ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। গতকাল দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিটি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠাবে উল্লেখ্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। মিলার বলেন, আমি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে চেয়েছি এবং কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছি। এখানকার কর্মকর্তারা আমাকে ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি তারা ভোটারের কাছেও ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভোটারদেরও ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে, তারা যে প্রার্থীকেই ভোট দেন না কেন। মিলার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবাধ, স্ষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। আজ আমেরিকায় ছুটির দিন। কারণ আজ মার্টিন লুথার কিং ডে। গণতন্ত্রের ক্ষমতা এবং যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মার্টিন লুথারের থেকে ভালো কেউ জানেন না। তাই আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।

সিটি নির্বাচনে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মিলার বলেন, আমরা বলব, দয়া করে আপনারা নির্বাচনে অংশ নিন। কখনও কখনও নির্বাচন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ (ইমপারফেক্ট), গোলযোগপূর্ণ (নয়জি) হয়, কিন্তু নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভোট প্রদানের হার প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। যা প্রশংসা করার মতো। এটি বেশ আশাব্যাঞ্জক যে রাজনৈতিক দলের পক্ষগুলো তারা একে অন্যকে যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। ফলে যেই জয় পাক না কেন, তিনিই পরবর্তী ঢাকার নেতা হবেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলারকে ইভিএমে ভোট দেয়ার প্রক্রিয়াটি দেখান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম, ইভিএম ব্যবহার শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) লে. কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন। উল্লেখ্য, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।