা, কমিটি গঠন, কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য, করপোরেশনের কর্মচারী নিয়োগ, আর্থিক ক্ষমতা, বাজেট, ব্যয় নির্বাহ, বার্ষিক প্রতিবেদন, কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা, যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনার ক্ষমতা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা, জনসেবক নিয়োগ, সরকারি নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল উত্থাপন :

প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা বিদ্যমান ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিন করার বিধানের প্রস্তাব করে গতকাল সংসদে ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন। বিলে বিদ্যমান আইনে, হালনাগাদ করার সময়সীমা অপ্রতুল উল্লেখ করে প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধানের বিধানের পরিবর্তে ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সড়ক পরিবহন বিল সংসদে উত্থাপন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিদ্যমান সড়ক পরিবহন অধ্যাদেশ ১৯৬১ রহিত করে এ সংক্রান্ত বিধানকে আরও যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব এনে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন বিল, ২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি উত্থাপন করেন। বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত সড়ক পরিবহন প্রস্তাবিত আইনের অধীন বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে উত্থাপনের পর্যায়ে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিলটির ওপর আপত্তি করলে, কন্ঠ ভোটে তা নাকচ হয়ে যায়। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

বিলে, এর প্রধান কর্যালয় ঢাকায় স্থাপন এবং প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে বা বিদেশে এর অধঃস্তন অফিস বা ইউনিট, প্রশিক্ষণ ইউনিট বা কেন্দ্র, মেরামত কারখানা বা ডিপো স্থাপন করার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে করপোরেশন পরিচালনার জন্য ২৩ সদসস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে করপোরেশনের কার্যাবলি, পরিচালনা পর্ষদের সভা, কমিটি গঠন, কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য, করপোরেশনের কর্মচারী নিয়োগ, আর্থিক ক্ষমতা, বাজেট, ব্যয় নির্বাহ, বার্ষিক প্রতিবেদন, কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা, যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনার ক্ষমতা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা, জনসেবক নিয়োগ, সরকারি নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল উত্থাপন :

প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা বিদ্যমান ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিন করার বিধানের প্রস্তাব করে গতকাল সংসদে ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল, ২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন। বিলে বিদ্যমান আইনে, হালনাগাদ করার সময়সীমা অপ্রতুল উল্লেখ করে প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধানের বিধানের পরিবর্তে ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।