কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক

সিপিডি-এশিয়া ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন

সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেভাবে এগুচ্ছে তাতে ঘোষিত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১ কোটি ৪৯ লাখ অর্থাৎ অর্ধেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি (সেন্টার ফর পলিশি ডায়ালড) ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশিত ‘প্রান্তিক যুবসমাজের কর্মসংস্থানে সরকারি পরিসেবার ভূমিকা’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণা প্রকাশ শীর্ষক সেমিনার পরিচালনা করেন সিপিডির ফেলো ড. দেবব্রত ভট্টাচার্য। গবেষক দলে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আবু সালেহ মো. শামিম আলম শিবলি প্রমুখ।

সেমিনারে দেবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, সরকার যুব সমাজের উন্নয়কে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় যুবনীতি ২০১৭, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০ ও বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যুব কর্মসংস্থান বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কোন কাজে আসছে কি না সেটা দেখার বিষয়। এ জন্য কোন মনিটরিং টিম কাজ করছে কি না সেটাও দেখার বিষয়। থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বেকার যুবসমাজের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে যেন তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছে কী?

সেমিনারে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মমুখী করা জরুরি। প্রচলিত কর্ম পদ্ধতির বাইরে গিয়ে অপ্রচলিত কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে হবে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের অনেক মানুষ বেকার রয়েছে। অথচ বাইরে থেকে লোক এনে আমাদের কলকারখানায় নিয়োগ দিতে হচ্ছে। কারণ আমাদের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য লোক দেশে নেই। অর্থাৎ আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারছি না।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার ২০২৪ এবং ২০৩০ এর কর্মসংস্থান প্রক্ষেপণ থেকে জানা যায়, বর্তমান কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার (২ দশমিক ৪ শতাংশ)। এ সময়কালে দেশে ১ কোটি ৪৯ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র অর্ধেক অর্জন সম্ভব হবে। গবেষণায় আরও বলা হয়, প্রচলিত অর্থে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের যুবসমাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে, দেশে যুবসমাজের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ। আবার বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৯ বছর করা হলে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটির মতো যা মোট শ্রমগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ শতাংশ। এই যুব জনগোষ্ঠীর বড় অংশ বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্রায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ যুবক-যুবতী বেকার। এর মধ্যে ৭৪ লাখ কোন শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা কর্মসংস্থানে যুক্ত নেই। এই যুব জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ প্রান্তিক সমাজভুক্ত যারা শহুরে শিক্ষিত যুবগোষ্ঠীর বাইরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে ‘আন্তর্জাতিক যুব উন্নয়ন সূচক-২০১৬’এ বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৮৩টি দেশের মধ্যে ১৪৬তম।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবসমাজের কাজের সুযোগের বিষয়ে বলা হয়, প্রান্তিক যুব জনগোষ্ঠীর স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত কাজের সুযোগ দেখতে পায়। সিলেটের প্রায় ৭৩ শতাংশ যুবক এবং ঠাকুরগাঁয়ের সমতল অদিবাসীদের প্রায় ২৬ শতাংশ নিজ এলাকায় চাহিদামতো কাজের সুযোগ গড়পড়তার নিচে বলে মনে করে। সিলেটের শহুরে ৯০-১০০ শতাংশ যুবকরা রাজধানীর ঢাকায় অবস্থানররত যুবক-যুবতীরা শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং কর্ম সংস্থানের সুযোগ বেশি পায় বলে মনে করে। প্রশিক্ষণের সুযোগের বিষয়ে বলা হয়, প্রায় ৬০ শতাংশ মনে করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় গড়ে ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি মানসম্পন্ন। এটা কিছুটা আশার কথা। স্বল্পআয়ের জনগোষ্ঠীর ৯৮ শতাংশ ভোকেশনাল, মধ্যমআয়ের জনগোষ্ঠীর ২৮ শতাংশ ভোকেশনাল এবং ৬৪ শতাংশ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছে সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন।

সেমিনারে আরও অংশ নেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক তাহসিনা আহমেদ, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (জেসিআই) সভাপতি সারাহ কামাল, বিডি জবস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি বাবুল আক্তার, বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিসহ সারাদেশের যুব সমাজের সদস্যরা। সংলাপে যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক

