স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এপিএস ও শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের স্বাক্ষরিত নোটিশ তার উত্তরার বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে যন্ত্রপাতি ও এমএসআর সামগ্রী সরবরাহে সহায়তার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য অধিফতরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে মোশাররফ হোসেন জড়িত ছিলেন বলে দুদক সূত্র জানায়। প্রায় একই অভিযোগে এর আগে বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সদ্য বরখাস্তকৃত এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে তলব করে দুদকের একই টিম। তাকে ২৩ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তিরা শত শত কোটি টাকার হাতিয়ে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও টেন্ডারের মাধ্যমে কমমূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র উচ্চমূল্যে কেনাকাটা করে সরকারি অর্থ তসরুপ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নিয়োগ, প্রশিক্ষণের নামেও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নির্ধারিত কিছু ব্যক্তি এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ করতেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন দুর্নীতির নিয়ে অনুসন্ধান শুরুর পর ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। অনেক পদস্ত কর্মকর্তার নাম বেরিয়ে আসে। ইতোমধ্যে দুদক বিভিন্ন হাসপাতালে কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলাও করেছে। তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে। তদন্তে নতুন নতুন ব্যক্তির নাম এবং তথ্য আসছে দুদকের কাছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০ , ৯ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এপিএস ও শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের স্বাক্ষরিত নোটিশ তার উত্তরার বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে যন্ত্রপাতি ও এমএসআর সামগ্রী সরবরাহে সহায়তার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য অধিফতরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে মোশাররফ হোসেন জড়িত ছিলেন বলে দুদক সূত্র জানায়। প্রায় একই অভিযোগে এর আগে বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সদ্য বরখাস্তকৃত এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে তলব করে দুদকের একই টিম। তাকে ২৩ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তিরা শত শত কোটি টাকার হাতিয়ে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও টেন্ডারের মাধ্যমে কমমূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র উচ্চমূল্যে কেনাকাটা করে সরকারি অর্থ তসরুপ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নিয়োগ, প্রশিক্ষণের নামেও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নির্ধারিত কিছু ব্যক্তি এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ করতেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন দুর্নীতির নিয়ে অনুসন্ধান শুরুর পর ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। অনেক পদস্ত কর্মকর্তার নাম বেরিয়ে আসে। ইতোমধ্যে দুদক বিভিন্ন হাসপাতালে কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলাও করেছে। তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে। তদন্তে নতুন নতুন ব্যক্তির নাম এবং তথ্য আসছে দুদকের কাছে।