বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। গতবছর থেকে ৮ ধাপ কমে এবার ৮০তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০০৬ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ইআইইউ। গতকাল ইআইইউ গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব গণতন্ত্র পরিস্থিতি পাঁচটি মানদণ্ডে ১০ স্কোরের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয় এই প্রতিবেদন। মানদণ্ডগুলো হলো- নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার। প্রতিবেদনে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, মিশ্র শাসন (হাইব্রিড) ও স্বৈরশাসন। গণতান্ত্রিক এই সূচকে গতবারের চেয়ে আট ধাপ উন্নতি ঘটলেও বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে তৃতীয় শ্রেণীর অর্থাৎ মিশ্র শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেছে ইআইইউ।
এ বছর ইআইইউর এই গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০তম। অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গে স্কোরের উন্নতি ঘটেছে। গত বছর ইআইইউর এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৭৭। এবার স্কোর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮৮। গণতান্ত্রিক এই সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি হলেও প্রতিবেশী ভারতের অবনমন ঘটেছে ব্যাপক। গত বছর দেশটি ৭.২৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় ৪১তম থাকলেও এবার ৫১তম অবস্থানে নেমে গেছে। এ বছর ভারতের স্কোর ৬.৯০।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ৬.১৯ স্কোর নিয়ে গত বছর ৭১তম অবস্থানে থাকলেও এবার দেশটির দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা এ বছর ৬.২৭ স্কোর নিয়ে ৬৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে। ৪ দশমিক ১৭ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান গত বছর ১১২তম থাকলেও এবার ৪.২৫ স্কোর নিয়ে ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ইআইইউর এই সূচকে এবারও ৯.৮৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপরই আছে ৯.৫৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় আইসল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন (স্কোর ৯.৩৯), চতুর্থ নিউজিল্যান্ড (স্কোর ৯.২৬), পঞ্চম ফিনল্যান্ড (স্কোর ৯.২৫)।
বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে এ বছর একেবারে তলানিতে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া। দেশটি ১.০৮ স্কোর নিয়ে ১৬৭তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ১৬৬তম (স্কোর ১.১৩), সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ১৬৫তম (স্কোর ১.৩২), সিরিয়া ১৬৪তম (স্কোর ১.৪৩) ও চাদ ১৬৩ (স্কোর ১.৬১)।
ইআইইউ বলছে, বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে; যেখানে প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। এছাড়া বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী এখনও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অধীনে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। গতবছর থেকে ৮ ধাপ কমে এবার ৮০তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০০৬ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ইআইইউ। গতকাল ইআইইউ গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব গণতন্ত্র পরিস্থিতি পাঁচটি মানদণ্ডে ১০ স্কোরের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয় এই প্রতিবেদন। মানদণ্ডগুলো হলো- নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার। প্রতিবেদনে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, মিশ্র শাসন (হাইব্রিড) ও স্বৈরশাসন। গণতান্ত্রিক এই সূচকে গতবারের চেয়ে আট ধাপ উন্নতি ঘটলেও বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে তৃতীয় শ্রেণীর অর্থাৎ মিশ্র শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেছে ইআইইউ।
এ বছর ইআইইউর এই গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০তম। অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গে স্কোরের উন্নতি ঘটেছে। গত বছর ইআইইউর এই সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৭৭। এবার স্কোর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮৮। গণতান্ত্রিক এই সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি হলেও প্রতিবেশী ভারতের অবনমন ঘটেছে ব্যাপক। গত বছর দেশটি ৭.২৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় ৪১তম থাকলেও এবার ৫১তম অবস্থানে নেমে গেছে। এ বছর ভারতের স্কোর ৬.৯০।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ৬.১৯ স্কোর নিয়ে গত বছর ৭১তম অবস্থানে থাকলেও এবার দেশটির দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা এ বছর ৬.২৭ স্কোর নিয়ে ৬৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে। ৪ দশমিক ১৭ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান গত বছর ১১২তম থাকলেও এবার ৪.২৫ স্কোর নিয়ে ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ইআইইউর এই সূচকে এবারও ৯.৮৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপরই আছে ৯.৫৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় আইসল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন (স্কোর ৯.৩৯), চতুর্থ নিউজিল্যান্ড (স্কোর ৯.২৬), পঞ্চম ফিনল্যান্ড (স্কোর ৯.২৫)।
বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে এ বছর একেবারে তলানিতে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া। দেশটি ১.০৮ স্কোর নিয়ে ১৬৭তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ১৬৬তম (স্কোর ১.১৩), সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ১৬৫তম (স্কোর ১.৩২), সিরিয়া ১৬৪তম (স্কোর ১.৪৩) ও চাদ ১৬৩ (স্কোর ১.৬১)।
ইআইইউ বলছে, বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে; যেখানে প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন মানুষের বসবাস। এছাড়া বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী এখনও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অধীনে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে।