বহুজাতিক মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যামাজন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোসের মুঠোফোন হ্যাক করেছেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ডিজিটাল ফরেনসিক অ্যানালিসিসের মাধ্যমে এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপে জেফ বেজোস ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে (বার্তা) মেসেজ আদান-প্রদান হয়। ওই বার্তার এক লিংকের মাধ্যমে হ্যাক করা হয় বেজোসের ফোন। এটি সামনে আসার পর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত চলছিল। বেজোসের ফোন আসলেই সালমানের হোয়াটস্যাপ মেসেজের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছিল কি-না, গতকাল জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করার কথা রয়েছে।
তদন্ত শেষে মঙ্গলবার জানানো হয়, যুবরাজ সালমানের পাঠানো একটি ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে বেজোসের ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরি করা হয়েছে। ওই ভিডিও ফাইলে গোপন কোড ব্যবহার করে হ্যাক করা হয়। ঘটনার প্রায় দেড় বছর পরে তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে। এদিকে তদন্তের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বেজোসের ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরি করেছে যে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি, তা ব্যবহার করেন সৌদি প্রিন্স সালমান।
গত বছরই ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন ভেঙে স্ত্রী ম্যাকেনজির সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বেজোস। পরে প্রকাশিত হয়, সাবেক টেলিভিশন উপস্থাপিকা লরেন সানচেজের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। ধারণা করা হয়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা তথ্যর মধ্যে সানচেজের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বেশ কিছু বার্তা ছিল। তবে এর মধ্যে অ্যামাজনের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য ছিল কি-না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর সৌদি দূতাবাস থেকে এক টুইটার বার্তায় জানানো হয়, এ প্রতিবেদন নিতান্তই ‘অমূলক’। এ নিয়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
বহুজাতিক মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যামাজন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোসের মুঠোফোন হ্যাক করেছেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ডিজিটাল ফরেনসিক অ্যানালিসিসের মাধ্যমে এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপে জেফ বেজোস ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে (বার্তা) মেসেজ আদান-প্রদান হয়। ওই বার্তার এক লিংকের মাধ্যমে হ্যাক করা হয় বেজোসের ফোন। এটি সামনে আসার পর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত চলছিল। বেজোসের ফোন আসলেই সালমানের হোয়াটস্যাপ মেসেজের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছিল কি-না, গতকাল জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করার কথা রয়েছে।
তদন্ত শেষে মঙ্গলবার জানানো হয়, যুবরাজ সালমানের পাঠানো একটি ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে বেজোসের ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরি করা হয়েছে। ওই ভিডিও ফাইলে গোপন কোড ব্যবহার করে হ্যাক করা হয়। ঘটনার প্রায় দেড় বছর পরে তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে। এদিকে তদন্তের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বেজোসের ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরি করেছে যে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি, তা ব্যবহার করেন সৌদি প্রিন্স সালমান।
গত বছরই ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন ভেঙে স্ত্রী ম্যাকেনজির সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বেজোস। পরে প্রকাশিত হয়, সাবেক টেলিভিশন উপস্থাপিকা লরেন সানচেজের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। ধারণা করা হয়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা তথ্যর মধ্যে সানচেজের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বেশ কিছু বার্তা ছিল। তবে এর মধ্যে অ্যামাজনের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য ছিল কি-না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর সৌদি দূতাবাস থেকে এক টুইটার বার্তায় জানানো হয়, এ প্রতিবেদন নিতান্তই ‘অমূলক’। এ নিয়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা।