খোকন মনোকষ্ট পেলেও আমার পক্ষে আছেনঃ তাপস
ভোটাধিকার নেই, কথা বলার
অধিকার নেইঃ ইশরাক
বাড্ডা, নয়ানগর গুলশান-বনানী
থেকে উন্নত হবেঃ আতিকুল
আঘাত আমাকে পিছু হটাতে
পারবে নাঃ তাবিথ
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। প্রচারণার বাকি ৭ দিন। তাই প্রতিটি মুহূর্তকেই কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থীই উন্নত ও আধুনিক ঢাকার কথা বলছেন। মাঠের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও করছেন এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিপক্ষে।
গতকাল দিন প্রচারণার ১২তম দিন। আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টায় শেষ হবে প্রচারণা। সে হিসেবে আর মাত্র ৭ দিন প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের প্রচারণা ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অবশ্য গতকাল তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় কিছু শংকারও সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রার্থীরা এগুলো না ভেবে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা ও মাইকিং’এ ঢাকার অলিগতি মুখরিত হয়ে উঠেছে।
তাপস : দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল রায়সাহেব বাজার থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি সূত্রাপুর, কোতয়ালি, গেন্ডারিয়া, ইসলামপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ পহেলা ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায় রয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি সারাদিন তারা নৌকার পক্ষে রায় দেবে। নৌকার বিজয় হলে উন্নত ঢাকার সূচনা হবে। ঢাকাকে উন্নত করার বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের কাছে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এই ঢাকাকে আরও উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তিনি আরও বলেন, সাঈদ খোকন এখনও মেয়র রয়েছেন। চেয়ারে থেকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। তবে সাঈদ খোকন আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আড়ালে আমার জন্য কাজ করছেন। এবার মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। খোকন মনঃকষ্ট পেলেও আমার পক্ষে আছেন। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন গতকাল ডেমরার হোসেন মার্কেটের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এমন গণজোয়ার আগে দেখিনি। আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ জাগ্রত হয়েছে। ১ তারিখে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। আমার বিশ্বাস আপনারা এভাবেই মাঠে থাকবেন। ঢাকা শহরসহ গোটা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে আমাদের সাহস নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আজ যেভাবে আপনারা এখানে জড়ো হয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারিও একইভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। তাহলে কেউ আমাদের বিজয় রুখতে পারবে না। আমাদের বিজয় নিশ্চিত। প্রচারণার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা সালাহউদ্দন আহমেদ, নবী উল্লাহ নবীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতর্কমীরা উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল : উত্তরে নৌকার মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম গতকাল বেরাইদ মুসলিম হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশের মাধ্যমে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, উত্তর ও দক্ষিন নয়ানগর এবং ডিএনসিসির ৩৭, ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমার আগের নির্বাচনের প্রচারণার সময় এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন ১০০ ফিট রাস্তা ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিল না। মানুষদের কি দুর্ভোগ হতো সেটি দেখেছি। বিগত ৯ মাসে এখানকার রাস্তার অবস্থা এখন আগের যে কোন সময়ের থেকে ভালো। তবে আরও ভালো করতে ডিএনসিসির নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য চার হাজার ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ একনেকে পাস হওয়ার অপেক্ষায়। এই এলাকার প্রতিটি রাস্তা চওড়া হবে, ড্রেন হবে, রাস্তায় বাতি থাকবে। কথা দিচ্ছি আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এই এলাকা গুলশান-বনানী থেকে উন্নত হবে। প্রচারণার সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি শেখ বজলুল এবং সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তাবিথ : উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গতকাল পর্বতার কলাবাজার এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। তার প্রচারণায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে হামলার ঘটনার পরও বিভিন্ন এলাকায় তিনি প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমি আমার প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এ রকম কোন হামলা, আমার ওপরে আঘাতে মনোবল ভাঙবে না। আমাকে পিছু হটাতে পারবে না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষকে বিজয়ী করে প্রমাণ করব। আমি জয়ী হলে ঢাকাকে উন্নত রাজধানীর রুপ দিব। সব জায়গায় জবাবদিহিতা নিশ্চত করা হবে।
ইসি : ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচদিনের জন্য ৬৪ জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকবেন। ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে বিচারিক হাকিম নিয়োগের জন্য এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন পুননির্ধারন করা হয়েছে। নির্বাচন বিধিমালায় উল্লেখিত অপরাধ আমলে নেয়া ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের নিমিত্ত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রেরিত পত্রের ছক অনুযায়ী আগের নির্ধারিত তারিখের পরিবর্তে পুননির্ধারিত ভোটগ্রহণের তারিখের আগের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য ৬৪ জন বিচারিক হাকিম মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের দিন ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী এলাকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। সাধারণ ছুটি উপলক্ষে সরকারি/ বেসরকারি সব অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা বন্ধ থাকবে।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
