সংসদে প্রশ্নোত্তর

দেশে মিডিয়ার সংখ্যা ৩১৬৫টি

নিবন্ধন চায় ৩৫৯৭টি অনলাইন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে (ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত) সরকারি ও বেসরকারি মিডিয়ার সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৫টি। এরমধ্যে সরকারি প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা একটি। রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক বার্তা নামের একমাত্র সরকারি পত্রিকাটি একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. শামসূল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

টিভি চ্যানেল ৩৪টি : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এছাড়া সরকারি ৪টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। এগুলো হলো বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র। এছাড়া বেসরকারি ৩০টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। দেশব্যাপী ১৪টি আঞ্চলিক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নিবন্ধন পেতে ৩৫৯৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন : কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সদস্য মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা দান ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে : প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি ও বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে ট্রাস্ট গঠন করেছেন : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। যার মাধ্যমে সরকার অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৮৮টি পত্রিকায় ৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সমগ্র ভারতে বিটিভি দেখা যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবৎ রয়েছে। এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকবান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কোন রকম হস্তক্ষেপ করছে না। তথ্যমন্ত্রী জানান, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিটিভি সমগ্র ভারতে দেখা যাচ্ছে। বিদেশি অপসংস্কৃতির আগ্রাসন বন্ধে দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের বিদেশি সিরিয়াল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

মজুদ গ্যাসে চলবে আরও ১১ বছর

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুদ রয়েছে। দেশে বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি জানান, মজুদ গ্যাস ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২০২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-২০৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-২০৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া, সিলেটের জকিগঞ্জ-১ এবং ভোলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস-০৪, এসএস-০৯, এসএস-১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস-১২ এ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অ-গভীর সমুদ্রের ব্লগ-০৪ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।

বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজিসহ দেশে দৈনিক ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা বাগান শ্রেণীতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবাসিক খাতে গড়ে দৈনিক ৪৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বাণিজ্যিক খাতে গড়ে দৈনিক ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট অর্থাৎ বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০ , ৭ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সংসদে প্রশ্নোত্তর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

দেশে মিডিয়ার সংখ্যা ৩১৬৫টি

নিবন্ধন চায় ৩৫৯৭টি অনলাইন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে (ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত) সরকারি ও বেসরকারি মিডিয়ার সংখ্যা ৩ হাজার ১৬৫টি। এরমধ্যে সরকারি প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা একটি। রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক বার্তা নামের একমাত্র সরকারি পত্রিকাটি একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. শামসূল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

টিভি চ্যানেল ৩৪টি : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এছাড়া সরকারি ৪টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। এগুলো হলো বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র। এছাড়া বেসরকারি ৩০টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। দেশব্যাপী ১৪টি আঞ্চলিক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নিবন্ধন পেতে ৩৫৯৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন : কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সদস্য মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা দান ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে : প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি ও বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে ট্রাস্ট গঠন করেছেন : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। যার মাধ্যমে সরকার অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৮৮টি পত্রিকায় ৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সমগ্র ভারতে বিটিভি দেখা যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন বলবৎ রয়েছে। এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকবান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কোন রকম হস্তক্ষেপ করছে না। তথ্যমন্ত্রী জানান, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিটিভি সমগ্র ভারতে দেখা যাচ্ছে। বিদেশি অপসংস্কৃতির আগ্রাসন বন্ধে দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের বিদেশি সিরিয়াল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

মজুদ গ্যাসে চলবে আরও ১১ বছর

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুদ রয়েছে। দেশে বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি জানান, মজুদ গ্যাস ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সপ্তম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২০২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-২০৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-২০৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া, সিলেটের জকিগঞ্জ-১ এবং ভোলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস-০৪, এসএস-০৯, এসএস-১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস-১২ এ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অ-গভীর সমুদ্রের ব্লগ-০৪ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।

বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজিসহ দেশে দৈনিক ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা বাগান শ্রেণীতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবাসিক খাতে গড়ে দৈনিক ৪৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বাণিজ্যিক খাতে গড়ে দৈনিক ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট অর্থাৎ বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।