কোটচাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আদিবাসী মৎস্যজীবীরা

কোটচাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ উপজেলার বলুহর গ্রামের প্রজেক্ট পাড়ার আদিবাসী মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। এলাকার এসব সন্ত্রাসীরা মৎস্যজীবীদের জমির ফসলের ক্ষতি, লাগানো ফলের গাছ কেটে দেয়া, রাতের আঁধারে খরের গাদায় ও ঘরে আগুন দেয়া, যখন তখন যারে তারে মেরে যখম করে মাছ লুট করাসহ বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকা- করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই সে বিপদে পড়ে। সন্ত্রাসীরা তাকে বেধরক মারপিট করে। এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে। জানা যায়, গত শনিবার সকালে প্রজেক্ট পাড়ার সনাতন বিশ্বাস মাঠে নিজ জমিতে ধান রোপণের অবসরে বসে ভাত খাচ্ছিলেন, আর পাশের জমির মালিকের সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে কথা হচ্ছিল। এ সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিলন, মিজানুর, মতিয়ার ও আশাদুল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাথি মেরে মুখের ভাত ফেলে দিয়ে মারপিট করতে থাকে আর বলে এখানে কোন চাষাবাদ করতে পারবি না করলে মেরে পুতে ফেলব, এলাকায় আমরা যেটা বলি সেটাই হয়। এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন ফজলুর রহমান, মনছুর আলীসহ অনেকে এসে তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকারীরা জানায়, আমরা না থাকলে সনাতনকে হয়ত মেরেই ফেলত। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি। এ কারণে সন্ত্রাসীরা একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। ফলে পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়া গতবছর একই এলাকার সুধির হালদারের বসতঘরের ছাদে বিচলীর গাদায় রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় সুধির হালদার টের পেয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলায় পরিবারটি আগুনে পুড়ে মরার হাত থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনায়ও থানায় অভিযোগ করে কোন কাজ হয়নি। বরং সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে সুধির হালদারের মাঠে লাগানো ৫০টি আমের ও মেহগনির চারা কেটে সাবার করে দেয়। ২ বছর আগে সন্ত্রাসীরা গৌর হালদারের গ্রামের দোকানে রাতে আগুন ধরিয়ে পুরিয়ে দেয়। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, যেহেতু আমরা আদিবাসী মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, তাই সন্ত্রাসীদের একটাই উদ্দেশ্য আমরা অত্যাচারিত হয়ে যাতে ভিটে মাটি ফেলে ভারতে চলে যায়। আমরা এর প্রতিকার চাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারি। এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বলুহর প্রজেক্ট পাড়ার মাঠে একটি মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ এসেছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কোটচাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আদিবাসী মৎস্যজীবীরা

প্রতিনিধি, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ)

কোটচাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ উপজেলার বলুহর গ্রামের প্রজেক্ট পাড়ার আদিবাসী মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। এলাকার এসব সন্ত্রাসীরা মৎস্যজীবীদের জমির ফসলের ক্ষতি, লাগানো ফলের গাছ কেটে দেয়া, রাতের আঁধারে খরের গাদায় ও ঘরে আগুন দেয়া, যখন তখন যারে তারে মেরে যখম করে মাছ লুট করাসহ বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকা- করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই সে বিপদে পড়ে। সন্ত্রাসীরা তাকে বেধরক মারপিট করে। এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে। জানা যায়, গত শনিবার সকালে প্রজেক্ট পাড়ার সনাতন বিশ্বাস মাঠে নিজ জমিতে ধান রোপণের অবসরে বসে ভাত খাচ্ছিলেন, আর পাশের জমির মালিকের সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে কথা হচ্ছিল। এ সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিলন, মিজানুর, মতিয়ার ও আশাদুল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাথি মেরে মুখের ভাত ফেলে দিয়ে মারপিট করতে থাকে আর বলে এখানে কোন চাষাবাদ করতে পারবি না করলে মেরে পুতে ফেলব, এলাকায় আমরা যেটা বলি সেটাই হয়। এ অবস্থায় আশপাশের লোকজন ফজলুর রহমান, মনছুর আলীসহ অনেকে এসে তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকারীরা জানায়, আমরা না থাকলে সনাতনকে হয়ত মেরেই ফেলত। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি। এ কারণে সন্ত্রাসীরা একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। ফলে পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়া গতবছর একই এলাকার সুধির হালদারের বসতঘরের ছাদে বিচলীর গাদায় রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় সুধির হালদার টের পেয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলায় পরিবারটি আগুনে পুড়ে মরার হাত থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনায়ও থানায় অভিযোগ করে কোন কাজ হয়নি। বরং সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে সুধির হালদারের মাঠে লাগানো ৫০টি আমের ও মেহগনির চারা কেটে সাবার করে দেয়। ২ বছর আগে সন্ত্রাসীরা গৌর হালদারের গ্রামের দোকানে রাতে আগুন ধরিয়ে পুরিয়ে দেয়। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, যেহেতু আমরা আদিবাসী মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, তাই সন্ত্রাসীদের একটাই উদ্দেশ্য আমরা অত্যাচারিত হয়ে যাতে ভিটে মাটি ফেলে ভারতে চলে যায়। আমরা এর প্রতিকার চাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারি। এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বলুহর প্রজেক্ট পাড়ার মাঠে একটি মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ এসেছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।