সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব

ইসমাত আরা সাদেকের বড় গুণ সততা-নিষ্ঠা দেশপ্রেম সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যশোর-৬ আসনের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ইসমাত আরা সাদেকের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, তার সততা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম। এটা ছিল অসামান্য। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৮ম কার্যদিবসে সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম ইসমাত আরা সাদেকের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও ওনার সঙ্গে অনেক কথা বললাম। আমি বললাম অপারেশন করার আগে আরেক জনের মত নেন। আর চিন্তা করবেন না, আমি তো আপনার চেয়ে বড়। তিনি তখন বললেন, হ্যাঁ, জানি কিন্তু মৃত্যুতো আর বড়-ছোট হয়ে আসে না। আজ সকালে একনেক বৈঠকের সময় খবর পেলাম ওনি আর নেই। আসলে মৃত্যুতো এভাবেই আসে। এটা সত্যি কষ্টকর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, মিসেস সাদেক একজন গৃহিনী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকলেও রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। তার স্বামী এএসএইচকে সাদেক ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আমার সঙ্গে দেখা করে বললেন, আমি সংগঠনের জন্য কাজ করতে চাই। সেই থেকে প্রায়ই তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন এক সঙ্গেই আসতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএসএইচকে সাদেক মন্ত্রী হয়ে অনেক কাজ করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করা, সুন্দরবনকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐহিত্য ঘোষণায় তার অবদান ছিল। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করার জন্য তার নেতৃত্বেই আমি কমিটি করে দিয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বামীর (এএসএইচকে সাকেদের) মৃত্যুর পর মিসেস সাদেককে সংসদ নির্বাচনের কথা বললে তিনি প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। এটা পারবেন কি-না। আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ আপনি পারবেন। উনি নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার দায়িত্ব দিলাম। এরপর জনপ্রশাসনের দায়িত্ব দিলাম। তিনি প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন। সততা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেম ছিল ওনার সবচেয়ে বড় গুণ। এটা ছিল অসামান্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সংসদে এবার আমাদের কিরকম দুর্ভাগ্য পরপর ৪ জন মৃত্যুবরণ করলেন। হঠাৎ করে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে এটা আমি ভাবতেও পারিনি। এটা সত্যি কষ্টকর।

সংসদে সর্বসম্মতভাবে

শোক প্রস্তাব গৃহীত

যশোর-৬ আসনের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৮ম কার্যদিবসে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন।

ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়া জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্বামী এএসকে সাদেক ছিলেন সাবেক সচিব, দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সফল মন্ত্রী। ইসমাত আরা সাদেক ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি অনেক সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ইসমাত আরা সাদেক দম্পতির অবদান উল্লেযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত এএসকে সাদেকের সরকারি বাসভবন ১নং টেনামেন্ট হাউজ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায়ই মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ এ সরকারি বাসভবনে রাখতেন। তিনি এবং তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রদানসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করতেন।

সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি বর্তমান সংসদের সদস্য ইসমত আরা জীবন ও কর্ম নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সরকারি দলের তোফায়েল আহমেদ, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াসেকা আয়েশা খান, আ খ ম সারোয়ার জাহান ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তার স্বামী এএসকে সাদেক সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। এ অধিবেশনে পরপর ৪ জন সংসদ সদস্য আমরা হারালাম। এত শোক এবং ক্ষতি বহন করব কিভাবে। আল্লাহ যেন সাহায্য করেন এ কামনা করছি।

আলোচনা শেষে সংসদে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। এর পর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী স্পিকার সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।

image

গতকাল জাতীয় সংসদে ইসমাত আরা সাদেকের শোক প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