সিপিডি-এশিয়া ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেভাবে এগুচ্ছে তাতে ঘোষিত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১ কোটি ৪৯ লাখ অর্থাৎ অর্ধেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি (সেন্টার ফর পলিশি ডায়ালড) ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশিত ‘প্রান্তিক যুবসমাজের কর্মসংস্থানে সরকারি পরিসেবার ভূমিকা’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণা প্রকাশ শীর্ষক সেমিনার পরিচালনা করেন সিপিডির ফেলো ড. দেবব্রত ভট্টাচার্য। গবেষক দলে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আবু সালেহ মো. শামিম আলম শিবলি প্রমুখ।

সেমিনারে দেবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, সরকার যুব সমাজের উন্নয়কে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় যুবনীতি ২০১৭, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০ ও বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যুব কর্মসংস্থান বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কোন কাজে আসছে কি না সেটা দেখার বিষয়। এ জন্য কোন মনিটরিং টিম কাজ করছে কি না সেটাও দেখার বিষয়। থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বেকার যুবসমাজের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে যেন তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছে কী?

সেমিনারে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মমুখী করা জরুরি। প্রচলিত কর্ম পদ্ধতির বাইরে গিয়ে অপ্রচলিত কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে হবে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের অনেক মানুষ বেকার রয়েছে। অথচ বাইরে থেকে লোক এনে আমাদের কলকারখানায় নিয়োগ দিতে হচ্ছে। কারণ আমাদের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য লোক দেশে নেই। অর্থাৎ আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারছি না।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার ২০২৪ এবং ২০৩০ এর কর্মসংস্থান প্রক্ষেপণ থেকে জানা যায়, বর্তমান কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার (২ দশমিক ৪ শতাংশ)। এ সময়কালে দেশে ১ কোটি ৪৯ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র অর্ধেক অর্জন সম্ভব হবে। গবেষণায় আরও বলা হয়, প্রচলিত অর্থে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের যুবসমাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে, দেশে যুবসমাজের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ। আবার বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৯ বছর করা হলে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটির মতো যা মোট শ্রমগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ শতাংশ। এই যুব জনগোষ্ঠীর বড় অংশ বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্রায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ যুবক-যুবতী বেকার। এর মধ্যে ৭৪ লাখ কোন শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা কর্মসংস্থানে যুক্ত নেই। এই যুব জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ প্রান্তিক সমাজভুক্ত যারা শহুরে শিক্ষিত যুবগোষ্ঠীর বাইরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে ‘আন্তর্জাতিক যুব উন্নয়ন সূচক-২০১৬’এ বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৮৩টি দেশের মধ্যে ১৪৬তম।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবসমাজের কাজের সুযোগের বিষয়ে বলা হয়, প্রান্তিক যুব জনগোষ্ঠীর স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত কাজের সুযোগ দেখতে পায়। সিলেটের প্রায় ৭৩ শতাংশ যুবক এবং ঠাকুরগাঁয়ের সমতল অদিবাসীদের প্রায় ২৬ শতাংশ নিজ এলাকায় চাহিদামতো কাজের সুযোগ গড়পড়তার নিচে বলে মনে করে। সিলেটের শহুরে ৯০-১০০ শতাংশ যুবকরা রাজধানীর ঢাকায় অবস্থানররত যুবক-যুবতীরা শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং কর্ম সংস্থানের সুযোগ বেশি পায় বলে মনে করে। প্রশিক্ষণের সুযোগের বিষয়ে বলা হয়, প্রায় ৬০ শতাংশ মনে করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় গড়ে ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি মানসম্পন্ন। এটা কিছুটা আশার কথা। স্বল্পআয়ের জনগোষ্ঠীর ৯৮ শতাংশ ভোকেশনাল, মধ্যমআয়ের জনগোষ্ঠীর ২৮ শতাংশ ভোকেশনাল এবং ৬৪ শতাংশ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছে সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন।

সেমিনারে আরও অংশ নেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক তাহসিনা আহমেদ, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (জেসিআই) সভাপতি সারাহ কামাল, বিডি জবস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি বাবুল আক্তার, বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিসহ সারাদেশের যুব সমাজের সদস্যরা। সংলাপে যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।