বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

আজ সমাপ্ত দিনের লোকনাট্য ‘ধামাইল’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২য় ’বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ শেষ হচ্ছে আজ। শেষ দিনের পরিবেশনায় থাকবে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বরগুনা, মুন্সিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের বৈচিত্রময় পরিবেশনা। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘ধামাইল’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ উৎসবে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করেছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে ছিল- সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ২০তম দিনে পরিবেশিত হয়- বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। উন্মুক্ত মঞ্চে ছিল ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সংযাত্রা’। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রমের ওপরে প্রমো, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সাফান, স্বর্ণালী, জাবের, শুশমী, মেহজাবিন, সাফিন সামিয়া, সুপ্ত, সাফাওয়াত ও শৈলি। একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুফি। অনিক বোসের পরিচালনায় ‘ও আমার জন্মভূমি এবং ফিউশন’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন স্পন্দন। আহকামউল্লাহর পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বরশ্রুতি’।

জেলা পরিবেশনার শুরু হয় ঠাকুরগাঁও জেলার পরিবেশনায় দিয়ে। জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সংগৃহীত সুর এবং আবুল হোসেন সরকারের কথায় ‘হামার ঠাকুরগাঁও বাসী’ এবং জুনায়েদ কবির বাবু’র কথা এবং মোজাম্মেল হক বাবলুর সুরে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মনজুর উল হক, সাইফুল আলম বাবু, মীর ছানোয়ার হোসেন ছানু, জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ, জীবনানন্দ রায়, সরলা রাণী রায়, দিপাশ্রী রায় পপি, নম্রতা বর্মণ সেতু, শ্রাবন্তী রায় এবং শর্মিষ্ঠা রায়। রোহিত খান তুহিনের নৃত্য পরিচালনায় ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ এবং চল চল চল’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নাজমুল ইসলাম, ন্সিগ্ধা রায়, সমির উদ্দিন, তুলা রায়, রিভিয়া তাসনিম বাঁধন, ভেরোনিকা এক্কা, তৃষা রাণী রায়, মাসুমা আক্তার মালা এবং সিনথিয়া মুরমু। হায়রে মানুষের দেহ গানের কথায় একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শুক্লাবালা রায় এবং ’আন্ধন ঘরের চালোতে, ঝুমকা কদু ফলাইসে’ দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সরলা রাণী রায় এবং জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী কায়সার আলী রুবেল, খায়রুল হাসান, পলাশ চন্দ্র রায়, নয়ন কিশোর রায় এবং জ্যাতিরাজ বর্মণ।

গাইবান্ধা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বাংলাদেশের মাটি ধন্য’ এবং ‘আসেন বাহে বসেন বাহে’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী নিগার নইম তমা, প্রজ্ঞা ম-ল, শারমিন আক্তার শিলা, স্মৃতি রানী, জিয়াউর রহমান জিয়া, আফছার আলী, পলাশ চন্দ্র মোদক এবং স্বজন খন্দকার। ‘আমি বাংলায় গান গাই’ এবং ’আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মাহফুজা তাহসিন তমালিকা, অরিত্রি দে সরকার হিয়া, তাথই সাহা, আনিকা নুসরাত চন্দ্রিমা, সৃজনী বর্মন দিঘী, মো. রতন মিয়া, শেখ রিয়াদ হোসেন সোহান এবং আরিফুজ্জামান আরিফ। সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী তুলসী সাহা, মিজানুর রহমান মিলন, মো. আবদুল্লাহ আল ফাহাত, সৈকত এবং রাগিব হাসান। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ওয়াফি রহমান অনন্যা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী নিগার নাইম তমা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরী শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়’ এবং ’বাংলার প্রাণ বাঙালি মান রেখেছে যে জন’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী হামিদা ইসলাম, মৌসুমী দেব রায়, জিনিয়া ইসলাম, অর্পিতা ম-ল, প্রিয়ন্তী সরকার কথা, আমজাদ হোসেন, আতাউর রহমান, হাসান ইমাম, প্রিন্স মামুন এবং সাইফুল হক শাহিন। গোলাম হাবিবের নৃত্য পরিচালনায় ‘সমারোহে এসো হে’ এবং কায়নাত বিনতে কবির সাদাফের নৃত্য পরিচালনায় ‘বেহুর তালে কোমন দোলে’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী প্রিয়াংকা সরকার, শ্রাবনী রায়, পুষ্পিতা, রিমি আক্তার, রিয়া আক্তার ইতি, অন্তর সরকার, হাসিবুর রহমান সিয়াম, মো. সিয়াম, গালিব হাসান সিজান এবং সায়হাম আহমেদ তুর্জ। সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সবুজ আহমেদ, শান্ত আহমেদ ও কামরুল আহমেদ। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী নুসরাত জাহান বৃষ্টি এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সানজিদা নাহার বেলা।

