আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা কেন খালেদা জিয়ার মামলা ও জামিন নিয়ে ভাববো। আমরা অন্ততপক্ষে এটা নিয়ে এখন ভাবছি না। সবই আদালতের ব্যাপার। আমাদের কেন ভাবতে হবে যে, আমরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে কী করব? এ সময় চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার ওপর হামলা ও দুই দশক আগে সিপিবির সমাবেশে হামলার রায়ের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সচিবালয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতিকে বই কিনতে ৩০ লাখ টাকার চেকও হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, আমরা এইটুকু বলতে পারি যে, এই দুটো বিচারের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো অপরাধীরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যার যতই ক্ষমতা থাকুক না কেন? হয়ত সাময়িকভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কিছুদিনের জন্য আইনের ঊর্ধ্বে আছেন বলে একটা ইল্যুশনের মধ্যে থাকতে পারেন অপরাধীরা। শেষ পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় আসতেই হবে।
দুটি মামলার বিচার হতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণের বিষয়ে তিনি বলেন, এই মামলাগুলো যাতে বিচারের মুখ না দেখে সেই ব্যবস্থা করেছিল বিএনপি সরকার। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলেন তখন থেকে আবার তদন্ত শুরু হয়। তখন কতগুলো মামলা পুলিশের হাতে ছিল, সবগুলো তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছে, সেজন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। তখন আবার নতুন করে সাক্ষী-সাবুদ দেয়ার ব্যবস্থা ও তদন্ত করে এইসব মামলা চালানো, সেজন্য একটু দেরি হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জামিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি টেলিভিশনে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমরা খালেদা জিয়ার মামলা ও জামিন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি কিনা? আমরা কেন চিন্তা-ভাবনা করবো? আমি চিন্তা-ভাবনার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। বিচারিক আদালত এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তাকে ৭ বছর সাজা দিয়েছে। এখন তিনি সাজা ভোগ করছেন। আপিল বিভাগ তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। সবই আদালতের ব্যাপার।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা কেন খালেদা জিয়ার মামলা ও জামিন নিয়ে ভাববো। আমরা অন্ততপক্ষে এটা নিয়ে এখন ভাবছি না। সবই আদালতের ব্যাপার। আমাদের কেন ভাবতে হবে যে, আমরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে কী করব? এ সময় চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার ওপর হামলা ও দুই দশক আগে সিপিবির সমাবেশে হামলার রায়ের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সচিবালয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতিকে বই কিনতে ৩০ লাখ টাকার চেকও হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, আমরা এইটুকু বলতে পারি যে, এই দুটো বিচারের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো অপরাধীরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যার যতই ক্ষমতা থাকুক না কেন? হয়ত সাময়িকভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কিছুদিনের জন্য আইনের ঊর্ধ্বে আছেন বলে একটা ইল্যুশনের মধ্যে থাকতে পারেন অপরাধীরা। শেষ পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় আসতেই হবে।
দুটি মামলার বিচার হতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণের বিষয়ে তিনি বলেন, এই মামলাগুলো যাতে বিচারের মুখ না দেখে সেই ব্যবস্থা করেছিল বিএনপি সরকার। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলেন তখন থেকে আবার তদন্ত শুরু হয়। তখন কতগুলো মামলা পুলিশের হাতে ছিল, সবগুলো তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছে, সেজন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। তখন আবার নতুন করে সাক্ষী-সাবুদ দেয়ার ব্যবস্থা ও তদন্ত করে এইসব মামলা চালানো, সেজন্য একটু দেরি হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জামিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি টেলিভিশনে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমরা খালেদা জিয়ার মামলা ও জামিন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি কিনা? আমরা কেন চিন্তা-ভাবনা করবো? আমি চিন্তা-ভাবনার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। বিচারিক আদালত এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তাকে ৭ বছর সাজা দিয়েছে। এখন তিনি সাজা ভোগ করছেন। আপিল বিভাগ তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। সবই আদালতের ব্যাপার।