সাড়ে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চলতি বছর সাড়ে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আরও বলেন, এ বছর ১৫ হাজার নার্স নিয়োগের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৮ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে।

গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনজিও ফোরাম ফর হেলথ এর বিভাগীয় প্রধান মো. আহসান হাবিব। সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহপরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান, এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এসএমএ রশীদ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের হেলথ এডভাইজার ডা. নূরুল্লাহ আউয়াল, ইউনিসেফ বাংলাদেশে এর ওয়াশ স্পেশালিস্ট মাহজাবিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সিস্টেমের সমস্যা আছে। যারা সেবা দেবেন তারা হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। নিরাপদ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা আছে। অনেকে টয়লেটের ব্যবহার জানে না। পয়:নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা নেই। এসব সমস্যা দূর করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জিডিপির মাত্র ১ ভাগ বাজেট দিয়ে স্বাস্থ্য সেক্টরে আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। এই বাজেট বাড়ালে আরও বেশি সেবা দেয়া সম্ভব। এক সময় টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল না। এখন টয়লেট, ওয়াশ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের কথা বলা হচ্ছে। আগে মানুষ হাসপাতালে যেতে চাইতো না। এখন প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুরাতন সব কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নতুন ডিজাইনের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। হাসপাতালেল বর্জ্য বাইরে না ফেলার ব্যাপারে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমের ওপর সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিংয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এই খাতের আরও উন্নতির জন্য মাতৃ মৃত্যুহার ১ তে এবং শিশু মৃত্যুহার ৭০ এর নামিয়ে আনতে হবে। শিশু বিবাহ কমিয়ে আনতে হবে। স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা আসার আগেই একটি মেয়ে ১৭/১৮ বছরেই বিয়ের পর একটি শিশুর জম্ম দেয়। এতে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকেই এখনও বাসায় ডেলিভারি করে। ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশনের হার বেশি। এসব ব্যাপারে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা সব ক্ষেত্রেই সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি।

শ্যামল দত্ত বলেন, হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত সব ব্যবস্থা থাকতে হবে। হাসপাতালের টয়লেটগুলো নারীবান্ধবভাবে তৈরি করতে হবে। শফিউর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় জনবলের সংকট আছে। তারপরেও সাধারণ মানুষ এখন হাসপাতালে আসছে। হাসপাতালগুলোতে ২০ ভাগ রোগী ইনফেকশনের কারণে মারা যায়। এক সময় মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ৫৭৪ জন ছিল। এখন তা ১৭৪ এ নেমে এসেছে।

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০ , ১০ মাঘ ১৪২৬, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সাড়ে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

চলতি বছর সাড়ে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি আরও বলেন, এ বছর ১৫ হাজার নার্স নিয়োগের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৮ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে।

গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনজিও ফোরাম ফর হেলথ এর বিভাগীয় প্রধান মো. আহসান হাবিব। সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহপরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান, এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এসএমএ রশীদ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের হেলথ এডভাইজার ডা. নূরুল্লাহ আউয়াল, ইউনিসেফ বাংলাদেশে এর ওয়াশ স্পেশালিস্ট মাহজাবিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সিস্টেমের সমস্যা আছে। যারা সেবা দেবেন তারা হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না। নিরাপদ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা আছে। অনেকে টয়লেটের ব্যবহার জানে না। পয়:নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা নেই। এসব সমস্যা দূর করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জিডিপির মাত্র ১ ভাগ বাজেট দিয়ে স্বাস্থ্য সেক্টরে আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। এই বাজেট বাড়ালে আরও বেশি সেবা দেয়া সম্ভব। এক সময় টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল না। এখন টয়লেট, ওয়াশ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের কথা বলা হচ্ছে। আগে মানুষ হাসপাতালে যেতে চাইতো না। এখন প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুরাতন সব কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নতুন ডিজাইনের ভবন তৈরি করা হচ্ছে। হাসপাতালেল বর্জ্য বাইরে না ফেলার ব্যাপারে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমের ওপর সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিংয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এই খাতের আরও উন্নতির জন্য মাতৃ মৃত্যুহার ১ তে এবং শিশু মৃত্যুহার ৭০ এর নামিয়ে আনতে হবে। শিশু বিবাহ কমিয়ে আনতে হবে। স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা আসার আগেই একটি মেয়ে ১৭/১৮ বছরেই বিয়ের পর একটি শিশুর জম্ম দেয়। এতে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকেই এখনও বাসায় ডেলিভারি করে। ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশনের হার বেশি। এসব ব্যাপারে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা সব ক্ষেত্রেই সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি।

শ্যামল দত্ত বলেন, হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত সব ব্যবস্থা থাকতে হবে। হাসপাতালের টয়লেটগুলো নারীবান্ধবভাবে তৈরি করতে হবে। শফিউর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় জনবলের সংকট আছে। তারপরেও সাধারণ মানুষ এখন হাসপাতালে আসছে। হাসপাতালগুলোতে ২০ ভাগ রোগী ইনফেকশনের কারণে মারা যায়। এক সময় মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ৫৭৪ জন ছিল। এখন তা ১৭৪ এ নেমে এসেছে।