না করতে সিইসিকে বিএনপির চিঠি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা চিঠিটি ইসি কার্যালয়ে পৌঁছে দেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন আলাল ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম, ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সিইসিকে দেয়া চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের হাতে এখনও সুযোগ আছে নিরপেক্ষতা প্রমাণের চেষ্টা করার। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই উন্মোচিত ইভিএম’র অকার্যকারিতাকে বিবেচনায় নিয়ে ইভিএম ব্যবস্থা বাতিল করে প্রচলিত ব্যালট ব্যবস্থাতেই ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করুন। ভোট প্রক্রিয়ায় সরকারি দলের খবরদারি বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আশা করি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা প্রমাণে আমাদের দাবি পূরণ করে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা নিবেন।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনে কী ঘটেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হয়েছে। সেটি নিয়ে আজ কথা বলেছি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে এই নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থা অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। উন্নতি তো দূরের কথা অবনতির দিকে যাচ্ছে, ফলে আস্থাহীনতা বাড়ছে। কমিশনকে অনুরোধ করেছি চট্টগ্রামের নির্বাচনটি বাতিল করে দিন।

কমিশন কী বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বলছে সব ঠিক আছে। ৩০ ডিসেম্বরেও বলেছিল সব ঠিক আছে, এখনও তাই বলছে। আমাদের উত্তরের প্রার্থী তাবিথের ওপর হামলা হয়েছে। এ্যানিসহ ১৫ জন হামলায় আহত হয়েছে। ঢাকার নির্বাচনে তারা রাস্তার ওপর অফিস করেছে, পোস্টার লাগিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রার্থীকে বাধা দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকার খবরদারি চালাচ্ছে বলে মনে করি।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ইভিএম ব্যবহার

না করতে সিইসিকে বিএনপির চিঠি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা চিঠিটি ইসি কার্যালয়ে পৌঁছে দেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন আলাল ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম, ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সিইসিকে দেয়া চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের হাতে এখনও সুযোগ আছে নিরপেক্ষতা প্রমাণের চেষ্টা করার। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই উন্মোচিত ইভিএম’র অকার্যকারিতাকে বিবেচনায় নিয়ে ইভিএম ব্যবস্থা বাতিল করে প্রচলিত ব্যালট ব্যবস্থাতেই ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করুন। ভোট প্রক্রিয়ায় সরকারি দলের খবরদারি বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আশা করি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা প্রমাণে আমাদের দাবি পূরণ করে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা নিবেন।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনে কী ঘটেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হয়েছে। সেটি নিয়ে আজ কথা বলেছি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে এই নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থা অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। উন্নতি তো দূরের কথা অবনতির দিকে যাচ্ছে, ফলে আস্থাহীনতা বাড়ছে। কমিশনকে অনুরোধ করেছি চট্টগ্রামের নির্বাচনটি বাতিল করে দিন।

কমিশন কী বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বলছে সব ঠিক আছে। ৩০ ডিসেম্বরেও বলেছিল সব ঠিক আছে, এখনও তাই বলছে। আমাদের উত্তরের প্রার্থী তাবিথের ওপর হামলা হয়েছে। এ্যানিসহ ১৫ জন হামলায় আহত হয়েছে। ঢাকার নির্বাচনে তারা রাস্তার ওপর অফিস করেছে, পোস্টার লাগিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রার্থীকে বাধা দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকার খবরদারি চালাচ্ছে বলে মনে করি।