আরও খবর
খালেদার জামিন নিয়ে ভাবছে না সরকার আইনমন্ত্রী
২০ হাজার ৫২৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
ইসমাত আরা সাদেক আর নেই
সাঈদ খোকনের এপিএস কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদ
দশ বছরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৩১৩ কোটি ডলার
ইবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ২০
নারীবান্ধব সিটি নির্বাচন চায় মহিলা পরিষদ
ঢাকা ব্যাংকের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আজ লোকনাট্য ‘সংযাত্রা’
শিল্পকলায় থিয়েটার-৫২ এর নাটক ‘কালিদাস’
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও আলোর পথ দেখাচ্ছেন জাকারিয়া
বরিশাল বিভাগের ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট প্রকট
রাঙ্গামাটিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব

ইসমাত আরা সাদেকের বড় গুণ সততা-নিষ্ঠা দেশপ্রেম সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল জাতীয় সংসদে ইসমাত আরা সাদেকের শোক প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যশোর-৬ আসনের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ইসমাত আরা সাদেকের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, তার সততা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম। এটা ছিল অসামান্য। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৮ম কার্যদিবসে সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম ইসমাত আরা সাদেকের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও ওনার সঙ্গে অনেক কথা বললাম। আমি বললাম অপারেশন করার আগে আরেক জনের মত নেন। আর চিন্তা করবেন না, আমি তো আপনার চেয়ে বড়। তিনি তখন বললেন, হ্যাঁ, জানি কিন্তু মৃত্যুতো আর বড়-ছোট হয়ে আসে না। আজ সকালে একনেক বৈঠকের সময় খবর পেলাম ওনি আর নেই। আসলে মৃত্যুতো এভাবেই আসে। এটা সত্যি কষ্টকর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, মিসেস সাদেক একজন গৃহিনী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকলেও রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। তার স্বামী এএসএইচকে সাদেক ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আমার সঙ্গে দেখা করে বললেন, আমি সংগঠনের জন্য কাজ করতে চাই। সেই থেকে প্রায়ই তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন এক সঙ্গেই আসতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএসএইচকে সাদেক মন্ত্রী হয়ে অনেক কাজ করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করা, সুন্দরবনকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐহিত্য ঘোষণায় তার অবদান ছিল। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করার জন্য তার নেতৃত্বেই আমি কমিটি করে দিয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বামীর (এএসএইচকে সাকেদের) মৃত্যুর পর মিসেস সাদেককে সংসদ নির্বাচনের কথা বললে তিনি প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। এটা পারবেন কি-না। আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ আপনি পারবেন। উনি নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার দায়িত্ব দিলাম। এরপর জনপ্রশাসনের দায়িত্ব দিলাম। তিনি প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন। সততা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেম ছিল ওনার সবচেয়ে বড় গুণ। এটা ছিল অসামান্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সংসদে এবার আমাদের কিরকম দুর্ভাগ্য পরপর ৪ জন মৃত্যুবরণ করলেন। হঠাৎ করে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে এটা আমি ভাবতেও পারিনি। এটা সত্যি কষ্টকর।

সংসদে সর্বসম্মতভাবে

শোক প্রস্তাব গৃহীত

যশোর-৬ আসনের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৮ম কার্যদিবসে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন।

ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়া জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্বামী এএসকে সাদেক ছিলেন সাবেক সচিব, দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সফল মন্ত্রী। ইসমাত আরা সাদেক ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি অনেক সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ইসমাত আরা সাদেক দম্পতির অবদান উল্লেযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত এএসকে সাদেকের সরকারি বাসভবন ১নং টেনামেন্ট হাউজ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায়ই মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ এ সরকারি বাসভবনে রাখতেন। তিনি এবং তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রদানসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করতেন।

সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি বর্তমান সংসদের সদস্য ইসমত আরা জীবন ও কর্ম নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সরকারি দলের তোফায়েল আহমেদ, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াসেকা আয়েশা খান, আ খ ম সারোয়ার জাহান ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তার স্বামী এএসকে সাদেক সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। এ অধিবেশনে পরপর ৪ জন সংসদ সদস্য আমরা হারালাম। এত শোক এবং ক্ষতি বহন করব কিভাবে। আল্লাহ যেন সাহায্য করেন এ কামনা করছি।

আলোচনা শেষে সংসদে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। এর পর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী স্পিকার সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।