ইসলামী বিশবকবিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দিলে প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ৩টি ককটেল বিষ্ফোরণ করে নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে গেফতার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে এমন সংবাদে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুরে লাঠি সোটা নিয়ে বহিরাগতসহ প্রায় ২০ জন কর্মী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে সভাপতি-সম্পাদক। এমসময় পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পদবঞ্চিত গ্রুপের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালায় সভাপতি-সম্পাকদের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ৩টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় উভয় গ্রুপের কর্মীরা। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক সহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে বেধড়ক পেটায় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ক্যাম্পাসে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ। এছাড়া ঘটনা তদন্তে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ড. তপন কুমার জোদ্দার ও মোস্তফা জামাল হ্যাপি।
বিদ্রোহী গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘এই কমিটি অর্থের বিনিময়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই সাধারণ কর্মীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে। তারা বহিরাগতসহ ক্যাম্পাসে আসলে সাধারণ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা হামলার শিকার হই। সকালে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেখানে তারা আমাদের ওপর হামলা করলে সম্পাদকসহ আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘এ ঘনটায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আয়তায় আনা হবে।’
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশবকবিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দিলে প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ৩টি ককটেল বিষ্ফোরণ করে নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে গেফতার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে এমন সংবাদে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুরে লাঠি সোটা নিয়ে বহিরাগতসহ প্রায় ২০ জন কর্মী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে সভাপতি-সম্পাদক। এমসময় পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পদবঞ্চিত গ্রুপের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালায় সভাপতি-সম্পাকদের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ৩টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় উভয় গ্রুপের কর্মীরা। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক সহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে বেধড়ক পেটায় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ক্যাম্পাসে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ। এছাড়া ঘটনা তদন্তে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ড. তপন কুমার জোদ্দার ও মোস্তফা জামাল হ্যাপি।
বিদ্রোহী গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘এই কমিটি অর্থের বিনিময়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই সাধারণ কর্মীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে। তারা বহিরাগতসহ ক্যাম্পাসে আসলে সাধারণ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা হামলার শিকার হই। সকালে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেখানে তারা আমাদের ওপর হামলা করলে সম্পাদকসহ আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘এ ঘনটায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আয়তায় আনা হবে।’