নিজের বিরুদ্ধে চলমান অভিশসংন প্রক্রিয়াকে সংবিধান বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে তার বিরুদ্ধে তোলা এ সংক্রান্ত অভিযোগের শুনানি গতকাল শুরু হয়েছে। এর একদিন আগে এক ব্রিফিংয়ে পুরো বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। রয়টার্স।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ (হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব (বিল) পাস করে। সেখানে ২২৮-১৯৩ ভোটে বিলটি পাস হওয়ার পর গতকাল এটি সিনেটে ওঠে। তবে ট্রাম্পের দাবি, বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি অসাংবিধানিক। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তারা পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেছে। তবে সিনেটে ট্রাম্পের বিপাকে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। কারণ সেখানে ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা ইতোমধ্যেই অভিশংসনের বিপক্ষে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিশংসনের অভিযোগগুলোকে গণতন্ত্রের ওপর ‘বিপজ্জনক আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন তার আইনজীবীরা। তাদের দাবি, মামলায় বাদীপক্ষ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিশংসন প্রক্রিয়াকে চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ‘নির্লজ্জ’ প্রচেষ্টা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্প হচ্ছেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট, যাকে অভিশংসন নিয়ে সিনেটে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছে ডেমোক্র্যাট পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই কোন ধরনের অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন। অভিশংসন মামলাকে ‘ধাপ্পাবাজি’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
নিজের বিরুদ্ধে চলমান অভিশসংন প্রক্রিয়াকে সংবিধান বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে তার বিরুদ্ধে তোলা এ সংক্রান্ত অভিযোগের শুনানি গতকাল শুরু হয়েছে। এর একদিন আগে এক ব্রিফিংয়ে পুরো বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। রয়টার্স।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ (হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব (বিল) পাস করে। সেখানে ২২৮-১৯৩ ভোটে বিলটি পাস হওয়ার পর গতকাল এটি সিনেটে ওঠে। তবে ট্রাম্পের দাবি, বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি অসাংবিধানিক। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তারা পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেছে। তবে সিনেটে ট্রাম্পের বিপাকে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। কারণ সেখানে ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা ইতোমধ্যেই অভিশংসনের বিপক্ষে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিশংসনের অভিযোগগুলোকে গণতন্ত্রের ওপর ‘বিপজ্জনক আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন তার আইনজীবীরা। তাদের দাবি, মামলায় বাদীপক্ষ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিশংসন প্রক্রিয়াকে চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ‘নির্লজ্জ’ প্রচেষ্টা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্প হচ্ছেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট, যাকে অভিশংসন নিয়ে সিনেটে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছে ডেমোক্র্যাট পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই কোন ধরনের অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন। অভিশংসন মামলাকে ‘ধাপ্পাবাজি’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।