নোয়াখালী সড়ক বিভাগ ভূমি অধিগ্রহণ না করে মাইজদী বাজার-ছয়ানী সড়কে ১৯.১৪ একর ভূমি দখল করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, জানুয়ারি এ ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসক এ প্রস্তাবের সংশোধনী দিতে বলেন। একই বছর ৪ সেপ্টেম্বর একবার এবং ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বার সংশোধনী দিয়ে অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠানোর পর ২০ নভেম্বর ১৯ইং এর ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। বিধি মোতাবেক এরপর ভূমি মালিকদের ৪ ধারায় নোটিস দেয়ার কথা। তারপর তাদের আপত্তি ও আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত ফিল্ডবুক তৈরি করা হবে। এলাকাবাসী জানান, সড়ক বিভাগ অধিগ্রহণ না করে টেন্ডার আহ্বান করে কার্যাদেশ দেয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে লোকজনের বাড়িঘর, দোকানপাঠ ভেঙ্গে এবং চাষের জমিনের ওপর দিয়ে বলপূর্বক সড়ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। ভূমির মালিকরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিকদের মারধর করে এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, রাস্তার এ অংশের ক্ষতিপূরণের জন্য ৯৯ কোটি টাকা ধরা আছে (তা আরো বাড়তে পারে) সড়ক বিভাগ মাত্র ৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে তাই অধিগ্রহণের দেরী হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের টাকা পাবে এ নিশ্চয়তা দেয়া যায়। রামগঞ্জের সাবেক মেম্বার জানান, এ সড়ক উন্নয়ন হউক তা আমরা চাই। অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে ৪ তলা ভবনসহ ঘর বাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বেআইনী। এতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন সময় সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারের লোকজন জনরোষের মুখোমুখি হতে পারে।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালী সড়ক বিভাগ ভূমি অধিগ্রহণ না করে মাইজদী বাজার-ছয়ানী সড়কে ১৯.১৪ একর ভূমি দখল করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, জানুয়ারি এ ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসক এ প্রস্তাবের সংশোধনী দিতে বলেন। একই বছর ৪ সেপ্টেম্বর একবার এবং ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বার সংশোধনী দিয়ে অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠানোর পর ২০ নভেম্বর ১৯ইং এর ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। বিধি মোতাবেক এরপর ভূমি মালিকদের ৪ ধারায় নোটিস দেয়ার কথা। তারপর তাদের আপত্তি ও আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত ফিল্ডবুক তৈরি করা হবে। এলাকাবাসী জানান, সড়ক বিভাগ অধিগ্রহণ না করে টেন্ডার আহ্বান করে কার্যাদেশ দেয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে লোকজনের বাড়িঘর, দোকানপাঠ ভেঙ্গে এবং চাষের জমিনের ওপর দিয়ে বলপূর্বক সড়ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। ভূমির মালিকরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিকদের মারধর করে এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, রাস্তার এ অংশের ক্ষতিপূরণের জন্য ৯৯ কোটি টাকা ধরা আছে (তা আরো বাড়তে পারে) সড়ক বিভাগ মাত্র ৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে তাই অধিগ্রহণের দেরী হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের টাকা পাবে এ নিশ্চয়তা দেয়া যায়। রামগঞ্জের সাবেক মেম্বার জানান, এ সড়ক উন্নয়ন হউক তা আমরা চাই। অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে ৪ তলা ভবনসহ ঘর বাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বেআইনী। এতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন সময় সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারের লোকজন জনরোষের মুখোমুখি হতে পারে।