হাউজি খেলা নিয়ে রুলের শুনানি ২৮ জানুয়ারি

ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে।

গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হোসেন তালুকদারের বেঞ্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

১৩টি ক্লাব হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। রিটের বিবাদীরা হলেন- স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, খুলনা মহানগর, সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশার, র?্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক।

রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোন ধরনের জুয়া খেলা দ-নীয় অপরাধ। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

২০১৬ সালে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবকে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও এ ব্যাপারে রুল জারি করা হয়েছিল।

রুলে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং রুল নিষ্পত্তিতে আদেশ দেন।

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০ , ১০ মাঘ ১৪২৬, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

হাউজি খেলা নিয়ে রুলের শুনানি ২৮ জানুয়ারি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে।

গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হোসেন তালুকদারের বেঞ্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

১৩টি ক্লাব হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। রিটের বিবাদীরা হলেন- স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, খুলনা মহানগর, সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশার, র?্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক।

রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোন ধরনের জুয়া খেলা দ-নীয় অপরাধ। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

২০১৬ সালে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবকে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও এ ব্যাপারে রুল জারি করা হয়েছিল।

রুলে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং রুল নিষ্পত্তিতে আদেশ দেন।