ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ১৩তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। আট দিনব্যাপী এবারের উৎসবে ৩৯টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
গতকাল আলিয়াস ফ্রঁসেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুননী, উৎসব উপদেষ্টা মোরশেদুল ইসলাম ও ইয়াসমিন হক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব পরিচালক ফারিহা যাহিন বিভা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিয়াঁস ফ্রঁসেস সেন্টারের পরিচালক অলিভিয়ে তঁপজে।
জাফর ইকবাল বলেন, এই উৎসবটি শিশুদের জন্য বাংলাদেশের সব থেকে বড় উৎসব তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি চলচ্চিত্র উৎসব। শিশুরা এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে নানান স্বাদের চলচ্চিত্র দেখার দুর্লভ সুযোগটি কাজে লাগাবে এমনই প্রত্যাশা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট শিল্পানুরাগী এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার।
ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা, রাজধানীর আলিয়াস ফ্রঁসেস সেন্টার এবং গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা করা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টা হিসেবে মোট ৪টি প্রদর্শনী হবে। এবারের উৎসবে ৩৯টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, যা অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত।
এবারের আয়োজনে মোট চারটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সিনেমাটোগ্রাফির ওপর নিহাল কুরাইশি, ডিরেকশনের ওপর পিপলু আর খান, ‘সাউন্ড ইন ফিল্ম’র ওপর নাহিদ মাসুদ এবং ‘স্টোরি টেলিং’র ওপর কর্মশালায় অংশ নেবেন অমিতাভ রেজা। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ও রণাঙ্গনের আলোকচিত্রী হারুন হাবীব ও প্রথম বাংলাদেশি নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা। এবারে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ।
এই বিভাগে এবার ৪৮টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, এর মধ্যে নির্বাচিত ১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবং পাঁচটি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পাবে পুরস্কারের জন্য। এছাড়াও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘প্রজন্মের চোখে বঙ্গবন্ধু’ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিশুদের বানানো চলচ্চিত্র নিয়ে থাকছে প্রতিযোগিতা। উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে এসব বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হবে।
এবারের উৎসবে সহযোগিতা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃত মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আলিয়অস ফ্রঁসেস, গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউট, হোটেল আমবালা ইন, বায়োস্কোপ, সময় টেলিভিশন, দীপ্ত টেলিভিশন, রেডিও ঢোল এবং এশিয়াটিক ইএক্সপি।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |
ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ১৩তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। আট দিনব্যাপী এবারের উৎসবে ৩৯টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
গতকাল আলিয়াস ফ্রঁসেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুননী, উৎসব উপদেষ্টা মোরশেদুল ইসলাম ও ইয়াসমিন হক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব পরিচালক ফারিহা যাহিন বিভা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিয়াঁস ফ্রঁসেস সেন্টারের পরিচালক অলিভিয়ে তঁপজে।
জাফর ইকবাল বলেন, এই উৎসবটি শিশুদের জন্য বাংলাদেশের সব থেকে বড় উৎসব তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি চলচ্চিত্র উৎসব। শিশুরা এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে নানান স্বাদের চলচ্চিত্র দেখার দুর্লভ সুযোগটি কাজে লাগাবে এমনই প্রত্যাশা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট শিল্পানুরাগী এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার।
ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা, রাজধানীর আলিয়াস ফ্রঁসেস সেন্টার এবং গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা করা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টা হিসেবে মোট ৪টি প্রদর্শনী হবে। এবারের উৎসবে ৩৯টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, যা অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত।
এবারের আয়োজনে মোট চারটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সিনেমাটোগ্রাফির ওপর নিহাল কুরাইশি, ডিরেকশনের ওপর পিপলু আর খান, ‘সাউন্ড ইন ফিল্ম’র ওপর নাহিদ মাসুদ এবং ‘স্টোরি টেলিং’র ওপর কর্মশালায় অংশ নেবেন অমিতাভ রেজা। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ও রণাঙ্গনের আলোকচিত্রী হারুন হাবীব ও প্রথম বাংলাদেশি নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা। এবারে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ।
এই বিভাগে এবার ৪৮টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, এর মধ্যে নির্বাচিত ১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবং পাঁচটি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পাবে পুরস্কারের জন্য। এছাড়াও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘প্রজন্মের চোখে বঙ্গবন্ধু’ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিশুদের বানানো চলচ্চিত্র নিয়ে থাকছে প্রতিযোগিতা। উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে এসব বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হবে।
এবারের উৎসবে সহযোগিতা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃত মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আলিয়অস ফ্রঁসেস, গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউট, হোটেল আমবালা ইন, বায়োস্কোপ, সময় টেলিভিশন, দীপ্ত টেলিভিশন, রেডিও ঢোল এবং এশিয়াটিক ইএক্সপি।