ভারতে সদ্য পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে আগামী ২৯ জানুয়ারি ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন দিল্লির শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীরা। এ নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে বনধ পালিত হতে চলেছে। কিছুদিন আগেই ভারতজুড়ে বনধ ডেকেছিলেন বামপন্থী রাজনীতিবীদরা।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবারই সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার করা হয়। যদিও বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাদের নড়াতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দিল্লির গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন বিক্ষোভকারীদের একটি নারী প্রতিনিধি দল। এ সময় আট নারী গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং গভর্নর তাদের কথা শুনেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ চললেও এবার থেকে স্কুল বাস যাওয়ার জায়গা করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে (২৯ জানুয়ারি) ভারত বনধের ডাক দেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সিনাল ল’ বোর্ডের সেক্রেটারি মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি। গত সোমবার দেশের সব মানুষকে এ বনধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার এই ডাকে সাড়া দিয়ে ২৯ তারিখের বনধে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীরা।
প্রসঙ্গত, শাহীনবাগের সমর্থনে সিএএ-এনআরসিবিরোধী বিক্ষোভ চলছে কলকাতায়ও। ১৫ দিন আগে মাত্র ২৫ জনকে নিয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানে এ আন্দোলন শুরু হলেও সেই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
ভারতে সদ্য পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে আগামী ২৯ জানুয়ারি ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন দিল্লির শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীরা। এ নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে বনধ পালিত হতে চলেছে। কিছুদিন আগেই ভারতজুড়ে বনধ ডেকেছিলেন বামপন্থী রাজনীতিবীদরা।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবারই সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার করা হয়। যদিও বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাদের নড়াতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দিল্লির গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন বিক্ষোভকারীদের একটি নারী প্রতিনিধি দল। এ সময় আট নারী গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং গভর্নর তাদের কথা শুনেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ চললেও এবার থেকে স্কুল বাস যাওয়ার জায়গা করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে (২৯ জানুয়ারি) ভারত বনধের ডাক দেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সিনাল ল’ বোর্ডের সেক্রেটারি মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি। গত সোমবার দেশের সব মানুষকে এ বনধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার এই ডাকে সাড়া দিয়ে ২৯ তারিখের বনধে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীরা।
প্রসঙ্গত, শাহীনবাগের সমর্থনে সিএএ-এনআরসিবিরোধী বিক্ষোভ চলছে কলকাতায়ও। ১৫ দিন আগে মাত্র ২৫ জনকে নিয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানে এ আন্দোলন শুরু হলেও সেই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।