টাঙ্গাইল জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘আজকে বিজয়ের এই দিনে’ এবং ’বঙ্গবন্ধু তুমি সবার’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শামসুজ্জামান দারু, বাচ্চু আহমেদ, বাদল তালুকদার, পলাশ সূত্রধর, শতাব্দী সরকার, দেবশ্রী সরকার, ঋদিতা তাসিন, নুসরাত প্রিথুলা, আফিয়া তাবাসসুম এবং মনিষা সূত্রধর। ‘আমার প্রিয় স্বাধীনতা’ এবং ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মাসুদ চৌধুরী, সাকিব, মেহেদী, ইন্দ্রজিৎ, মনির হোসেন, ইমা, ইসরাত, রচয়ীতা, রুপন্তী ও ফারিয়া। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আবু বকর সিদ্দিকী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী নৈঝিতা হালদার। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শাসুজ্জামান দারু, বাচ্চু আহমেদ, মঙ্গল সেন, মো. লাভলু ও সিহাব।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে মঞ্চস্থ হয় মহাদেব সংযাত্রাদল, টাঙ্গাইলের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সংযাত্রা’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধীচরণ পাল, ভজন পাল, হরিদাস পাল, অনিল পাল, হুমায়ুন কবির, রঘুনাথ পাল ও সুদেব পাল। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন বাবুল সাহা, লক্ষণ সাহা, মোবারক এবং নিমাই রাজবংশী।

image

শিল্পকলায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে নৃত্য পরিবেশনা -সংবাদ

আরও খবর
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ’লীগ নেতারা টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন কাল
সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জেলায় ঝরলো পাঁচ প্রাণ
রপ্তানি ৫০ লাখ ডলার হলে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান এসএমইর মর্যাদা পাবে
রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা মানবিক সংকটে : কাদের
কক্সবাজারে সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব
সাগরদাঁড়িতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা
পুলিশের ভুলে এক দিন জেল খাটলো তোতলা মিজান
মোহাম্মদ নাসিমের এপিএসকে দুদকে তলব
জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখোশ পরে বিক্ষোভ
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মিথ্যা ভাষণ দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ
এটিএম বুথের টাকা লুটের নানা কাহিনী

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

আজ সমাপ্ত দিনের লোকনাট্য ‘ধামাইল’

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

image

শিল্পকলায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে নৃত্য পরিবেশনা -সংবাদ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২য় ’বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ শেষ হচ্ছে আজ। শেষ দিনের পরিবেশনায় থাকবে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বরগুনা, মুন্সিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের বৈচিত্রময় পরিবেশনা। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘ধামাইল’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ উৎসবে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করেছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে ছিল- সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ২০তম দিনে পরিবেশিত হয়- বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। উন্মুক্ত মঞ্চে ছিল ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সংযাত্রা’। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রমের ওপরে প্রমো, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সাফান, স্বর্ণালী, জাবের, শুশমী, মেহজাবিন, সাফিন সামিয়া, সুপ্ত, সাফাওয়াত ও শৈলি। একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুফি। অনিক বোসের পরিচালনায় ‘ও আমার জন্মভূমি এবং ফিউশন’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন স্পন্দন। আহকামউল্লাহর পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বরশ্রুতি’।

জেলা পরিবেশনার শুরু হয় ঠাকুরগাঁও জেলার পরিবেশনায় দিয়ে। জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সংগৃহীত সুর এবং আবুল হোসেন সরকারের কথায় ‘হামার ঠাকুরগাঁও বাসী’ এবং জুনায়েদ কবির বাবু’র কথা এবং মোজাম্মেল হক বাবলুর সুরে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মনজুর উল হক, সাইফুল আলম বাবু, মীর ছানোয়ার হোসেন ছানু, জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ, জীবনানন্দ রায়, সরলা রাণী রায়, দিপাশ্রী রায় পপি, নম্রতা বর্মণ সেতু, শ্রাবন্তী রায় এবং শর্মিষ্ঠা রায়। রোহিত খান তুহিনের নৃত্য পরিচালনায় ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ এবং চল চল চল’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নাজমুল ইসলাম, ন্সিগ্ধা রায়, সমির উদ্দিন, তুলা রায়, রিভিয়া তাসনিম বাঁধন, ভেরোনিকা এক্কা, তৃষা রাণী রায়, মাসুমা আক্তার মালা এবং সিনথিয়া মুরমু। হায়রে মানুষের দেহ গানের কথায় একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শুক্লাবালা রায় এবং ’আন্ধন ঘরের চালোতে, ঝুমকা কদু ফলাইসে’ দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সরলা রাণী রায় এবং জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী কায়সার আলী রুবেল, খায়রুল হাসান, পলাশ চন্দ্র রায়, নয়ন কিশোর রায় এবং জ্যাতিরাজ বর্মণ।

