প্রতিবন্ধী নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ জেলহাজতে

মীরসরাই উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ধর্ষক রমনী মোহন দাস (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে মীরসরাই থানা পুলিশ। বৃদ্ধ ধর্ষকের ভাগনির ঘরের নাতিন হয় ধর্ষিতা। গতকাল সকালে অভিযুক্ত ধর্ষককে স্বীকারোক্তি সহকারে জেলহাজতে প্রেরন করেছে মীরসরাই থানা পুলিশ।

অভিযোগ প্রদানকারী বাদী ধর্ষিতার মা পশ্চিম মঘাদিয়া গ্রামের দীপ্তি রাণী দাস (৩২) জানায় তিনি ও তার বাবা গুন মনি চন্দ্র দাস ( ৪০) দিনমজুরের কাজ করে। তাই বাড়ির বাইরে কাজে গেলে কিছুটা মানষিক প্রতিবন্ধী কিশোরী শম্পা রাণী (১৪) ঘরেই থাকত। আর এই সুযোগে প্রায়ই সে মেয়েকে ধর্ষণ করতো। আবার কাউকে না বলতে ইশারায় ভয় দেখাতো। এক পর্যায়ে গত ১৯ জানুয়ারি ও ধর্ষণের পর মেয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছিল দেখে মায়ের সন্দেহ হয়, মা নানাভাবে তার সমস্যা জানতে চাইলে সে মাকে অনেক কথা বলে। সেই লোকটা তাকে যে ভয় দেখায় সে কথাও বলে। অবশেষে মা বাবা কন্যাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চমেক হাসপাতালে পরীক্ষা করালে দেখা যায় কিশোরী মেয়ে অন্তঃস্বত্বা। পরে মীরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির এর শরনাপন্ন হলে ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দেবনাথ, ওসি অপারেশন দীনেশ দাশগুপ্তসহ পুলিশ ফোর্স অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গত সোমবার রাতে বড়তাকিয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে ।

আবার পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই বৃদ্ধ আসামি রমনী মোহন দাস (৬৫) ওই কিশোরীকে অনেকবার ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। আবার তার নাতনি হয় তা ও স্বীকার করে। ধর্ষক রমনী মোহন দাস ব্যক্তিজীবনে ৪ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। এ ঘটনার পর ধর্ষক রমণী মোহন দাস পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে ভারতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন বলে ও জানায়।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

প্রতিবন্ধী নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ জেলহাজতে

প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)

মীরসরাই উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ধর্ষক রমনী মোহন দাস (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে মীরসরাই থানা পুলিশ। বৃদ্ধ ধর্ষকের ভাগনির ঘরের নাতিন হয় ধর্ষিতা। গতকাল সকালে অভিযুক্ত ধর্ষককে স্বীকারোক্তি সহকারে জেলহাজতে প্রেরন করেছে মীরসরাই থানা পুলিশ।

অভিযোগ প্রদানকারী বাদী ধর্ষিতার মা পশ্চিম মঘাদিয়া গ্রামের দীপ্তি রাণী দাস (৩২) জানায় তিনি ও তার বাবা গুন মনি চন্দ্র দাস ( ৪০) দিনমজুরের কাজ করে। তাই বাড়ির বাইরে কাজে গেলে কিছুটা মানষিক প্রতিবন্ধী কিশোরী শম্পা রাণী (১৪) ঘরেই থাকত। আর এই সুযোগে প্রায়ই সে মেয়েকে ধর্ষণ করতো। আবার কাউকে না বলতে ইশারায় ভয় দেখাতো। এক পর্যায়ে গত ১৯ জানুয়ারি ও ধর্ষণের পর মেয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছিল দেখে মায়ের সন্দেহ হয়, মা নানাভাবে তার সমস্যা জানতে চাইলে সে মাকে অনেক কথা বলে। সেই লোকটা তাকে যে ভয় দেখায় সে কথাও বলে। অবশেষে মা বাবা কন্যাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চমেক হাসপাতালে পরীক্ষা করালে দেখা যায় কিশোরী মেয়ে অন্তঃস্বত্বা। পরে মীরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির এর শরনাপন্ন হলে ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দেবনাথ, ওসি অপারেশন দীনেশ দাশগুপ্তসহ পুলিশ ফোর্স অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গত সোমবার রাতে বড়তাকিয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে ।

আবার পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই বৃদ্ধ আসামি রমনী মোহন দাস (৬৫) ওই কিশোরীকে অনেকবার ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। আবার তার নাতনি হয় তা ও স্বীকার করে। ধর্ষক রমনী মোহন দাস ব্যক্তিজীবনে ৪ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। এ ঘটনার পর ধর্ষক রমণী মোহন দাস পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে ভারতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন বলে ও জানায়।