সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবারের এ হামলায় সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর পশ্চিমে কফারতাল গ্রামে ছয় শিশুসহ আটজনের এক পরিবারের সবাই নিহত হয়েছে। পাশাপাশি ইদলিব প্রদেশের দক্ষিণপূর্বে মারদাবেশে নিহত হয়েছে আরও নয় বেসামরিক নাগরিক। দ্য গার্ডিয়ান।
সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত ইদলিব থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী বড় ধরনের একটি অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে ইরানের মিলিশিয়া বাহিনীগুলোও তাদের সঙ্গে আছে। এর সঙ্গে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা যোগ হওয়ায় ওই এলাকা থেকে হাজার হাজার লোক তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
বিমান হামলার পাশাপাশি এলাকাটির স্থলভাগেও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্মিলিত অভিযানে এসব বাহিনী বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিবের অনেক ভিতরে ঢুকে পড়েছে। এতে ওই এলাকার অনেক ছোট ছোট শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর থেকে রক্ষা পায়নি স্কুল ও স্থানীয় হাসপাতাল ও ত্রাণ সংস্থাগুলো। এদিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার বিমান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো ও দামেস্ক। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দাবি করে জঙ্গিরা আলেপ্পো শহরের বেসামরিকদের ওপর হামলা জোরদার করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।
প্রায় নয় বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আসাদ সরকার। শুধু উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব এখনো বিদ্রোহীদের দখলে রয়ে গেছে। ইদলিব অঞ্চলের অন্তত তিন লাখ ৫০ হাজার বেসামরিক বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ও সেখানে মানবিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবারের এ হামলায় সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর পশ্চিমে কফারতাল গ্রামে ছয় শিশুসহ আটজনের এক পরিবারের সবাই নিহত হয়েছে। পাশাপাশি ইদলিব প্রদেশের দক্ষিণপূর্বে মারদাবেশে নিহত হয়েছে আরও নয় বেসামরিক নাগরিক। দ্য গার্ডিয়ান।
সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত ইদলিব থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী বড় ধরনের একটি অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে ইরানের মিলিশিয়া বাহিনীগুলোও তাদের সঙ্গে আছে। এর সঙ্গে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা যোগ হওয়ায় ওই এলাকা থেকে হাজার হাজার লোক তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
বিমান হামলার পাশাপাশি এলাকাটির স্থলভাগেও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্মিলিত অভিযানে এসব বাহিনী বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিবের অনেক ভিতরে ঢুকে পড়েছে। এতে ওই এলাকার অনেক ছোট ছোট শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর থেকে রক্ষা পায়নি স্কুল ও স্থানীয় হাসপাতাল ও ত্রাণ সংস্থাগুলো। এদিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার বিমান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো ও দামেস্ক। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দাবি করে জঙ্গিরা আলেপ্পো শহরের বেসামরিকদের ওপর হামলা জোরদার করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।
প্রায় নয় বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আসাদ সরকার। শুধু উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব এখনো বিদ্রোহীদের দখলে রয়ে গেছে। ইদলিব অঞ্চলের অন্তত তিন লাখ ৫০ হাজার বেসামরিক বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ও সেখানে মানবিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে জাতিসংঘ।