গাইবান্ধা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বাংলাদেশের মাটি ধন্য’ এবং ‘আসেন বাহে বসেন বাহে’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী নিগার নইম তমা, প্রজ্ঞা ম-ল, শারমিন আক্তার শিলা, স্মৃতি রানী, জিয়াউর রহমান জিয়া, আফছার আলী, পলাশ চন্দ্র মোদক এবং স্বজন খন্দকার। ‘আমি বাংলায় গান গাই’ এবং ’আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মাহফুজা তাহসিন তমালিকা, অরিত্রি দে সরকার হিয়া, তাথই সাহা, আনিকা নুসরাত চন্দ্রিমা, সৃজনী বর্মন দিঘী, মো. রতন মিয়া, শেখ রিয়াদ হোসেন সোহান এবং আরিফুজ্জামান আরিফ। সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী তুলসী সাহা, মিজানুর রহমান মিলন, মো. আবদুল্লাহ আল ফাহাত, সৈকত এবং রাগিব হাসান। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ওয়াফি রহমান অনন্যা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী নিগার নাইম তমা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরী শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়’ এবং ’বাংলার প্রাণ বাঙালি মান রেখেছে যে জন’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী হামিদা ইসলাম, মৌসুমী দেব রায়, জিনিয়া ইসলাম, অর্পিতা ম-ল, প্রিয়ন্তী সরকার কথা, আমজাদ হোসেন, আতাউর রহমান, হাসান ইমাম, প্রিন্স মামুন এবং সাইফুল হক শাহিন। গোলাম হাবিবের নৃত্য পরিচালনায় ‘সমারোহে এসো হে’ এবং কায়নাত বিনতে কবির সাদাফের নৃত্য পরিচালনায় ‘বেহুর তালে কোমন দোলে’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী প্রিয়াংকা সরকার, শ্রাবনী রায়, পুষ্পিতা, রিমি আক্তার, রিয়া আক্তার ইতি, অন্তর সরকার, হাসিবুর রহমান সিয়াম, মো. সিয়াম, গালিব হাসান সিজান এবং সায়হাম আহমেদ তুর্জ। সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সবুজ আহমেদ, শান্ত আহমেদ ও কামরুল আহমেদ। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী নুসরাত জাহান বৃষ্টি এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সানজিদা নাহার বেলা।

টাঙ্গাইল জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘আজকে বিজয়ের এই দিনে’ এবং ’বঙ্গবন্ধু তুমি সবার’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শামসুজ্জামান দারু, বাচ্চু আহমেদ, বাদল তালুকদার, পলাশ সূত্রধর, শতাব্দী সরকার, দেবশ্রী সরকার, ঋদিতা তাসিন, নুসরাত প্রিথুলা, আফিয়া তাবাসসুম এবং মনিষা সূত্রধর। ‘আমার প্রিয় স্বাধীনতা’ এবং ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মাসুদ চৌধুরী, সাকিব, মেহেদী, ইন্দ্রজিৎ, মনির হোসেন, ইমা, ইসরাত, রচয়ীতা, রুপন্তী ও ফারিয়া। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আবু বকর সিদ্দিকী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী নৈঝিতা হালদার। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শাসুজ্জামান দারু, বাচ্চু আহমেদ, মঙ্গল সেন, মো. লাভলু ও সিহাব।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে মঞ্চস্থ হয় মহাদেব সংযাত্রাদল, টাঙ্গাইলের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘সংযাত্রা’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধীচরণ পাল, ভজন পাল, হরিদাস পাল, অনিল পাল, হুমায়ুন কবির, রঘুনাথ পাল ও সুদেব পাল। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন বাবুল সাহা, লক্ষণ সাহা, মোবারক এবং নিমাই রাজবংশী।