জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ঢাকা ব্যাংকের ফেনী শাখার ২ কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। গতকাল দুদক কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে তারা হলেন, প্রিন্সিপাল অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ গোলাম সাঈদ রাশেব, ক্যাশ ইনচার্জ আবদুস সামাদ এবং আজিম খন্দকার। যেকোন দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
দুদক সূত্র জানায়, আসামি গোলাম সাঈদ রাশেব, আবদুস সামাদ ও আজিম খন্দকার পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক লি. ফেনী শাখার প্রায় ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আসামি গোলাম সাঈদ দীর্ঘ ৭ বছর ৯ মাস ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ফেনী শাখায় কর্মরত থাকায় বেশকিছু গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। ব্যাংকের ক্রেডিট ইনচার্জ ও এলসি খোলার দায়িত্বে থাকায় গ্রাহকদের বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন। ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশে বিদ্যমান ব্যাংক সময়ের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন ঋণগ্রহিতার কাছ থেকে প্রতিটি ঋণের বিপরীতে কিছু স্বাক্ষরিত চেক লোন ডকুমেন্টের সঙ্গে সংরক্ষণ করতেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাহকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তিনি তাদের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে ঋণ হিসাব সমন্বয়ের কথা বলে ঋণগ্রহিতাদের নিকট হতে অগ্রিম চেক নিতেন। পরে তিনি তার মেকার আইডি ব্যবহার করে যেসব গ্রাহকের চেক তার কাছে ছিল তাদের হিসাবে অন্য গ্রাহকের টাকা স্থানান্তর করে ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার উত্তোলন এবং আত্মসাৎ করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ মো. আবদুস সামাদ ও আজিম খন্দকার। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুদক কর্তৃক ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ ফেনী মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়, (নং ৩৩) তদন্তকালে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ , ৮ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ঢাকা ব্যাংকের ফেনী শাখার ২ কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। গতকাল দুদক কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে তারা হলেন, প্রিন্সিপাল অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ গোলাম সাঈদ রাশেব, ক্যাশ ইনচার্জ আবদুস সামাদ এবং আজিম খন্দকার। যেকোন দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
দুদক সূত্র জানায়, আসামি গোলাম সাঈদ রাশেব, আবদুস সামাদ ও আজিম খন্দকার পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক লি. ফেনী শাখার প্রায় ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আসামি গোলাম সাঈদ দীর্ঘ ৭ বছর ৯ মাস ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ফেনী শাখায় কর্মরত থাকায় বেশকিছু গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন। ব্যাংকের ক্রেডিট ইনচার্জ ও এলসি খোলার দায়িত্বে থাকায় গ্রাহকদের বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন। ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশে বিদ্যমান ব্যাংক সময়ের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন ঋণগ্রহিতার কাছ থেকে প্রতিটি ঋণের বিপরীতে কিছু স্বাক্ষরিত চেক লোন ডকুমেন্টের সঙ্গে সংরক্ষণ করতেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাহকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তিনি তাদের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে ঋণ হিসাব সমন্বয়ের কথা বলে ঋণগ্রহিতাদের নিকট হতে অগ্রিম চেক নিতেন। পরে তিনি তার মেকার আইডি ব্যবহার করে যেসব গ্রাহকের চেক তার কাছে ছিল তাদের হিসাবে অন্য গ্রাহকের টাকা স্থানান্তর করে ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার উত্তোলন এবং আত্মসাৎ করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ মো. আবদুস সামাদ ও আজিম খন্দকার। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুদক কর্তৃক ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ ফেনী মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়, (নং ৩৩) তদন্তকালে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।