খোকন মনোকষ্ট পেলেও আমার পক্ষে আছেনঃ তাপস
ভোটাধিকার নেই, কথা বলার
অধিকার নেইঃ ইশরাক
বাড্ডা, নয়ানগর গুলশান-বনানী
থেকে উন্নত হবেঃ আতিকুল
আঘাত আমাকে পিছু হটাতে
পারবে নাঃ তাবিথ
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। প্রচারণার বাকি ৭ দিন। তাই প্রতিটি মুহূর্তকেই কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থীই উন্নত ও আধুনিক ঢাকার কথা বলছেন। মাঠের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও করছেন এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিপক্ষে।
গতকাল দিন প্রচারণার ১২তম দিন। আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টায় শেষ হবে প্রচারণা। সে হিসেবে আর মাত্র ৭ দিন প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের প্রচারণা ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অবশ্য গতকাল তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় কিছু শংকারও সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রার্থীরা এগুলো না ভেবে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা ও মাইকিং’এ ঢাকার অলিগতি মুখরিত হয়ে উঠেছে।
তাপস : দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল রায়সাহেব বাজার থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি সূত্রাপুর, কোতয়ালি, গেন্ডারিয়া, ইসলামপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ পহেলা ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায় রয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি সারাদিন তারা নৌকার পক্ষে রায় দেবে। নৌকার বিজয় হলে উন্নত ঢাকার সূচনা হবে। ঢাকাকে উন্নত করার বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের কাছে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এই ঢাকাকে আরও উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তিনি আরও বলেন, সাঈদ খোকন এখনও মেয়র রয়েছেন। চেয়ারে থেকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। তবে সাঈদ খোকন আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আড়ালে আমার জন্য কাজ করছেন। এবার মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। খোকন মনঃকষ্ট পেলেও আমার পক্ষে আছেন। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন গতকাল ডেমরার হোসেন মার্কেটের সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এমন গণজোয়ার আগে দেখিনি। আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ জাগ্রত হয়েছে। ১ তারিখে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। আমার বিশ্বাস আপনারা এভাবেই মাঠে থাকবেন। ঢাকা শহরসহ গোটা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে আমাদের সাহস নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আজ যেভাবে আপনারা এখানে জড়ো হয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারিও একইভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। তাহলে কেউ আমাদের বিজয় রুখতে পারবে না। আমাদের বিজয় নিশ্চিত। প্রচারণার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা সালাহউদ্দন আহমেদ, নবী উল্লাহ নবীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতর্কমীরা উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল : উত্তরে নৌকার মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম গতকাল বেরাইদ মুসলিম হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশের মাধ্যমে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, উত্তর ও দক্ষিন নয়ানগর এবং ডিএনসিসির ৩৭, ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমার আগের নির্বাচনের প্রচারণার সময় এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন ১০০ ফিট রাস্তা ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিল না। মানুষদের কি দুর্ভোগ হতো সেটি দেখেছি। বিগত ৯ মাসে এখানকার রাস্তার অবস্থা এখন আগের যে কোন সময়ের থেকে ভালো। তবে আরও ভালো করতে ডিএনসিসির নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য চার হাজার ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ একনেকে পাস হওয়ার অপেক্ষায়। এই এলাকার প্রতিটি রাস্তা চওড়া হবে, ড্রেন হবে, রাস্তায় বাতি থাকবে। কথা দিচ্ছি আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এই এলাকা গুলশান-বনানী থেকে উন্নত হবে। প্রচারণার সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি শেখ বজলুল এবং সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তাবিথ : উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গতকাল পর্বতার কলাবাজার এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। তার প্রচারণায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে হামলার ঘটনার পরও বিভিন্ন এলাকায় তিনি প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমি আমার প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এ রকম কোন হামলা, আমার ওপরে আঘাতে মনোবল ভাঙবে না। আমাকে পিছু হটাতে পারবে না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষকে বিজয়ী করে প্রমাণ করব। আমি জয়ী হলে ঢাকাকে উন্নত রাজধানীর রুপ দিব। সব জায়গায় জবাবদিহিতা নিশ্চত করা হবে।
ইসি : ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচদিনের জন্য ৬৪ জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকবেন। ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে বিচারিক হাকিম নিয়োগের জন্য এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন পুননির্ধারন করা হয়েছে। নির্বাচন বিধিমালায় উল্লেখিত অপরাধ আমলে নেয়া ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের নিমিত্ত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রেরিত পত্রের ছক অনুযায়ী আগের নির্ধারিত তারিখের পরিবর্তে পুননির্ধারিত ভোটগ্রহণের তারিখের আগের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য ৬৪ জন বিচারিক হাকিম মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের দিন ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী এলাকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। সাধারণ ছুটি উপলক্ষে সরকারি/ বেসরকারি সব অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা বন্ধ থাকবে।