বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, সনেট রচয়িতা, মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে গতকাল শুরু হয়েছে। ৭ দিন ব্যাপী মধুমেলা। এ মেলা চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিদিনই থাকবে কবির জীবন ও সাহিত্যের ওপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হাজারও প্রাণের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে কবির জন্মোৎসব ও মধুমেলায় মানুষের আগমন ঘটে
মধুমঞ্চে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টার্য্য এমপি। কেশবপুরের এমপি ইসমাত আরা সাদেক, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন, যশোর-২ আসনের নাসির উদ্দীন এমপি, যশোর-৩ আসনের কাজী নাবিল আহমেদ এমপি প্রমুখ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান। সমাপনী দিন ২৮ জানুয়ারি মহাকবি মধুসূদন পদক প্রদানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। মূলত সারা বছর কবিকে নিয়ে কোন আলোচনা বা গবেষণা না থাকলেও মাঘ মাসের শুরুতেই জন্মে কবির প্রতি ভালোবাসা। তাই এ সময় দেশ বিদেশের পর্যটক ও অসংখ্য পিকনিক পার্টিসহ দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার কবি প্রেমীর আগমন ঘটে থাকে মধুকবির নিভৃত পলী সাগরদাঁড়িতে।
উলেখ্য, যশোর জেলা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কেশবপুরের অধুনা মৃত প্রায় কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বাবা জমিদার রাজনারায়ন দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবীর কোলে বাংলা ১২৩০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মাঘ (১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি) শনিবার জন্মে ছিলেন মধুসূদন দত্ত। বাংলা ভাষায় আধুনিক সাহিত্যের বহুমাত্রিক মহাকবি মধুসূদন ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মাত্র ৪৯ বছর বয়সে বিদায় নেন পৃথিবী থেকে।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, মধু মেলায় কোন প্রকার অশ্লীলতা সহ্য করা হবে না। প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত মধুমেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ডিবি, জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাথে প্রয়োজন মতো সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাব-৬ এর টহল থাকবে। এছাড়া মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। স্থানীয়ভাবে শতাধিক যুবকদের নিয়ে তৈরি করা হবে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, সনেট রচয়িতা, মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে গতকাল শুরু হয়েছে। ৭ দিন ব্যাপী মধুমেলা। এ মেলা চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিদিনই থাকবে কবির জীবন ও সাহিত্যের ওপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হাজারও প্রাণের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে কবির জন্মোৎসব ও মধুমেলায় মানুষের আগমন ঘটে
মধুমঞ্চে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টার্য্য এমপি। কেশবপুরের এমপি ইসমাত আরা সাদেক, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন, যশোর-২ আসনের নাসির উদ্দীন এমপি, যশোর-৩ আসনের কাজী নাবিল আহমেদ এমপি প্রমুখ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান। সমাপনী দিন ২৮ জানুয়ারি মহাকবি মধুসূদন পদক প্রদানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। মূলত সারা বছর কবিকে নিয়ে কোন আলোচনা বা গবেষণা না থাকলেও মাঘ মাসের শুরুতেই জন্মে কবির প্রতি ভালোবাসা। তাই এ সময় দেশ বিদেশের পর্যটক ও অসংখ্য পিকনিক পার্টিসহ দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার কবি প্রেমীর আগমন ঘটে থাকে মধুকবির নিভৃত পলী সাগরদাঁড়িতে।
উলেখ্য, যশোর জেলা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কেশবপুরের অধুনা মৃত প্রায় কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বাবা জমিদার রাজনারায়ন দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবীর কোলে বাংলা ১২৩০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মাঘ (১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি) শনিবার জন্মে ছিলেন মধুসূদন দত্ত। বাংলা ভাষায় আধুনিক সাহিত্যের বহুমাত্রিক মহাকবি মধুসূদন ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মাত্র ৪৯ বছর বয়সে বিদায় নেন পৃথিবী থেকে।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, মধু মেলায় কোন প্রকার অশ্লীলতা সহ্য করা হবে না। প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত মধুমেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ডিবি, জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাথে প্রয়োজন মতো সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাব-৬ এর টহল থাকবে। এছাড়া মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। স্থানীয়ভাবে শতাধিক যুবকদের নিয়ে তৈরি করা হবে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।