সম্প্রতি এক সার্কুলারের মাধ্যমে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য কো-ব্র্যান্ডেড কার্ডে ডিজিটাল মার্কেটিং লেনদেনের অনুমতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল মার্কেটিং খাতের বিকাশে বেসিসের যৌক্তিক প্রস্তাবনা বিবেচনার পর গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড দিয়ে আইটি এবং আইটি সেবা/পণ্য ক্রয় করা গেলেও, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল মার্কেটিং খাতের জন্য এই কার্ড ব্যবহারের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। জারিকৃত নতুন সার্কুলারের (এফই সার্কুলার নং ২, ১৩/০১/২০২০) মাধ্যমে কো-ব্র্যান্ডেডকার্ড দিয়ে ফেসবুক, গুগলসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অর্থ পরিশোধ করতে পারবে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ।

এ বিষয়ে গত ১৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল এবং নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির ও জেনারেল ম্যানেজার খুরশিদ ওয়াহাব এর সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের হেড অব কার্ডস ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিংসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেসিস এর পক্ষে উভয় সভায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এর নেতৃত্বে বেসিস সহ-সভাপতি শোয়েব আহমেদ মাসুদ ও বেসিস-এর ডিজিটাল কমার্স স্থায়ীকমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বলা হয়, প্রতি বছর প্রায় ২০০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক এবং গুগলসহ অন্যান্য বিদেশি অনলাইন বিজ্ঞাপনী চ্যানেলে পরিশোধ করা হচ্ছে। এই অর্থের একটা বড় অংশ পরিশোধ করা হয় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ড দ্বারা। এই সমস্ত কার্ডে ট্রাভেল কোটায় বছরে ১২, ০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচের সুবিধা থাকে। বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ছোট এজেন্সি, ই-কমার্স ও এফ-কমার্স মডেলের অসংখ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা ব্যবহার করেই গুগল এবং ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের মূল্য পরিশোধ করে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ডের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পেমেন্ট প্রদান করার সুবিধা চাওয়া হয়। বেসিসের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সার্কুলার জারি করে কো-ব্র্র্যান্ডেড কার্ডের প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বার্ষিক ব্যয় সীমা ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ মার্কিন ডলার করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।