ব্যাংক খাতে আউটসোর্সিংয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাজার ধরতে না পারলে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে। এখনই বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আউটসোর্সিং ইন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টর’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। কর্মশালার সভাপতিত্ব এবং উদ্বোধন করেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। বিআইবিএম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাকো) এবং এলআইসিটি প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংক খাত গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংক খাতের কিছু বিনিয়োগ ব্যয়বহুল। এজন্য শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে খরচ কমানো সম্ভব হবে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭০০ বিলিয়ন ডলারে যেয়ে ঠেকবে। এজন্য ব্যাংক খাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পেপারলেস অফিস এবং ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে কাজ করছে সরকার। এজন্য অবকাঠামো এবং নীতি সহায়তা দিচ্ছে সরকার।
বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ব্যাংক আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আরও ভালো ব্যাংকিং সেবা গ্রাহকদের দেয়া সম্ভব। তবে কিছু ঝুঁকি রয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে সর্তকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাকোর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের বাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এক লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
ডেবনেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান একেএম সাব্বির মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক ব্যাংকিং যেভাবে চলছে তার সঙ্গে মানানসই ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশে প্রচলন করতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে। অটোমেশন হলে মনিটরিং খুব সহজ হয়। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ে।
বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম বলেন, ব্যাংকিং খাতে অনলাইন লেনদেন গত কয়েক বছরে অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ব্যাংক সম্পদের ৫ গুণ। ব্যাংক খাতে আউটসোর্সিংয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাজার ধরতে না পারলে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে। এলআইসিটি প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংক আউটসোর্সিং করলে সবপক্ষই লাভবান হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
ব্যাংক খাতে আউটসোর্সিংয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাজার ধরতে না পারলে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে। এখনই বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আউটসোর্সিং ইন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টর’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। কর্মশালার সভাপতিত্ব এবং উদ্বোধন করেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। বিআইবিএম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাকো) এবং এলআইসিটি প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংক খাত গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংক খাতের কিছু বিনিয়োগ ব্যয়বহুল। এজন্য শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে খরচ কমানো সম্ভব হবে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৭০০ বিলিয়ন ডলারে যেয়ে ঠেকবে। এজন্য ব্যাংক খাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পেপারলেস অফিস এবং ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে কাজ করছে সরকার। এজন্য অবকাঠামো এবং নীতি সহায়তা দিচ্ছে সরকার।
বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ব্যাংক আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আরও ভালো ব্যাংকিং সেবা গ্রাহকদের দেয়া সম্ভব। তবে কিছু ঝুঁকি রয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে সর্তকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাকোর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের বাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এক লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
ডেবনেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান একেএম সাব্বির মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক ব্যাংকিং যেভাবে চলছে তার সঙ্গে মানানসই ব্যাংকিং ব্যবস্থাও দেশে প্রচলন করতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে। অটোমেশন হলে মনিটরিং খুব সহজ হয়। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ে।
বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম বলেন, ব্যাংকিং খাতে অনলাইন লেনদেন গত কয়েক বছরে অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ব্যাংক সম্পদের ৫ গুণ। ব্যাংক খাতে আউটসোর্সিংয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাজার ধরতে না পারলে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দখলে নেবে। এলআইসিটি প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংক আউটসোর্সিং করলে সবপক্ষই লাভবান হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।